"দোলনা থেকে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার: সতর্ক থাকুন, নিরাপদ রাখুন"

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

🥰...এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব.💗🙏।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে দীর্ঘ কয়েক মাস আগে যুক্ত হয়েছি। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে । আজকে আমি আপনাদের সাথে " আমার চাচাতো বোন দোলনা থেকে পড়ে গিয়ে এক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে , সেই বিষয়ে উপর কিছু সতর্কবার্তা "শেয়ার করবো ।আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

আমাদের প্রিয় ছোট বাচ্চারা, আমাদের পরিবারের অমূল্য রত্ন। কিন্তু যখন তারা তাদের খেলার মধ্যে থাকে, তখন কখনও কখনও অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। সম্প্রতি আমার চাচাতো বোনের দোলনা থেকে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় আমরা সবাই হতবাক ও দুঃখিত।চাচাতো বোন একটি দোলনা থেকে পড়ে গিয়ে , তার বাম হাতটি ভেঙ্গে ফেলেছে । তার বয়স মাত্র ৫ বছর, এবং এই দুর্ঘটনাটি আমাদের এক ভীষণ শিক্ষা দিয়েছে। শিশুদের দুঃখ বা আঘাত আমাদের জন্য অনেক বড় দুঃখজনক ঘটনা, কিন্তু এর মধ্য দিয়ে তাদের নিরাপত্তার জন্য আরও সতর্ক এবং সচেতন হওয়া আমাদের খুবই প্রয়োজন।

প্রতি দিনের মতো, সে দোলনায় খেলার জন্য দোলনায় চড়ে বসেছিল। হঠাৎ করে তার হাত পিছলে পড়ে যায়। রমজান মাসের প্রথম রোজার দিনে এই ঘটনা ঘটেছিল।তাৎক্ষণিক ভাবে, আমার চাচা ও চাচি তাকে নিয়ে রংপুরে ডাক্তার কাছে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে ডাক্তার এক্সরে করেন, এবং এক্সরের ফলাফলে দেখা যায়, তার কব্জির উপরের দুটি হাড় ভেঙে গেছে। এরপর ডাক্তার তার এক্সরে রিপোর্ট দেখে চিকিৎসা শুরু করেন এবং হাড় গুলো সোজা করার চেষ্টা করেন। তারপর তাকে ঔষধ দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেন।প্রথম দিন ও রাতটি খুব ব্যথাযুক্ত ছিল, কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, পরবর্তী কয়েক দিনে থেকে সে কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠতে থাকে। এখন সে হাতটি ভালোভাবে নড়াচড়া করতে পারছে। ৭ দিন পর আবার এক্সরে করা হয়েছে, এবং তখন দেখা যায় যে হাড়টি সঠিকভাবে সংযুক্ত হচ্ছে, আলহামদুলিল্লাহ।

শিশুদের নিরাপত্তার সতর্কতা ।

• শিশুরা খুবই চঞ্চল, এবং তারা অনেক সময় নিজেই নিরাপত্তা বুঝতে পারে না। তাদের চলাফেরার প্রতি মা-বাবা বা অভিভাবকদের নজর রাখা অত্যন্ত জরুরি। একে অপরের সাথে শেয়ার করতে ও খেলা করতে তাদের উৎসাহ দিন, কিন্তু তা যেন কোনো ঝুঁকির মধ্যে না আসে, আমাদের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

• শিশুদের শখ বা আগ্রহের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা জানানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, “দোলনায় ওঠার আগে সঠিকভাবে বসে থেকো,” বা “কখনো একা দোলনায় খেলো না, এমন বিষয় গুলো শিশুকে ছোটবেলা থেকেই বুঝিয়ে দেওয়া উচিত।

• শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোপরি তাদের আশপাশে ঝুঁকিপূর্ণ বস্তু না থাকা নিশ্চিত করতে হবে। যেমন, দোলনা বা যে কোনো খেলনা যেগুলো শিশুদের জন্য উপযুক্ত নয়, সেগুলো ব্যবহার না করা উচিত। যদি দোলনায় বা খেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকে, তবে সে শিশু পিছলে গিয়ে পড়ে যেতে পারে বা আঘাত পেতে পারে।যেমনটি আমার চাচাতো বোনের সঙ্গে ঘটেছিল, দোলনার মধ্যে হাত পিছলে গিয়ে তার এক অনিচ্ছাকৃত অসাবধানতায় একটি দুঃখজনক দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছিল।

• যতটা সম্ভব, শিশুদের দোলনায় একা রেখে না যাওয়ার চেষ্টা করা আমাদের বড়দের দায়িত্ব। এমনকি যদি আপনি কিছুক্ষণের জন্য তাদের ছেড়ে যান ও, নিশ্চিত হোন যে দোলনা নিরাপদ এবং সঠিকভাবে স্থিতিশীল। শিশুদের বয়স অনুযায়ী, দোলনার উচ্চতা ও আকৃতিও সঠিক হতে হবে, যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে।

এই ঘটনা আমাদের শিখিয়েছে যে শিশুদের নিরাপত্তা কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়। দোলনা বা অন্যান্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকলে অনেক বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।আমরা জানি, একবার কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তা আর ফিরে আসে না, কিন্তু আমরা সতর্ক হলে অনেক কিছু প্রতিরোধ করা সম্ভব। আসুন, একসাথে এই বিষয়ে আরও সচেতন হই এবং আমাদের ছোটদের নিরাপত্তার জন্য সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করি।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি । আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক । আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি । আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি । আমি গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই । এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি । আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।