চাকরি জীবন।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম।

আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

  • চাকরি
  • ০৬,মে ,২০২৪
  • সোমবার

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে আবারো হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। মানুষের জীবন কর্মব্যস্তময় বিশেষ করে পুরুষ মানুষের জীবন কর্মব্যস্তময় বেশি হয়। তারা যদি কর্মব্যস্তর মধ্যে না থাকে তাহলে তাদের জীবনের সাথে কেমন যেন অমানুষ হয় মনে হয়। পুরুষ মানুষ হবে কর্মজীবী। সবারই স্বপ্ন লেখাপড়া শেষ করে ভালো একটা চাকরি করে কর্মজীবী হয়ে যাবে। সবাই অনেক বেশি চেষ্টা করে একদিন চেষ্টা করার ফলে মিলে যায়। কিন্তু অল্পতেই হতাশ হওয়া যাবে না আমাদের গন্তব্যের থেকে আমরা একদিন যাবোই যাবো ইনশাআল্লাহ।

আপনারা অবগত আছেন অনেক অপেক্ষা করার পর এবং চেষ্টা করার পর অবশেষে আমি একটি চাকরিতে জয়েন করেছি। একটা মানুষের নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলার জন্য চাকরির বিকল্প নেই। কারণ অনেক এলোমেলো মানুষও নিয়মের মধ্যে চলে আসে চাকরি জীবনে গেলে। ব্যাচেলর লাইফে কোন কাজ না থাকলে সময়ের ঘুম সময় নেই আমরা সারারাত জেগে থাকি এবং সকালবেলা ঘুমাতে যায় এভাবেই আমাদের দিনরাত পার হয়ে যায়। মাঝেমধ্যে নিজের কাছেই এমন জীবন যাপন অসহ্য লাগবে। মনে হবে এটা কোন জীবন হলো যার কোন নিয়ম-শৃঙ্খলা নেই।


building-2762319_1280.jpg

Source

ওই মানুষটাই যখন চাকরি জীবনে প্রবেশ করবে তখন তার জীবন চলার পথ বদলে যাবে। সে আর চাইলেও রাত জাগবে না কারণ সে একটি নিয়মের মধ্যে চলাচল করা শুরু করবে। এমনটা আমার ক্ষেত্রেও হয়েছে আমি অল্প কিছুদিন চাকরিতে জয়েন করলেও রাত আসলেই কেমন যেন মনে হয় দ্রুত ঘুমাতে হবে সকালে উঠে আবার অফিসে যেতে হবে। তবে প্রথমে চাকরিতে গেলে একটু কষ্ট বেশি হয় কারণ পুরা আলাদা জগত এ জগতে নিজেকে মানিয়ে নিতে অনেকটা সময় লেগে যায়। হঠাৎ করেই সময়ের ঘুম সময় আসা বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে ওঠাটা বেশি কষ্টের মনে হয়। আমার তো এখন মাঝেমধ্যে মনে হয় সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় যে চাকরি বাদ আগে আমি ঘুমিয়ে নেই। কিন্তু পরক্ষণে আবার চোখ খুলতে হয়। কারণ চাকরি জীবন মানে অনেক বড় একটি দায়িত্ব।

আমার এখন সকালে অফিসে গেলে অনেকটা সময় ধরে বসে বসে ঝিমাই তবে কিছুটা সময় গেলে ঠিক হয়ে যায়। আস্তে আস্তে এভাবে অভ্যাস হয়ে গেলে তখন আর তেমন কিছু মনে হবে না। আমার এখন কাজ শেখার সময় তাই ফাঁকি দেওয়া যাবে না। ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে যে যত কাজ জানবে সে তত উপরে উঠতে পারবে এবং তাকে সবাই মূল্যায়ন করবে।

ইনশাআল্লাহ একমাস জব করলে আমার আগের অভ্যাসগুলো ত্যাগ করতে পারব এবং সবকিছু তখন স্বাভাবিক মনে হবে। সব মিলিয়ে চাকরি জীবনটা শুরু করেছি বেশ ভালই লাগছে। সকাল ৭ টায় ঘুম থেকে উঠে আটটার মধ্যে বেরিয়ে পড়ি অফিসে যাওয়ার জন্য। আমার অফিস টাইম নয়টা থেকে ছয়টা পর্যন্ত। আমার বাসা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে প্রজেক্ট চলছে সেখানেই আছি আপাতত। বাইক নিয়ে যাতায়াত করছি তেমন কোন সমস্যা হচ্ছে না তবে যাতায়াত খরচটা বেশি পরে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে এখন ব্যস্ততম সময় পার করছি। এখন রাত গভীর হওয়ার আগেই চোখে ঘুম চলে আসে। আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে অন্য কোন গল্প নিয়ে।


আমি কে !

IMG_20231120_103032_225.jpg

আমি মোঃ রাহুল হোসেন, আমার ইউজার নেম @mrahul40। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন।

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 last year 

আপনি চাকরিতে জয়েন করলেন আর সিয়াম চাকরি থেকে অব্যাহতি দিল সআসলে চাকরি জীবনটা অনেকটাই কষ্টকর এবং এর মাঝে অনেকটাই জ্বালা যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। যাই হোক আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

 last year 

জ্বি আপু চাকরি জীবন অনেক বেশি কষ্টের একটা বাধা জীবন।

 last year 

ভাই নতুন চাকরিতে প্রবেশ করেছেন তাই প্রথমে দেখে একটু কষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিছুদিন চাকরি করলে আশা করি অভ্যাস হয়ে যাবে। আপনার চাকরি জীবন অনেক সুন্দর হোক এটাই প্রত্যাশা করি।

 last year 

ঠিক বলেছেন কিছুদিন চাকরি করলে অভ্যাস হয়ে যাবে তখন এভাবেই চলতে ভালো লাগবে।

 last year 

যে কোন কাজের ক্ষেত্রেই হঠাৎ রুটিন পরিবর্তন করতে গেলে একটু কষ্ট হয় তবে ধারাবাহিকভাবে সেই কাজের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া যায়। নতুন চাকরি জীবন নিজের মনের মতই হয়ে যাবে অর্থাৎ যখন সেই রুটিনের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবে।

 last year 

আস্তে আস্তে সব মানিয়ে নেব ইনশাআল্লাহ কিন্তু সময় লাগবে

 last year 

বাইক নিয়ে যাতায়াত করছি তেমন কোন সমস্যা হচ্ছে না তবে যাতায়াত খরচটা বেশি পরে যাচ্ছে।

এক্ষেত্রে আমি আপনাকে একটা বুদ্ধি দিতে পারি। আপনি চেষ্টা করবেন আপনার বাসা থেকে কর্মস্থলের দিকে যাওয়ার সময় একজন সাধারণ ‍যাএীকে নিয়ে যাওয়ার যারা উবার বা পাঠাও এর অপেক্ষায় থাকে এবং আসার সময় একজনকে নিয়ে আসবেন। তাহলে আপনার যাতায়াত খরচ টা উঠে যাবে। হ‍্যা প্রতিদিন হয়তো হবে না। ঢাকা তে যারা বাইক নিয়ে অফিস করে তাদের মধ্যে অনেকেই এই পন্থা অবলম্বন করে আমি দেখেছি।

 last year 

ভালো বুদ্ধি দিয়েছো কিন্তু সব সময় তো আর কাউকে পাওয়া যাবে না আর আমি যে রুটে চলাচল করি ওই ভাবে লোক পাওয়া যায় না।