স্বস্তির বৃষ্টি।

in আমার বাংলা ব্লগ24 days ago (edited)

হ্যালো..!!

আমার প্রিয় বন্ধুরা,

আমি @purnima14 বাংলাদেশী,

আজ- ০৩ জুন, মঙ্গলবার , ২০২৫ খ্রিঃ

কভার ফটো


1000051753.jpg

কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আজকে হাজির হয়েছে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। স্বস্তির বৃষ্টি তো আমরা সকলেই খুব পছন্দ করি। এই গরমে সারাদিন মানুষ যখন অতিষ্ঠ হয়ে যায় ঠিক সন্ধ্যে এক পলসা বৃষ্টি কিংবা কালবৈশাখী মনে শান্তি এনে দেয়। আজকে স্বস্তির বৃষ্টি সম্পর্কে দেখব। চলেন তাহলে পোস্টটি পড়ে আসা যাক।



এখন জৈষ্ঠ মাস। এসময় অতিরিক্ত গরম পড়ে। সারাদিন রোদের তীব্রতা এতটাই বেশি থাকে যে প্রতিটি মানুষ অতৃষ্ট হয়ে যায়। কর্মব্যস্ত মানুষগুলো দিশাহীন হয়ে পড়ে। এ সময় সবাই একটু বৃষ্টির আশা করে। আর বৈশাখ জৈষ্ঠ মাস হল কালবৈশাখীর সময়। এ সময় এই রোদ হতো এই ঝড়। যখন তখন ঝড় উঠে আসে। এই ঝড়ে মানুষ যতটানা বিরক্ত হয় তার থেকে বেশি স্বস্তিদায়ক মনে করে।

আজকের কথাই বলা যাক, আজ তিন দিন হল গ্রামে এসেছি। কালকে এবং তার আগে দিন এতটাও গরম ছিল না। আজকে অত্যাধিক পরিমাণের গরম পড়েছিল। এই গরমে শহরের থেকে গ্রামের মানুষের বেশি কষ্ট হয়। শহরের প্রায় সব সময় ফ্যানের নিচে থাকা হয়। এখন তো আবার বেশিরভাগ মানুষের রুমে এসি রয়েছে। আর গ্রামে এসি তো নেই আর ফ্যান সেটার জন্য কারেন্ট থাকে না। সারাদিন কারেন্ট থাকে না বললেই চলে। তবে আজকে কারেন্ট ছিল তারপরেও গরম সামলানো যাচ্ছে না। বিশেষ করে টিনের ঘরগুলোতে তো একটু ঠান্ডার আশা করা বিলাসিতা। ফ্যান চালালেও মনে হয় টিনের উপরের গরম ফ্যানের সাহায্যে নিচে চলে আসছে। এ অবস্থায় গ্রামের মানুষের প্রচন্ড কষ্ট হয়।

কিছু কিছু মানুষ আছে যারা গরম একেবারে সহ্য করতে পারে না। তাদের তো কষ্টের শেষ নেই। এই আমি তো গরম সহ্য করতে পারি না। আজকের গরমে প্রচন্ড কষ্ট হয়েছে। গরম পড়লে মনে হয় সারা শরীর জ্বলে যাচ্ছে। খুবই কঠিন অবস্থা। আজকের গরমে প্রায় প্রতিটি মানুষ অতিষ্ঠ। ফ্যানের নিচে থাকা অবস্থায় গা ঘেমে জল পড়ছিল। রোদের ছিল কঠোর তাপ। চারিদিকে একটু বাতাস ছিল না। চারিদিকে এতটাই ভাব সাধারণ যে প্রতিটি মানুষের কন্ঠে অতিষ্ঠ তার করুন সুর। সে যেন মেনে নেওয়ার মতো না। সারাদিন এভাবেই চলছিল।

বিকাল চারটা নাগাদ চারিদিকে একটু ঠান্ডা বাতাস বইতে লাগলো। আস্তে আস্তে একটু মেঘ হলো। এভাবে মেঘ ছেয়ে গেল পুরো আকাশে। মিনিট পনেরোর মধ্যেই ঝমঝম করে বৃষ্টি নামে পড়ল। বৃষ্টি পড়তেই সকলের মুখে হাসি। এ যেন স্বস্তির বৃষ্টি। এই যে সারাদিন গরমের পরে এরকম বৃষ্টিতে কতটা স্বস্তি এনে দেয় সেটা আসলে বলে বোঝানো যাবে না। এই বৃষ্টির মধ্যে আমি আর বোন স্নান করলাম। গাছের নিচে আম পড়েছিল সেগুলো কুড়িয়ে আনলাম। সে ছিল এক আনন্দঘন মুহূর্ত। মিনিট পাশের শিলা বৃষ্টি হয়েছিল। তবে খুবই অল্প। এতে কারো ক্ষতি হয়নি।

এভাবে বৃষ্টি পড়ল প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত। তারপরে চারিদিকে ঠান্ডা হয়ে গেল। প্রকৃতির সতেজতায় ভরে উঠলো। এক পলসা বৃষ্টি পেয়ে প্রকৃতি যেন মুক্ত হয়ে গেল। আকাশ স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার হয়ে গেল। চারিদিক এতটাই সৌন্দর্যে ভরে উঠলো যে প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নিতে পারছিলাম। একেই বোধহয় বলে স্বস্তির বৃষ্টি।
আজ এই পর্যন্তই।



ছবির বিবরণ

ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ০৩ জুন ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া



প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।



আমি কে !

Screenshot_20231102_205038_Facebook-01.jpeg

আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@purnima14



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 20 days ago 

সারাদিন প্রচন্ড গরমের পর এক পশলা বৃষ্টি হৃদয়ে স্বস্তি নিয়ে আসে। বাহ্ বৃষ্টির ভিতর তুমি আর বোন স্নান করেছো জেনে ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 18 days ago 

আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।