বৈচিত্র্যময় শাপলা ফুলের সৌন্দর্য।

বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম আসসালামু আলাইকুম

শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।

প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, বৈচিত্র্যময় শাপলা ফুলের সৌন্দর্য এই বিষয় সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।

আসুন শুরু করি

লোকেশন

শাপলা ফুলের আলোকচিত্র

ফুলের সৌন্দর্য আমাদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। আমরা প্রতিনিয়ত অনেক রকম ফুল দেখে থাকি। বৈচিত্র্যময় ফুলের সৌন্দর্য সত্যি খুবই অসাধারণ হয়ে থাকে। আসলে ফুলের সৌরভ এবং সৌন্দর্য সত্যি খুব দারুণ হয়ে থাকে। ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করার অনুভূতির মুখে বলে প্রকাশ করা সম্ভব নয় । ফুলের পাপড়ির নান্দনিক সৌন্দর্য দেখে এবং মন মাতানো সৌরভে আমরা বিভর হয়ে থাকি। আমরা প্রতিনিয়ত অনেক রকমের ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করি। আমাদের দেশের প্রতিটি ঋতুতে হরেক রকমের ফুল দেখতে পাওয়া যায়। বলা যায় ফুল হচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম উৎস।

শাপলা ফুল আমাদের সকলের খুব পরিচিত ফুল। আমাদের দেশের জাতীয় ফুল হচ্ছে শাপলা। বর্ষাকালীন ফুলের মধ্যে শাপলা ফুল অন্যতম। শাপলা ফুল বর্ষাকাল এবং
শরৎকালে ফুটে থাকে। শাপলা হচ্ছে জলজ উদ্ভিদ। শাপলা ফুল সাধারণত গ্রাম অঞ্চলে খালে, বিলে, ঝিলে, পুকুর, দিঘি এবং বর্ষাকালে নিম্ন অঞ্চলে শাপলা ফুল দেখতে পাওয়া যায়। শাপলা ফুলের অনেক জাত রয়েছে। শাপলা সাধারণত গোলাপি, সাদা, বেগুনি রঙের হয়ে থাকে। গোলাপি রঙের শাপলা ফুল সর্বত্র দেখতে পাওয়া যায় গ্রাম অঞ্চলে। শাপলা ফুল ভোর বেলা ফোটে এবং দিনের আলো বাড়ার সাথে সাথে পাপড়ি বুজে যায়।

শাপলা ফুল পানির মধ্যে জন্মায়। সরাসরি কাণ্ড ও মূলের সাথে শাপলা ফুল যুক্ত থাকে। শাপলা পাতা এবং ফুল পানিতে ভেসে থাকে। শাপলা ফুলের মূল যুক্ত থাকে মাটির সঙ্গে পানির নিচে। শাপলা পাতা গুলো গোল খয়েরী এবং সবুজ রঙের হয়ে থাকে। পাতার নিচের দিকে কালো রঙের হয়ে থাকে। শাপলা ফুল দেখতে খুবই সুন্দর । ফুলের নান্দনিক সৌন্দর্য সবাইকে বেশ মুগ্ধ করে। বিশেষ করে ফুলের পাপড়ির গঠন বৈশিষ্ট্য খুবই দারুণ। ফুলের সৌন্দর্যতার জন্য শাপলা ফুল সবার নিকট ব্যাপক জনপ্রিয়। শাপলা ফুলের মূল বা, কাণ্ড খাওয়া যায়।

সবজি হিসেবে শাপলা ফুল বেশ জনপ্রিয় খাবার । শাপলা ভাজি করে বা, মাছ দিয়ে রান্না করে খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করা হয়। শাপলা খুবই সুস্বাদু খাবার। শাপলা ফুলের ব্যবহার অনেক। শাপলা ফুল আমার পছন্দের ফুলের মধ্যে অন্যতম। বর্ষাকালে যখন গ্রাম অঞ্চলে বর্ষাকালে বৈচিত্রময় শাপলা ফুল দেখতে পাওয়া যায় তখন ফুল গুলো খুবই সুন্দর লাগে দেখতে। বাংলাদেশের জাতীয় ফুলের মর্যাদা পেয়েছে শাপলা। পুকুরে বা, দিঘিতে শাপলা ফুল যখন একসাথে ফুটে থাকে তখন দেখতে খুব সুন্দর লাগে।

পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।

অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন । এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।

সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।

আমার পরিচিতি

আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।