ওয়েব সিরিজ রিভিউ ( রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি- ৭,৮ এপিসোড )!

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ শনিবার, ২৯ ই মার্চ ,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000575784.jpg


ওয়েব সিরিজ এর কিছু তথ্য

------------
নামরবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি
লেখকমোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
পরিচালকশ্রীজিৎ মুখার্জী
প্লাটফর্মহইচই
মুক্তি২০২১
অভিনয়েআজমেরি হক বাঁধন, অনিবার্ন ভট্টাচার্য, রাহুল বোস, অঞ্জন দও, অনিবার্ন চক্রবর্তী।


হৃদয় আমার প্রকাশ হলো


1000575779.jpg

1000575777.jpg

1000575776.jpg

1000575769.jpg


নিরুপম মুশকান জুবেরিকে জিজ্ঞেস করে ওরিয়েন্ট হাসপাতালে অর্গান পাচারের নিউজ সম্পর্কে। ঐটা একসময় দেশের সব মিডিয়ার নজরে চলে আসে। কিন্তু মুশকান সেটাকে একটু খুজব বলে। এরপর মুশকান নিরুপমের হাতে একটা ছবির অ‍্যালবাম দেয়। মুশকানের ছবির অ‍্যালবাম। নিরুপম অ‍্যালবাম টা দেখতে থাকে। এরপর মুশকান তার গল্প বলা শুরু করে। অন‍্যদিকে ঐ ডাক্তারও এই একই গল্প বলছিল নিরুপমের স‍্যারের কাছে। ১৯৭২ সালের কথা। মুশকান তখন মেডিকেল ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থী। কোথা থেকে আসার সময় তাদের বিমান আন্দিজ পর্বতে বিধ্বস্ত হয়। মোট ১০০ জন যাাএী ছিল। এরমধ্যে অনেকেই মারা যায়। অনেক দিন কেটে গেলেও ঐখানে তাদের কেউ উদ্ধার করতে আসছিল না। ফলে খাবার পানি খাবার সবকিছুই শেষ হয়ে যায়। মুশকানের কথাগুলো শুনতে শুনতে অ‍্যালবামের পাতা উল্টাতে থাকে নিরুপম।


1000575764.jpg

1000575763.jpg

1000575761.jpg

1000575757.jpg


সে বুঝতে পারে মুশকান সবকিছু ঠিকই বলছে। অন‍্যদিকে ঐ ডাক্তারও এই একই কাহিনী বলছে। একপর্যায়ে গিয়ে খাবারের অভাবে যারা বেঁচে ছিল সবাই ঠিক করে না খেয়ে মরে যাওয়ার চেয়ে দূর্ঘটনায় যারা মারা গিয়েছে তাদের মাংস খেয়ে তারা খুদা মিটাবে। প্রথমে কয়েকজন এর বিরোধীতা করলেও পরে সবাই মেনে নেয়। এবং প্রচণ্ড ঠান্ডা এবং বরফ থাকাই কোন লাশ পঁচে যায়নি। মুশকান ছিল মেডিকেল শিক্ষার্থী এইজন্য মানুষের কোন অর্গান বা অংশ টা খাওয়ার উপযুক্ত এটা সে ঠিক করত। বেঁচে থাকার জন্য সবাই একটু অন‍্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে। মানুষের মাংস খাওয়া শুরু করে। মুশকানের কথাগুলো শোনার সময় হঠাৎ নিরুপম লক্ষ্য করে সে চোখে কম দেখছে এবং তার মাথা ঘুরছে।



মায়াবনো বিহারিনি



এক পর্যায়ে গিয়ে ৮০ দিন পর তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। তবে বেঁচে ফিরলেও মুশকান আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেনি। কারণ মানুষের মাংস খাওয়ার কথা শুনে সবাই ঘৃণার চোখে দেখতে থাকে। তখনই নিরুপমের সহকারি বলে স‍্যার নিরুপম স‍্যার বলেছিলেন ঐ মহিলার বয়স ৩৫ হবে। কিন্তু ডাক্তারের কথা অনুযায়ী মুশকানের বয়স হচ্ছে ৬৫+। তখন ঐ অফিসার আবার ডাক্তার কে জিজ্ঞেস করা শুরু করে আসল কাহিনী কী। ডাক্তার জানায় আন্দিজে ঐ ঘটনার সময় মুশকান অনবরত কয়েকদিন মানুষের শরীরের নির্দিষ্ট একটা অংশ খাই। এবং সে পরবর্তীতে লক্ষ্য করে ঐ অংশ খেলে বয়স বাড়ে না শারীরিক গঠনের কোন পরিবর্তন হয় না। এবং অনেক এনার্জী পাওয়া যায়। তখন ঐ অফিসার ধারণা করে তাহলে এভাবেই মুশকান জুবেরি এখনও সৌন্দর্য ধরে রেখেছে।


1000575737.jpg

1000575738.jpg

1000575746.jpg

1000575748.jpg


অন‍্যদিকে দেখা যায় নিরুপম প্রায় অচেতন হয়ে গিয়েছে। ঐসময় মুশকান বলে ওদের সাথে আমি কী করেছি তোমাকে বলব। তখন মুশকান বলতে শুরু করে। ফেসবুকে কথা বলে ওদের এখানে ডেকে নিয়ে আসে। তারপর কথা বলার একপর্যায়ে ওরা মুশকানকে দেখে আকর্ষিত হয়। এবং ঘটনা মুশকান সুযোগ বুঝে ওদের মেরে ফেলে এবং শরীরের থেকে ঐ অংশটা সংগ্রহ করে যেটা খেলে মানুষের বয়স বৃদ্ধি থেমে যায়। এবং বাকি অংশটা সে অপচয় করে না। সে তার হোটেলের কাস্টমার দের খাইয়ে দেয় রান্না করে। সবাই খেয়ে তার রান্নার প্রশংসা করে। অনেকক্ষণ নিরুপম ফোন ধরছে না। বিপদ বুঝতে পেরে মুশকানের বাড়ির সামনে পুলিশ নিয়ে চলে আসে সুন্দরপুরের এসপি এবং এসআই। ঐসময় বাড়ির মধ্যে আগুন ধরে যায়। পুলিশ রা কী করবে বুঝতে পারছিল না।



ব‍্যক্তিগত মতামত



এই এপিসোডে মুশকান জুবেরির সম্পর্কে অনেক রহস‍্যের উন্মোচন হয়। ঐ কয়েকজনের নিখোঁজের পেছনে মুশকান জুবেরি জড়িত। এবং শুধু জড়িত না তাদের কে রীতিমতো সে খেয়ে ফেলেছে। এবং মুশকান জুবেরি কে দেখলে মনে হয় তার বয়স ৩০-৩৫। অন‍্যরকম একটা বিষয় জানা যায়। এবং শেষে এসে মুশকান জুবেরির বাড়িতে আগুন লাগে। কিন্তু নিরুপম ও মুশকান জুবেরি ভেতরেই ছিল। ওদের কী হবে এটা পরবর্তী এপিসোডে দেখা যাবে।


অফিশিয়াল ট্রেলার





সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png