কিছু কিছু মানুষের স্বভাব পরিবর্তন হয় না।

হ্যালো বন্ধুরা

হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমার শ্বশুরবাড়ির একটি মহিলার ঘটনা। মহিলাটি এখন মোটামুটি বৃদ্ধ বয়সে চলে আসলো। আর মহিলাটি আমার শাশুড়ির বয়সের। এই মহিলার চাল চরণ এবং স্বভাব আগে যেমন ছিল এখনও সেরকম আছে। মহিলাটির হাজবেন্ড যখন ছিল তখন মহিলাটিদের পরিবার অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। বলতে গেলে দিনে এনে দিনে খেতেন তারা। ওই সময় বাড়ির কিছু লোক এবং আত্মীয়স্বজন তাকে এবং তার পরিবারকে হেল্প করত। ওই কারণে ওই সময় তাদের অভাব তেমন ছিল না। যদিও তেমন জায়গা সম্পত্তি নেই তাদের। মহিলাটি দুইটি ছেলে এবং তিনটি মেয়ে আছে।

আর বর্তমান সময়ে ছেলেমেয়ে সবগুলো বিবাহিত। তার ছেলে দুইজন বর্তমানে সৌদি আরবে আছে। এবং সৌদি আরবে মোটামুটি ভালোই অবস্থা আছে। যদিও তারা যে সময় বিদেশ গেল অনেক কষ্ট করে বিদেশ গেলেন। আর বর্তমানে আমার শ্বশুর বাড়িতে মহিলাটির ছেলে দুইটির অবস্থা খুবই ভালো। তারা ঘর বাড়ির সব করেছে। এবং মেয়েদের মোটামুটি ভালো বিয়ে দিয়েছেন। ওই কথায় আছে স্বভাব মানুষের পরিবর্তন হয় না। মহিলাটি দুইটি ছেলের ওয়াইফের সাথে খাওয়া-দাওয়া করে না। এবং মহিলাটি এখনো পর্যন্ত নিজে আলাদা রান্না করে খায়। আর বাড়ির সবাই এবং আত্মীয়-স্বজনের হেল্প নেই। হেল্প নিয়ে মহিলাটি তার জীবন জীবিকার খরচ বহন করে।

তবে ছেলে দুটি এবং ছেলে দুইটির ওয়াইফ বারবার বলে কারো হেল্প নেওয়ার দরকার নেই। আমরা আপনার সম্পূর্ণ খরচ এবং ওষুধ দাবায় সব বহন করব। এবং ছেলের ওয়াইফেরা বলে কারো থেকে হেল্প নিবেন না। কারণ আপনার ছেলেগুলো এখন বিদেশ ভালো অবস্থা আছে। তাদেরও মান সম্মান আছে। আপনি একজনের ঘরে খাওয়া দাওয়া করেন আরেকজন আপনাকে কিছু টাকা দেবে আপনার হাত খরচ টাকা। আর বোনগুলো আসছে আমরা সবাই সুন্দর করে দুই ভাইয়ে খাওয়াবো। মহিলাটি ছেলেদের সাথে খেতে রাজি না। বাড়ির কেউ যদি বোঝানোর চেষ্টা করে উল্টা আরো গালিগালাজ করে।

মহিলাটি ছোট ছেলে আমার বিবাহর একমাস পরে বিয়ে করলেন। ঈদের আগে ছোট ছেলের ওয়াইফ এসে মহিলাকে হাত ধরে পা ধরে বলল আপনি আমার কাছে খাওয়া-দাওয়া করেন আমি আপনার সম্পূর্ণ খরচ বহন করব। শুধু আমার ছোট্ট মেয়েটিকে আপনি দেখাশোনা করবেন। এবং আপুরা আসলে আমি তাদের খাওয়া দাওয়া সবকিছু বহন করব। এবং মহিলাটি ছোট ছেলের ওয়াইফের সাথে খুব বাজে ভাবে কথা বলেছে। এবং তাদের কথা শুনতে রাজি না। ওই সময় আমার হাজব্যান্ড মহিলাটিকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। প্রয়োজনে আপনি একমাস ছোট ছেলের ওয়াইফের সাথে খাওয়া-দাওয়া করেন।

যদি সুন্দরভাবে আপনাকে সেই পরিচালনা না করতে পারে তাহলে তার সাথে খাওয়া-দাওয়া করবেন না। মহিলাটি বলতেছে আমি মানুষের থেকে হেল্প নিয়ে চলাফেরা করি। আর ছেলেরা আমার খাওয়া দাওয়া করাবে সেটি ঠিক আছে। কিন্তু আমি মানুষের থেকে টাকা নিয়ে আমার তিন মেয়ের জামাইকে আমি তিনটি সিএনজি কিনে দিয়েছি। আমি মা হিসেবে মেয়েদের দায়িত্ব পালন করছি। এই কথা শুনে ওইখানে উপস্থিত থাকার লোক সবাই হা করে মহিলার দিকে তাকিয়ে রইলো। কারণ মানুষের থেকে হেল্প নিয়ে নিজে চলে এবং মেয়েদের স্বামীদেরকে সিএনজি পর্যন্ত কিনে দিয়েছেন। এই কারণে মহিলাটি ছেলেদের ওয়াইফের সাথে খাওয়া-দাওয়া করে না। এবং তাদের বদনাম করে সবসময়।

এখন বাড়িতে অনেকে বলে মহিলাটি এক ধরনের বিজনেস চালু করে দিল। কারণ মানুষের থেকে মিথ্যা কথা বলে হেল্প নিয়ে নিজে চলে এবং মেয়েদের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করে। এবং অনেকে বলে আগে মানুষের কাছ থেকে হেল্প নিতে নিতে এখন মহিলাটি স্বভাব খারাপ হয়ে গেল। এই কারণে মহিলাটি এখনো মানুষের হেল্প নেওয়ার চেষ্টা করে। এই কথা চিন্তা করে না তার ছেলেমেয়েদের মান ইজ্জত সব নষ্ট করতেছে সে। এই কারণে কিছু মানুষের স্বভাব পরিবর্তন হয় না। আশা করি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

🥰 ধন্যবাদ সবাইকে 🥰