ঈদগাহে নামাজ পড়ার অনুভূতি।
শুভ বিকাল 🌇
আজ ০৩ ই এপ্রিল,
রোজ বৃহস্পতিবার ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ।
আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ ,বাংলাদেশ থেকে।
হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম ঈদগাহে নামাজ পড়ার অনুভূতি মূলক পোস্ট নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি। প্রতিবছরের মতো এই বছরেও ঈদগাহে নামাজ আদায় করার অন্য রকম অনুভূতি ছিল। গত বছর বৃষ্টি থাকার কারণে ঈদগাহে নামাজ পড়া কষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ঈদগাহের নামাজ মসজিদে আদায় করলে তৃপ্তি পাওয়া যায় না। সকলের সঙ্গে একসাথে ঈদগাহে নামাজ আদায় করার অনুভূতি প্রকাশ করার মত নয়। বছরে দুইটি ঈদে একসঙ্গে বড় জামাতের নামাজ পড়া হয়। নামাজ শেষে সকলের সাথে দেখা এবং কোলাকুলি বিনিময়ে করে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের মাঝে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়া যায়। তাই ঈদ উপলক্ষে সবাই বিভিন্ন পেশা ছেড়ে নাড়ীর টানে বাড়ি চলে আসেন ঈদের আনন্দ ভাগ করে দেওয়ার জন্য। সেই অনুভূতি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
ছবির অবস্থান :- মার্কাজ মসজিদ ময়মনসিংহ, ঢাকা বাংলাদেশ।
আমাদের ময়মনসিংহ জেলার কেন্দ্রীয় মার্কাজ মসজিদ বিশাল বড় জায়গা নিয়ে অবস্থিত। সেখানে তাবলীক কাজ থেকে জেলায় সকল মসজিদের কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়। এবং ঈদগাহের নামাজ পড়ার আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন জায়গা হতে সবাই ছুটে চলে আসে নামাজ পড়ার জন্য। কেউ বাইক, কেউ মোটরসাইকেল এবং কেউবা হেঁটে চলে আসেন। তবে হেঁটে চলে আসা উত্তম। অনেকেই দূর থেকে আসার জন্য যানবাহন ব্যবহার করেন। তবে আমাদের এখানে খুব সকাল সকালে ঈদের নামাজ হয়ে যায়। তাই আমি বরাবরের মতো উত্তম কাপড় পরিধান করে হেঁটে চলে আসি আমাদের নিকটস্থ মার্কাজ মসজিদে।
ছবির অবস্থান :- মার্কাজ মসজিদ ময়মনসিংহ, ঢাকা বাংলাদেশ।
মার্কাজ মসজিদে অতিরক্ত রোদ থাকার কারণে আগে থেকে ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কেননা অতিরিক্ত বৃষ্টি ও রোদ থাকার কারণে নামাজ পড়তে অনেক কষ্ট হয়। তাই মুসল্লীর কথা চিন্তা করে কিছু সুবিধা জনক ব্যবস্থা করা হয়। আমি আগে থেকে যায়নামাজ নিয়ে ভিতরে বসে পড়েছিলাম। যত সময় ঘনিয়ে আসছিল মানুষের সংখ্যা ততো বৃদ্ধি পাচ্ছিল। বাহিরে বসার জন্য আলাদা কাতার করা হয়েছিল। নামাজের আগে ইমাম সাহেব রোজা সম্পর্কে এবং পরবর্তী দিনগুলো কিভাবে চলা যায় সে সম্পর্কে খুব গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করছিল। চেষ্টা করেছি মনোযোগ দিয়ে কথাগুলো শোনার জন্য।
ছবির অবস্থান :- মার্কাজ মসজিদ ময়মনসিংহ, ঢাকা বাংলাদেশ।
কিছুক্ষণ পরে নামাজ শুরু হয়ে যায়। তবে নামাজের আগে নামাজের নিয়ম গুলো আবারো স্মরণ করে দিয়েছিল মার্কাজ মসজিদের ইমাম। কারণ অনেক দিন পর নামাজ পড়া হয়, অনেকেই নামাজের নিয়ম গুলো ভুলে যায়। ঈদের আনন্দের চাইতে ঈদগায় নামাজ পড়ার মুহূর্তগুলোর আনন্দ আমি মনে করি সবচেয়ে বেশি। নামাজ শেষে খুতবা শুনে সকলের সাথে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেই সবার সাথে। বিশেষ করে কাকাতো ভাই এবং বন্ধুর সাথে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করি। আমাদের মত অনেকেই বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে ফটোগ্রাফি করছিল। কিছু সময় সবাই আড্ডা দিয়ে আমরা চলে যায় বাসার দিকে। যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। ভুলত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ। 💞
বিভাগ | লাইফ স্টাইল। |
---|---|
ডিভাইস | রিয়েলমি সি-৫৫। |
বিষয় | ঈদগাহে নামাজ পড়ার অনুভূতি। |
লোকেশন | মার্কাজ মসজিদ ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ। |
রাইটার | @nazmul01। |
আমি মোঃ নাজমুল হাসান, আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং ঢাকা বিভাগের ময়মনসিংহ জেলায় থাকি। আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি বাঙালি। বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে আমি গর্ব বোধ করি। আমি একজন শিক্ষার্থী এবং ডিগ্রিতে অধ্যয়নরত। আমি বর্তমানে বাংলাদেশে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছি। ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া কবিতা,আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না করা আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের সাথে ঘুরতে যাওয়া এবং বাহিরে খাবার খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটি একটি পরিবারের মতো। আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য | এখানে ক্লিক করেন |
---|
https://x.com/nazmulhasanbd01/status/1907755486709166239?t=y1y2baFcYHqQV50I_LwbeQ&s=19
https://x.com/nazmulhasanbd01/status/1907751399909146897?t=uVjUpj1kYRgNU9xqsBXWLQ&s=19
https://x.com/nazmulhasanbd01/status/1907752986148995130?t=UwzQo-yYsKGeT_is0TbcAg&s=19
X-Promotion
ইতোমধ্যে আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দঘন মুহূর্ত। তবে এই মুহূর্তে আমরা যে যার মত রোজা রাখার পর ঈদের নামাজ আদায় করেছি আপন জনদের সাথে দেখা সাক্ষীৎ করেছি এবং আনন্দ করেছি। ঠিক তার কিছু অংশ আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন দেখি ভালো লাগলো।