কবিতাটি লিখলাম, নিজের চেষ্টায়।
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছো? আশা করি, সবাই ভাল আছো। আপনাদের দোয়ায় আর আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটা নতুন কবিতা শেয়ার করলাম। কবিতাটি আমি নিজের চেষ্টায় লিখেছি। কবিতার নাম হাতের-চুরি। আশা করি, কবিতাটি পড়ে আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
আমার লেখার ভিতরে যদি কোন ভুলত্রুটি হয়ে থাকে। তাহলে আপনারা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর যদি ভালো লাগে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না প্লিজ। আমি যদি আপনাদের সাপোর্ট পাই, তাহলে আরো নতুন কিছু লেখার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
হাতের চুরি রুপোর ঝলক
সোনার সোহাগ,
কণ্ঠে বাজে মিষ্টি রিনিঝিনি রাগ।
নববধূর হাতে নাচে লাজুক লতা,
যেন তার স্বপ্নে
আঁকা রঙিন কথা।
কিশোরীর হাতে এটি কেবলই সাজ,
দুরন্ত চঞ্চলতার অবাধ আওয়াজ।
বৃদ্ধার হাতে যেন স্মৃতির পরশ,
হারানো দিনের
যত নীরব সরস।
কাজের ফাঁকে যখন একটুও দম,
চুরির টুংটাং যেন জুড়ায় মন।
আলো ঝলমলে
রাতে তারাদের সাথে,
হাতের চুরিও নাচে আপন খেয়ালেতে।
কখনও সে নীরব
কখনও মুখর,
হাতের চুরি যেন জীবনের স্বর।
ঐতিহ্যের ধারা বয়ে চলে যুগ যুগ,
হাতের চুরি যেন
বাঙালির অনুরাগ।
হাতের চুরি বাজে কি আর
সে তো কবে ভেঙে গেছে,
পড়ে আছে ধুলো আর!
তবু যেন বাজে—যেন বাজে
আমারি বুকের কাছে!
সে চুরি তো নয় শুধু,
একটি দিনের ছবি,
আধো-আলো,
আধো-অন্ধকার,
যেন কোন্ দূর নদীর পারে
বাজিতেছে ধীরে ধীরে!
সে চুরি তো নয় শুধু,
একটি নীরব কথা,
একটি বিস্মৃত সুর,
যেন কোন্ গভীর রাতে
জেগে আছে আমার সাথে!
সে চুরি তো নয় শুধু,
আমার যৌবন যেন
স্বপ্নের মতন,
হারানো দিনের স্মৃতি
কাঁদে একা নিশিদিন ধরি!
কে জানে কোথায় আছে—
সে হাতের চুরি আর
বাজবে কি কোনোদিন?
আমার বুকের কাছে
যেন বাজে—যেন বাজে—যেন বাজে
সে অমলিন!
আমার কবিতাটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই যেন সব সময় ভালো এবং সুস্থ থাকেন । সবার দীর্ঘ আয়ু কামনা করে এখানেই শেষ করছি। আপনার দিনটি শুভ হোক।