জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে সাথে বাড়ছে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে সাথে বাড়ছে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি। |
---|
বন্ধুরা টাইটেল দেখেই বুঝে গিয়েছেন আজকে কি বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি।জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে সাথে বাড়ছে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি।এ বিষয়ে কিছু কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আসলে আমরা সব সময় নিজেদের ভালো লাগা, মন্দলাগা, নিজেদের চিন্তা,চেতনা, আমার বাংলা ব্লগে সবার সাথে শেয়ার করি, তাইতো আপনাদের মাঝে চলে এলাম। যাই হোক চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করি।
আমি মনে করি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো বাজারে জিনিসপত্রের দাম। প্রতিদিনই যেন পণ্যের দাম বাড়ছে। চাল ডাল তেল পেঁয়াজ থেকে শুরু করে সবজিও এখন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। আগে যে জিনিস ৫০ টাকায় পাওয়া যেত,এখন তার দাম ৮০ থেকে ৯০ টাকা।
আর এই জিনিসপত্রের উর্ধ্বগতিতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত মানুষরা।একজন দিনমজুর বা ছোট চাকরিজীবী মানুষ প্রতিদিন যা আয় করেন, তার সবটুকুই চলে যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে।মাস শেষ হওয়ার আগেই টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে।সংসার চালানো খুবই কষ্টকর হয়ে উঠেছে।যেটা সচরাচর আশে পাশে তাকলে দেখতে পাওয়া যায়।
অনেক সময় দেখা যায়, বাজারে পর্যাপ্ত পণ্য থাকলেও দাম কমছে না। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। আবার কিছু অসাধু সিন্ডিকেটকারি পণ্য লুকিয়ে রেখে বাজারে সংকট তৈরি করেন, যাতে দাম বাড়ে। সরকারি কর্মকর্তা যেমন ভোক্তা অধিদপ্তর থেকেও মাঝে মাঝে অভিযান চালায়, তবে সেটা দীর্ঘস্থায়ী সমাধান দিচ্ছে না। দাম কিছুদিন কমে, তারপর আবার বাড়িয়ে ফেলে।
এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে খুব হিসেব করে চলতে হচ্ছে। আগে যেভাবে পরিবারে মাছ মাংস খাওয়া হতো, এখন সেটা অনেক কমে গেছে।অনেকে আবার এক বেলা খেয়ে আরেক বেলা উপোস থাকেন।হয়তো আমরা এই দৃশ্য চোখে দেখি না তবে এমন অনেক রয়েছে ।এদিকে শিশুরা পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে না।
সব খাবারে ভেজাল ফরমালিন এবং প্রিজারভেটিভ ছড়ানো।যেটি জনসাধারণ ও বিশেষ করে শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।বিভিন্ন শহরের আনাচে কোনাচে চিপা চাপায় বিভিন্ন কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার বানানো হচ্ছে আর সেটা মারাত্মক হুমকিস্বরূপ জনসাধারণের জন্য।অসংখ্য কারখানা রয়েছে যেগুলোর খোঁজ কেউই জানে না, কিন্তু সেখান থেকে তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম দুই নাম্বার খাবার।
যাই হোক সেই সমস্যার সমাধান আসলে আছে কিনা আমার জানা নেই তবে এতোটুকু মনে হয় যার যার জায়গা থেকে সবাই যদি মানবিক হয় এবং সবাই যদি এ ধরনের অপকর্ম ছেড়ে দেয় তখন হয়তো এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। যাই হোক পুরো ব্লগটা যারা পড়েছেন সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের বিষয়বস্তু, হঠাৎ করে এই বিষয়টি মাথায় আসলো তাই ভাবলাম আপনাদের মাঝে নিজের মনের কিছু কথা তুলে ধরি। যাই হোক আশা করছি বিষয়টি আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকে আর কথা না বাড়িয়ে বিদায় নিচ্ছি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিলাম।সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন। আগামীতে আবারো হাজির হবো অন্য কোন না কোন বিষয় নিয়ে। আজকে এখানেই বিদায় নিলাম আল্লাহ হাফেজ।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | জেনারেল রাইটিং । |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
লোকেশন | - বাংলাদেশ। |
আমার নাম নিভলু। আমি বাংলাদেশে থাকি এবং এই প্ল্যাটফর্মে শখের বশেই কাজ করছি। এখানে কাজ করতে আমার ভালো লাগে কারণ আমি আমার পছন্দের বিষয়গুলো সহজে সবার সাথে ভাগ করে নিতে পারি। নিজের ভালো লাগার বিষয়গুলো অন্যদের দেখাতে পারাটা আমার জন্য আনন্দের।আমি ঘুরতে ভালোবাসি, নতুন জায়গা দেখতে আর নতুন অভিজ্ঞতা নিতে খুব ভালো লাগে। ভ্রমণের পাশাপাশি আমি গান শুনতে এবং মাঝে মাঝে গাইতেও ভালোবাসি। এছাড়াও আমি ভিডিও এডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি করতে পছন্দ করি। সময় পেলেই ক্যামেরা হাতে বেরিয়ে যাই কিছু ভালো মুহূর্ত ধরে রাখতে।আর্ট এবং ডিজাইনের দিকেও আমার আগ্রহ রয়েছে। তবে অনেক আগে টুডি ও থ্রিডি ডিজাইন শিখছি এবং নিজের মতো করে কিছু কাজ করতাম। তবে এখন তেমন একটা করা হয়না।যাইহোক আশা করি সবাই আমার কাজ পছন্দ করবেন এবং পাশে থাকবেন। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া জিনিসপত্রের যে পরিমাণ দাম বেড়েছে সাধারণ মানুষের জন্য খুবই কষ্টকর হয়ে উঠছে। বিশেষ করে যারা দরিদ্র তারা ভালো মন্দ কিনেও খেতে পারছে না।সাধারণ মানুষের তো ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এছাড়া অসহায় মানুষগুলো বেশি এসব ভোগ করছে। বাস্তব কিছু কথা তুলে ধরেছেন। পড়ে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ভোক্তা অধিদপ্তরের তদারকি বাড়ানো উচিত, বিশেষ করে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া।নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকারি সাবসিডি বা রেশনিং সিস্টেম প্রসারিত করা যেতে পারে।স্থানীয় কৃষক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তা করে পণ্যের সরবরাহ বাড়ানো যায়, যা দাম কমাতে সাহায্য করবে।ধনী বা উচ্চবিত্তরা যেন স্থানীয় খাদ্য ব্যাংক বা কমিউনিটি কিচেনে অবদান রাখে সে বিষয়ে উৎসাহিত করা।
1 | https://x.com/Nevlu123/status/1919782995365658846
2 | https://x.com/Nevlu123/status/1919783234029961523
3 | https://x.com/Nevlu123/status/1919784468962828385
4 | https://x.com/Nevlu123/status/1919784858232009115