করোনা ভাইরাসের সময়ে ঘুর্নি উড়ানোর স্মৃতিময় গল্প।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৯ শে মে, সোমবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। কিছুদিন আগে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম তারপর সেখানে কয়েকদিন থেকে আবার ঢাকা শহরে এসেছি। গ্রামীণ প্রাকৃতিক পরিবেশ সবসময় আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। গ্রামীণ প্রকৃতি আমাকে তার নিজের কাছে টানে। জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত যদি গ্রামে অতিবাহিত করতে পারতাম তাহলে অনেক সুন্দর হতো। কিন্তু প্রয়োজনের খাতিরে আমাদেরকে বর্তমান সময়ে শহরে এক প্রকার বাধ্য হয়ে থাকতে হয়। যখন আমি শহরে থাকি তখন গ্রামীণ জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত ভীষণ মনে পড়ে। করোনা কালীন সময়ে গ্রামীণ জনজীবনে ছিল যেমন আতঙ্ক তেমনি ছিল আনন্দ উল্লাস। আমি আজকে করোনা কালীন সময়ে ঘূর্ণি উড়ানোর স্মৃতিময় সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
করোনা কালীন সময়ে গ্রামে ছিল যেমন আতঙ্ক তেমনি ছিল আনন্দ উল্লাস। প্রচন্ড করোনার প্রভাবে শহরের জনগণ গ্রামের দিকে ধাবিত হচ্ছিল। কারণ শহরে গ্রামের তুলনায় করোনার প্রভাব অনেক বেশি ছিল। আর শহরগুলো থেকেই করোনা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছিল। এ সময়ের সবার মত আমিও কুষ্টিয়া মেস ছেড়ে দিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে আসি।
আমি যে সময় গ্রামে আসি সে সময় মার্চ মাস ছিল। গ্রামে আসার পরে সবার সাথেই প্রতিদিন ভীষণ আড্ডা জমতো। তখন বাইরে কোথাও যেতাম না গ্রামের ছেলেপেলেরা মিলে খেলাধুলা আর গ্রামীণ মাঠগুলোতে ঘুরে বেড়াতাম। তারপর কিছুদিন যেতেই গ্রামে ঘুর্নি উড়ানোর প্রবণতা বাড়তে শুরু হলো। আমাদের গ্রামে সব থেকে বেশি ঘূর্ণি বাড়ানো হতো আমাদের বাড়িতে।
আমার কাকা আর কাকাতো ভাই গুলো সবাই ঘুর্ণি বানানোই দারুন এক্সপার্ট ছিল। আমি অবশ্য খুব একটা এক্সপার্ট ছিলাম না তবে বেশ সাহায্য করতাম। আর তাদেরকে এভাবে সাহায্য করতে করতে আমিও মোটামুটি ভালোই শিখে গিয়েছিলাম। অনেকেই ঘূর্ণি বানানোর জন্য বাঁশ নিয়ে আমাদের বাড়িতে চলে আসতো।
এ বছরে আমার কাকা সহ আমরা অনেকগুলো ঘুর্নি বানিয়েছিলাম। আর এসব ঘুর্নিগুলো আমরা নিজেরা উড়াতাম। আর যদি কেউ বানিয়ে দিতে বলত তাদেরকে বানিয়ে দিতাম। করণাকালীন সময়ে বেশিরভাগ সময় ঘূর্ণি বানানো এবং উড়ানো নিয়েই কেটে যেত। সারাদিন যেমন তেমন বিকালের দিকে গ্রামীণ মাঠে গেলেই মনে হতো আকাশে ঘুর্ণির হচ্ছে।
আর রাতের বেলাতে আকাশে এত পরিমান ঘূর্ণির আলো দেখা যেত যে, মনে হতো পুরো আকাশ তারায় ভরে রয়েছে। এখন তো ঘূর্ণি উড়ানোর সময় কিন্তু গ্রামে গিয়ে এখন করোনা কালীন সময়ের সেই সুন্দর মুহূর্ত গুলো ভীষণ মনে পড়ে। এখন গ্রামে গেলে আকাশে আর তেমন একটা ঘূর্ণি উড়ানো দেখা যায় না। সময়ের সাথে সাথে মানুষ আবার আগের মত ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১লা এপ্রিল ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন: মোহাম্মদপুর,ঢাকা
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


Screenshot:
Comment Link:
https://x.com/aongkonbd/status/1924754784395121131?t=PQ_qu7dErLDsl9fcS7B6lg&s=19
https://x.com/aongkonbd/status/1924755508499775565?t=71GOTb1SXr0GQD9gzB8dKQ&s=19
করোনা ভাইরাসের সময়ে ঘুর্নি উড়ানোর স্মৃতিময় গল্প শেয়ার করেছেন।করোনাকালীন সময়ের আপনার এই স্মৃতিগুলো খুবই সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। বিশেষ করে গ্রামীণ জীবনের সরল আনন্দ, প্রকৃতির সাথে মিশে থাকা এবং সৃষ্টিশীল কাজে সময় কাটানোর যে চিত্র আপনি এঁকেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। বর্তমান ব্যস্ত জীবনে এইসব সহজ-সরল মুহূর্তগুলো সত্যিই খুব মিস করি।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।