গোল্লাছোট আর কুত-কুত খেলা ছিল ছেলেবেলার অন্য রকমের অনুভুতি
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আমার প্রিয় সহযাত্রী ভাই বোনেরা? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। তবে মনমানসিকতা ভালো নেই। আর মনমানসিকতা যদি ভালো না থাকে তাহলে শরীর মন অচল হয়ে পড়ে। তারপরেও আপনাদের সবার মাঝে আমার আরও একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি একটি শৈশবের কিছু কথা নিয়ে আপনাদের সবার মাঝে হাজির হয়েছি।আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আজ আমার শৈশবের কিছু স্মৃতির অনুভূতি জেনে আসি।

ছেলেবেলার খেলার মধ্যে গোল্লাছোট আর কুত-কুত ছিল আমাদের জন্য এক অদ্ভুত আনন্দের উৎস। ছোট ছোট দল গঠন করে আমরা যেভাবে এই খেলাগুলো খেলতাম, তা ছিল এক ধরনের উত্তেজনা আর সৃজনশীলতার মিশ্রণ। এই দুই খেলাই ছিল আমাদের দিনের প্রতিটি অবসর সময়ের প্রধান আকর্ষণ।গোল্লাছোট খেলা মূলত একটি দ্রুতগামী খেলা, যেখানে গোল্লা বা ছোট ছোট বলের মতো বস্তু দ্রুত ঘুরিয়ে ধরা বা পালানো হয়। এই খেলাটির জন্য প্রয়োজন হয় চটপটে দৌড়ঝাঁপ এবং দ্রুত চিন্তার। খেলোয়াড়দের মনে রাখতে হতো প্রতিপক্ষের গতিবিধি এবং একে অপরকে ঠকানোর কৌশল। গোল্লাছোট খেলতে গিয়ে আমরা অনেক মজার অভিজ্ঞতা অর্জন করতাম, যেমন কখনো গোল্লা হারিয়ে যাওয়া, কখনো আবার কোনো একটা জায়গায় আটকে যাওয়া। এইসব ছোটখাট ঘটনাগুলো আমাদের বন্ধুত্বকে আরও গভীর করে তুলতো।
অপরদিকে কুত-কুত ছিল একটু ভিন্নরকম খেলা, যেখানে আমরা দলবদ্ধ হয়ে একে অপরকে ধরে রাখার জন্য নানা পরিকল্পনা করতাম। কুত-কুত খেলার নিয়ম সহজ, কিন্তু খেলার সময় মনযোগ দিতে হত আর একে অপরকে বুঝতে হত। কুত-কুত খেলার মধ্যে ছিল দৌড়ঝাঁপ, লুকানো এবং হঠাৎ করে চমকে দেওয়ার মজা।আমাদের কোয়ার্টারের ছোট ছোট গলিগুলো, বাড়ির উঠোন আর মাঠগুলো ছিল গোল্লাছোট আর কুত-কুত খেলার আদর্শ জায়গা। বৃষ্টি হলে কাদামাটির মধ্যে এই খেলাগুলো খেলতে আমরা কখনোই হাপিত্যাশ হইনি। বরং কাদা-মাটি নিয়ে খেলাটা আরও বেশি রোমাঞ্চকর হয়ে উঠত।
শীতকালে এই খেলাগুলো খেলতে গেলে শরীর গরম রাখার জন্য দৌড়ে বেড়াতাম। কখনো কখনো গরম চা খেতে গিয়ে খেলোয়াড়রা ক্লান্ত হলেও, মনের উচ্ছ্বাস সবসময় টিকেছিল। গোল্লাছোট আর কুত-কুত খেলতে গিয়ে আমরা একে অপরের সঙ্গে অনেক হাসি-ঠাট্টা করতাম, বন্ধুত্বের নতুন অধ্যায় লিখতাম।
আজকের ব্যস্ত জীবনে যখন এইসব স্মৃতি ফিরে দেখি, মনে হয়, গোল্লাছোট আর কুত-কুত ছাড়া আমাদের শৈশব অসম্পূর্ণ ছিল। আমাদের ছোট্ট সেই রোমাঞ্চ এখনো হৃদয়ের কোনায় বেঁচে আছে। আমরা সবাই চাই সেই পুরোনো দিনগুলো ফিরে পেতে, যেখানে খেলা ছিল সবচেয়ে বড় আনন্দ।
শৈশবের অনেক স্মৃতি গুলো এখনো মনে পড়ে। বিশেষ করে খেলার স্মৃতিগুলো বেশি মনে পড়ে। শৈশবে খেলাধুলায় মেতে থাকতাম। আর সেই সময় গুলো অনেক আনন্দে কেটে যেত।