স্বাস্থ্য-নাক ডাকা ও হৃদরোগ।।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।


হ্যালো বন্ধুরা ?


আমি আনিসুর রহমান।আমার ইউজার আই ডি @anisshamim।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।পোস্টটি স্বাস্থ্য বিষয় সচেতনতা মূলক।নাক ডাকা ও হৃদরোগের ঝুঁকি নিয়ে।আশাকরি, পোস্টটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে এবং আপনারা উপকৃত হবেন।


Source


ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা একটি প্রকট সমস্যা। বর্তমানে আমাদের আশেপাশের অনেক মানুষকে এ সমস্যার ভুগতে দেখা যায়। তবে সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো ঘুমের মধ্যে নাক ডাকাকে অনেকে সমস্যা মনে করে না।কেবল গভীর ঘুমের লক্ষণ মনে করে থাকে।কিন্তু বাস্তবিক অর্থে নাক ডাকা প্রশান্তিময় তৃপ্তিদায়ক ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানোসহ আরও নানাবিধ স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে।

সবচেয়ে লক্ষ্যণীয় ব্যাপার হচ্ছে যিনি ঘুমের মধ্যে নাক ডাকেন তিনি তা একেবারেই টের পান না।কিন্তু তার পাশে যিনি থাকেন তিনি অনেক বিরক্ত বোধ করে থাকেন।এমনি নাক ডাকার শব্দে তার ঘুম আসে না। ঘুমের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি পথে কোন বাধা পেলে তখন বাতাস শ্বাসযন্ত্রে কাঁপুনির সৃষ্টি করে। আর এরই ফলে নাক ডাকার শব্দ হয়।

কারো নাকে পলিপ থাকলে বা সাইনাসের সমস্যা থাকলে নাক ডাকা শুরু হতে পারে।অনেকের ওজন বাড়ার সাথে সাথে গলার চারপাশে চর্বি জমা হয়।বয়সের সঙ্গে নাক ডাকার সম্পর্ক আছে। যত বয়স বাড়ে কন্ঠনালি সরু হতে থাকে। ফলে নাক ডাকা শুরু হয়। লম্বা বা টান টান হয়ে ঘুমানো কারনেও অনেকে নাক ডেকে থাকে।ধুমপান ও এলকোহল এই সমস্যা আরও বৃদ্ধি করে।


নাক ডাকা রোগীদের হার্ট অ্যাটাক বেশি হয়,হার্ট ফেইলুরের ঝুঁকি বেশি হয়।এমনকি ঘুমের মধ্যে হঠাৎ মৃত্যুর কারণ হতে পারে এই নাক ডাকার কারণে।এছাড়া নাক ডাকা রোগীদের ডায়াবেটিস এবং স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা বেশি থাকে।

যারা নাক ডাকেন তারা চিৎ হয়ে না ঘুমিয়ে ডান কাত হতে ঘুমাতে পারেন।চিৎ হয়ে ঘুমালে গলার পেশি শিথিল থাকে।ফলে নাক বেশি ডাকার আশংকা থাকে। ওজন কমালেও নাক ডাকা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। নেশা জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। ঘুমানোর সময় মাথার নিচে একের অধিক বালিশ দিয়ে ঘুমালে নাক ডাকা কমতে পারে।কারণ মাথার নিচে বালিশ বুকের চেয়ে মাথা উপরে থাকে।এতে করে নাক ডাকার আশংকা কিছুটা কম থাকে।নিদিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া। এতে করে ঘুমের সঙ্গে শরীরের এক ধরনের সামঞ্জস্য তৈরি হয়।নিয়মিত ব্যায়াম করা,প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা উচিত। এতে নাকের রন্ধ্রে লেগে থাকা আঠার মতো দ্রব্যগুলো দূর হবে।ফলে নাক ডাকা ও কমবে।তাই এই বিষয়ে সকলকেই যত্নবান হতে হবে।


আজ এ পযর্ন্তই।অন্য দিন অন্য কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে আবারও হাজির হবো।ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।আর লিখার মধ্যে কোন ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।আর পোস্টটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাবে আপনাদের মতামত দিবেন।

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 2 years ago 

আসলেই ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা গুরুতর একটা সমস্যা। তার উপর এর আবার কোন সমাধানও নেই। এটা বেশ ঝামেলার। এবং যারা নাকী বেশি নাক ডাকে তাদের নাকী হৃদরোগ বেশি হয় এটা মেডিকেল সাইন্স এর মতে। ব‍্যাপার টা বেশ ভয়ানক। বেশ চমৎকার লিখেছেন ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

খুব সুন্দর পোস্ট করেছেন ভাইয়া।আসলে নাক ডাকলে পাশের মানুষের যেমন সমস্যায় পড়তে হয় তেমনি আবার নিজের ও অনেক শারিরীক সমস্যায় পড়ার সম্ববনা থাকে। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই। নাক ডাকার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম আপনার পোস্ট পড়ে। নাক ডাকা দূর করার জন্য বা তীব্রতা কমানোর জন্য বেশ কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন। আসলেই নাক ডাকা মানুষের সাথে যে ঘুমায়, সে হাড়ে হাড়ে টের পায়। যাদের ঘুম পাতলা তাদের তো নাক ডাকার প্রচন্ড শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। এই সমস্যা নিয়ে অনেক পরিবারেই ঝামেলার সৃষ্টি হয়। যাইহোক এতো সুন্দর একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।