পারিবারিক অনুশাসন।।২৯ জুলাই ২০২৫
হ্যালো বন্ধুরা,
পারিবারিক অনুশাসন বর্তমান যুগে আগের তুলনায় অনেকটাই কমে গেছে – এমনটা সমাজবিজ্ঞানীরা এবং মনোবিশ্লেষকেরা প্রায়শই উল্লেখ করেন।এক সময় পরিবার ছিল মূল্যবোধ, শিষ্টাচার ও নিয়মকানুন শেখার প্রথম এবং প্রধান বিদ্যালয়।বাবা-মা, দাদা-দিদি বা দাদু-ঠাকুমার মতো অভিজ্ঞ সদস্যরা বাড়িতেই এক ধরনের নৈতিক কাঠামো গড়ে তুলতেন, যেখানে শৃঙ্খলা, বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা, দায়িত্ববোধ এবং সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে চলার অভ্যাস শেখানো হতো।
কিন্তু আধুনিক সমাজে পরিবার ছোট হয়ে গিয়েছে, যৌথ পরিবার ভেঙে গিয়ে একক পরিবারের সংখ্যা বেড়েছে।বাবা-মা দু’জনেই প্রায়শই কর্মব্যস্ত, ফলে সন্তানদের সঙ্গে সরাসরি সময় কাটানোর সুযোগ কমে গেছে। এর ফলে পারিবারিক শিক্ষা বা অনুশাসনের সেই পুরোনো রূপ অনেক ক্ষেত্রে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
আরও বড় কারণ হল আধুনিক প্রযুক্তি এবং বৈশ্বিক সংস্কৃতির প্রভাব।আজকের প্রজন্মের হাতে স্মার্টফোন, ইন্টারনেট ও সামাজিক মাধ্যম এমন এক খোলা জানালা তৈরি করেছে, যেখানে তথ্য, বিনোদন এবং মতাদর্শের অফুরন্ত জগতে তারা নিমগ্ন থাকে।ফলে তারা পরিবারের অভ্যন্তরীণ নিয়মকানুনের থেকে বেশি প্রভাবিত হয় বাইরের জগতের চিন্তাধারায়।আত্মপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যকে এখন বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় যা ভালো দিক হলেও এর ফলে অনেক সময় শৃঙ্খলা, সহিষ্ণুতা এবং পারিবারিক ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধার বোধ দুর্বল হয়ে যায়।
তবে এই পরিবর্তনের মধ্যেও অনেক পরিবার এখনো অনুশাসনের গুরুত্ব বোঝে এবং তা নতুনভাবে প্রয়োগ করার চেষ্টা করছে।কঠোর নিয়মের বদলে তারা এখন আলোচনা, বোঝাপড়া ও সহানুভূতির মাধ্যমে সন্তানদের দায়িত্ববোধ শেখাতে চায়।অর্থাৎ অনুশাসনের ধরন পাল্টে গেছে—আগের মতো কঠোর নিয়ন্ত্রণ নেই,কিন্তু মূল্যবোধ শেখানোর চেষ্টাটি অন্য রূপে চালু আছে।তবুও সামগ্রিকভাবে বিচার করলে, আজকের দ্রুতগতির জীবনে এবং প্রযুক্তি নির্ভর পরিবেশে পারিবারিক অনুশাসনের প্রভাব আগের তুলনায় অনেকটাই শিথিল হয়েছে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
কঠোর নিয়মের চেয়ে এটা কিন্তু অনেক ভালো। কারণ কঠোর নিয়মের কারণে অনেকে একেবারে বিগড়ে যায়। চোখের সামনে এমন অনেক ঘটনা আমি দেখেছি। যাইহোক চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন দাদা। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।