জেনারেল রাইটিং-বর্তমান জেনারেশনের অধিকাংশ মানুষ ডিপ্রেশনে ভুগছে||
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে। আজ আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট সবার মাঝে শেয়ার করবো। মাঝে মাঝে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। আবার মাঝে মাঝে নিজের মনের মধ্যে চলে আসা কিছু কথাই সব সময় লেখার চেষ্টা করি। তেমনি আজকে আমি বর্তমান জেনারেশনের অধিকাংশ মানুষ ডিপ্রেশনে ভুগছে এই বিষয়টি নিয়ে লিখব। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।
বর্তমান জেনারেশনের অধিকাংশ মানুষ ডিপ্রেশনে ভুগছে:

Source
সময়ের সাথে সাথে ডিপ্রেশন অনেক বেড়ে যাচ্ছে। আমরা যত আধুনিক হচ্ছি তত বেশি একা হয়ে পড়ছি। আধুনিকতার ছোঁয়ায় আমরা আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবার সাথে যেমন সহজভাবে যোগাযোগ করতে পারছি তেমনি সবার থেকে দূরে চলে যাচ্ছি। আর যখনই আমরা ইলেকট্রিক ডিভাইস কিংবা সামাজিক মাধ্যমগুলো থেকে নিজেকে একটু সরিয়ে নিচ্ছি তখনই বুঝতে পারছি আমরা কতটা একাকিত্বে পড়েছি। কিংবা বুঝতে পারছি কতটা অসহায়ত্ব জীবনে এসেছে। হয়তো আমরা যখন একা থাকি তখন সেই সমস্যাগুলো বেশি মোকাবিলা করি।
আমরা যত বেশি মোবাইল ফোন,ল্যাপটপ কিংবা ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি তত বেশি ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হচ্ছি। আমরা এক প্রকারের আসক্ত হয়ে পড়েছি। মোবাইল ফোন কিংবা ল্যাপটপ ছাড়া কোন কিছুই যেন ভালো লাগে না। কিছুক্ষণ সময় যদি ইন্টারনেটের বাহিরে থাকা হয় তাহলেই যেন দম বন্ধ কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আর এই দম বন্ধ কর পরিস্থিতি থেকেই ধীরে ধীরে আমরা ডিপ্রেশনে পড়ে যাই।
আগেকার সময় দেখতাম সবাই অনেক গল্পগুজব করতো। আর একসাথে বসে আড্ডা দিত। তাই তাদের মাঝে ডিপ্রেশন নামক শব্দটি একদমই ছিল না। ছোটবেলায় দেখেছি পাড়ার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে সবাই বসে বসে আড্ডা দিত। মা চাচীরাও বাড়ির উঠোনে গল্পে মেতে উঠতো। তাদের গল্প করতে দেখতেও ভালো লাগতো। তাদের মাঝে যে আন্তরিকতা ছিল সেটা সময়ের সাথে সাথে একটু কমে এসেছে। তাইতো এই প্রজন্ম ধীরে ধীরে ডিপ্রেশনে পড়ে যাচ্ছে।
ছোটবেলায় দেখেছি যারা স্কুল কলেজে পড়তো তারা বিকেল হলেই বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিত। আর খেলাধুলায় মেতে উঠত। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা মোবাইল ফোন কিংবা ল্যাপটপেই আসক্ত হয়ে পড়ছে। তাদের কাছে মোবাইল ফোন কিংবা ল্যাপটপে যেন জীবন হয়ে গেছে। তারা সেই আসক্তি থেকে বের হতে পারছে না। ফলশ্রুতিতে ধীরে ধীরে ডিপ্রেশনে পড়ে যাচ্ছে। আর সেই ডিপ্রেশন তাদের জীবনটাকে শেষ করে দিচ্ছে।
সময়ের সাথে সাথে যৌথ পরিবারগুলো ভেঙে গেছে। আর যৌথ পরিবার ভেঙে যাওয়ার ফলে সবাই নিজেদের ছোট পরিবার নিয়েই ব্যস্ত আছে। আসলে ছোট পরিবারে যেমন মানুষের সংখ্যা কমে এসেছে তেমনি পারিবারিক সেই বন্ধনের সুতোটাও হালকা হয়েছে। এখন কেন জানি সম্পর্কের মূল্য গুলো হ্রাস পেয়েছে। এখন আর আগের মত সম্পর্কের ভিত্তিটা নেই। আর মানুষ একা একা বসবাস করতেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। আর একাকী যখন মানুষ বসবাস করে তখন ধীরে ধীরে ডিপ্রেশনে পড়ে যায়। তাই আমার মনে হয় বর্তমান প্রজন্মের অধিকাংশ মানুষই ডিপ্রেশনে ভুগছে। আর যেটা কোন একটা সময় গিয়ে আরো বেশি মারাত্মক রূপ ধারণ করবে।
আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
0.00 SBD,
11.19 STEEM,
11.19 SP
আপনার এই পর্যবেক্ষণটি সত্যিই ভাবনার খোরাক জোগায়। বর্তমান সময়ের চাপ, প্রত্যাশা এবং অনিশ্চয়তা সত্যিই অনেককে মানসিকভাবে ক্লান্ত করে ফেলছে। এ বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করা খুবই জরুরি।আপনার পোস্টের সাথে একমত। আশার কথা হলো, মানুষ এখন আগের চেয়ে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে বেশি খোলা মনের। এটি একটি বড় পরিবর্তনের সূচনা।