নারীর বাড়ি
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে এমন একটি বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতে এসেছি। যে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে এতো এতো লেখা লেখা হয়ে গিয়েছে যে, সেই লেখাগুলো পড়তে গেলে হয়তো এক জীবন ও কম পরে যাবে। কিন্তু তাও একজন নারী হিসেবে, একজন মেয়ে হিসেবে মনে হয় বারবার যেনো এ বিষয়টি নিয়ে লিখি কারণ এই বিষয়টি বারবার আমার সামনে চলে আসে ব্যক্তিগতভাবে বলি কিংবা পারিবারিকভাবে বলি কিংবা সামাজিকভাবেই বলি না অর্থাৎ যে কোনোভাবেই ব্যাপারটি আমার সামনে চলে আসে।
হয়তো আমি নারী বলে এই ব্যাপারটি আরো বেশি সামনে আসে। অর্থাৎ নারীর সত্যি কি কোনো বাড়ি থাকে? কারণ একটা বয়স পর্যন্ত বাবা সেই নারীটিকে আগলে রাখে এবং বারবার এটাই বলে যে। এটা তার বাড়িতে তার কথা অনুযায়ী চলতে হবে এবং আমাদের অবশ্যই পরিবারের কথা অনুযায়ী চলা উচিত। এটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু তাও ওই যে, সব সময় অন্য একজন কর্তৃত্ব দেখায় কিংবা কর্তৃত্ব খাটায়।আর এরপরে আসে স্বামী এবং সন্তানদের বাড়ি। অর্থাৎ মোট কথা বলতে গেলে নারীর নিজস্ব কোনো বাড়ি থাকে না এবং আমি আসলে আমার চারপাশে খুব কম নারী দেখেছি, যারা নিজের বাড়ি নিজে করেছেন।
আমার এটা নিয়া অনেক বড় আফসোস রয়েছে। অর্থাৎ কেনো আমাদের সমাজের নারীরা স্বাবলম্বী নয়? আমি তা জানি না। একটা ব্যাপার এখানে কিন্তু রয়েছে। অর্থাৎ নারীরা যে একেবারে কোনো ইনকাম করে না,তা কিন্তু নয়। অর্থাৎ এমন অনেক নারী রয়েছে। যারা তাদের ঘরের পুরুষ সদস্যের চেয়েও অনেক বেশি ইনকাম করে। কিন্তু তাও তাদের কোনো বাড়ি নেই। কিন্তু আমি মনে করি এই নিয়ম এর পরিবর্তন হওয়া উচিত। কারণ দিনশেষে যদি নিজের একটি বাড়ি না থাকে। তাহলে আসলে নিজের বলে যেনো কিছুই থাকে না। অন্তত আমার এমনটাই মনে হয়।