জেনারেল রাইটিং:-" অবশেষে চলে গেলেন ৮ বছরের শিশু আছিয়া "II written by @maksudakawsarII
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? জানিনা কে কেমন আছেন। তবে এতটুকু বলবো যে আমি ভালো নেই। ভালো এই চারদিকের এত করুন কাহিনীগুলোর জন্য। ভালো নেই একটি শিশুর কান্না মাখা কষ্টে ভরা বুকের হাহাকার কল্পনা করে। আর ভালো নেই এতটুকু ভেবে যে আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়ানো মুখোশধারী কিছু চরিত্রহীন মানুষের ভয়ে। আচ্ছা আপনারা কি বলতে পারেন কি দোষ ছিল শিশু মেয়েটির। কেন বার বার আছিয়াদের এমন করে জীবন দিতে হচেছ।
প্রতিদিনই চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে সুন্দর করে কিছু লিখে উপহার দেওয়ার জন্য। চাই চারদিকের মানুষগুলোর মধ্যে লুকিয়ে থাকা কষ্টগুলো কে আমার লেখার যাদুতে আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে। জানিনা কতটুকু আপনাদের মাঝে নিজের মনের কথা গুলো কে শেয়ার করতে পারি। আজ চেষ্টা করলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করার জন্য। আশা করি প্রতিদিনের মত করে আমার আজকের জেনারেল রাইটিংটিও আপনাদের কাছে বেশ ভালো লাগবে।

Youtube থেকে প্রাপ্তি
হায়রে আছিয়া। যার কিনা এখন পর্যন্ত নামায টাই ফরয হয়ে উঠেনি। যার কিনা এখনও খেলার গন্ডি এখনও পার করার সময় হয়নি। সেই আছিয়াকেই আজ হার মানতে হলো চরিত্রহীন মানুষের চরিত্রের কাছে। দিতে হলো তার বেড়ে না উঠা জীবন টাকে। কি অপরাধ ছিল আছিয়ার। যার কিনা বাবার মত মানুষের লোভের স্বীকার হতে হলো। মানুষ কতটা জঘন্য হলে এমন শিশু মেয়ের দিকে নজর দিতে পারে। কতটা বর্বর হলে মানুষ এমন জঘন্য কাজ করতে দ্বিধাবোধ করে না। কতটা পাষন্ড হলে মানুষ তার কামনা আর বাসনা কে চরিতার্থ করতে এমন শিশু কে তার ভোগ আর লালসার হাতিয়ার বানাতে পারে।
আমি ভাবছি তাহলে নারী কার কাছে নিরাপদ। নারী কোথায় যেয়ে একটু শান্তি তে ঘুমাতে পারবে? আর নারী আর শিশুরা কেমন করে এসব দানবদের হাত থেকে রক্ষা করবে। এই আজ চলে গেল শিশু আছিয়া এই পৃথিবীর মায়া আর মহো ত্যাগ করে তার জন্য আমরা কাকে দোষ দেব? দোষ কি আছিয়ার মত শিশুর। যার কিনা এখনও বুঝার বয়সই হয়নি। কেন আছিয়া কে এমন করে জীবন দিতে হলো। এসব পাষন্ড মানুষগুলোর কি এতটুকু বুক কাপেনি? যারা কিনা নিজের মেয়ের মত মেয়ে কে ভোগের হাতিয়ার বানায়।
জাতি আজ নির্বাক। কারন আছিয়ার আগে হাজারও আছিয়া এমন করেই জীবন দিয়েছে। যার কোন বিচার হয়নি। আজ যদি এমন পাষন্ডদের জন্য শক্ত কোন আইন থাকতো, আর যদি সেই আইনের মাধ্যমে এসব জঘন্য মানুষ গুলো কে জনসম্মুখে ফাঁসি দিয়ে ঝুলিয়ে ফাঁসি কাষ্ঠে রাখা হতো । তাহলে আর কেউ দ্বিতীয় বার এমন জঘন্য কাজ করার সাহস দেখাতো না। দিতে হতো না খেলার বয়সে কোন আছিয়া কে তার প্রাণ।
আছিয়ার মৃত্যূ তে আজ সমগ্র দেশ জেগে উঠেছে। আগুন আর মশাল মিছিল করে শাস্তি চাওয়া হচেছ আছিয়ার ধর্ষকদের । সবাই যেন আছিয়ার দ্বিতীয় রূপ হয়ে উঠেছে। শ্লোগানে শ্লোগানে ভরপুর তুমি কে আমি কে আছিয়া আছিয়া। সত্যি বলতে আমি মনে করি আজ যদি আছিয়ার ধর্ষক দের জনসম্মুখে এনে অনতিবিলম্বে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে রাখে তাহলে আগামীতে আর কোন চরিত্রহীন মানুষের সাহস হবে না এমন নির্মম কাজ করার জন্য। হারিয়ে যাবে না কোন আছিয়া আর গরীব মা বাবার বুক হতে। তাই এই জঘন্য মানুষ গুলোর শাস্তি জনসম্মুখেই হওয়া উচিত।
আজ যদি এই জঘন্য মানুষগুলো কে অনতিবিলম্বে জন সম্মুখে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে রাখা হয় তাহলে এমন জঘন্য কাজ করা তো দূরের কথা, নারী হবে সবার কাছে সম্মানের। তাই আর সবার মত আমি নিজেও আছিয়ার খুঁনিদের ফাঁছি চাই্ যাতে করে আগামীতে এমন কাজ করার আগে এসন জঘন্য মানুষগুলো দশ হাজার বার চিন্তু করবে। তাই আসুন আমরা যে যার জাগয়া থেকে আছিয়ার খুনিদের অনতিবলম্বে ফাসিঁ কামনা করি। বন্ধুরা কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের লেখাগুলো? আশা করবো প্রতিদিনের মত করে আজও আপনারা আমার লেখা পড়ে মুগ্ধ হয়েছেন। আশা করবো মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।
আমার পরিচিতি
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
.gif)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy

কলিজাটা কেঁপে উঠে এই কথাটা ভাবতেই। ছোট্ট মেয়েটাকেও ছাড় দিল না মানুষ নামে পশুগুলো।। আমার তো মনে হয় এরকম কাপুরুষ গুলোকে ফাঁসি দিলেও কম হবে। তাদেরকে তিলে তিলে মারা উচিত যেভাবে ছোট্ট মেয়েটাকে শেষ করেছে। তাদেরকে কষ্ট দিয়ে দিয়ে মারলে মনে হয় ঠিক হবে। তাদের শাস্তি আমরা সবাই চাই।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কিছু বলার মতো ভাষা নেই রীতিমতো। মানুষের মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যে ঘটনাটা ঘটেছে সেটা সত্যি হৃদয়বিদারক। জানি না এর বিচার কবে হবে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
খু হৃদয় বিদারক একটি ঘটনা। এমন একটি ঘটনার কথা শেয়ার করেছেন যে চোখ দিয়ে পানি ঝড়ে পড়ছে। আপনি বেশ সুন্দর করে পুরো বিষয়টি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।