আজকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি নাম ব্যাপক আলোচনায়— মিজান ভাই। সাধারণ একটি হোটেলের মালিক হলেও তিনি এখন ভাইরাল তার ভাত আর ভোজন রসিকতার কারণে। যেখানে অনেক রেস্টুরেন্ট ও খাবারের দোকান প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য নানা রকম কৌশল অবলম্বন করছে, সেখানে মিজান ভাই তার সরলতা, আন্তরিকতা এবং সুলভ মূল্যের ভাত দিয়ে সবার মন জয় করে নিয়েছেন।

মিজান ভাই মূলত একজন সাধারণ মানুষ। শহরের এক ব্যস্ত এলাকায় ছোট্ট একটি হোটেল দিয়েই তার পথচলা শুরু। তার উদ্দেশ্য ছিল, মানুষ যেন স্বল্প মূল্যে ভরপেট খেতে পারে। শুরুতে হয়তো ব্যবসা তেমন জমে ওঠেনি, কিন্তু তার খাবারের গুণগত মান, ভাতের পরিমাণ আর আন্তরিক ব্যবহার ক্রমে মানুষের মন কাড়তে শুরু করে।

মিজান ভাইয়ের হোটেলের মূল আকর্ষণ হলো এক প্লেট ভাত। এখানে ভাত এমন পরিমাণে পরিবেশন করা হয় যে, একবার খাওয়া মানেই ভরপেট তৃপ্তি। শুধু ভাতই নয়, সঙ্গে থাকে ডাল, ভর্তা, সবজি আর মাংস বা মাছের পদ। খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য তিনি ভর্তার বিশেষ বৈচিত্র্য দেন—কখনো আলু ভর্তা, কখনো বেগুন ভর্তা, আবার কখনো সর্ষে মরিচের ঝাঁঝালো স্বাদ।

বর্তমান সময়ে যেখানে খাবারের দাম ক্রমাগত বাড়ছে, সেখানে মিজান ভাইয়ের হোটেলের ভাত মানুষকে স্বস্তি দিচ্ছে। খুব সামান্য দামে এক প্লেট ভাত খেয়ে মানুষ পায় তৃপ্তি ও আনন্দ। অফিসকর্মী, ছাত্রছাত্রী, শ্রমিক—সবার কাছেই এই হোটেল এক আশ্রয়স্থল।একজন পথচারী বা ইউটিউবার যখন প্রথম মিজান ভাইয়ের হোটেলের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন, তখন থেকেই শুরু হয় ভাইরাল যাত্রা।

ভিডিওতে দেখা যায়, কীভাবে তিনি হাসিমুখে গ্রাহকদের পরিবেশন করছেন এবং বলছেন— “ভাই, আগে ভাত খান, তারপর যা লাগে নেন।” এই সাধারণ কিন্তু আন্তরিক অভ্যাসই লাখো মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।ভাইরাল হওয়ার পর প্রতিদিন মিজান ভাইয়ের হোটেলে ভিড় জমছে। অনেকেই দূর থেকে এসে শুধু তার ভাত খেয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার তার হোটেলের ভিডিও বানাচ্ছেন, ছবি তুলছেন। এমনকি অনেক প্রবাসীও মন্তব্য করছেন— “দেশে গেলে মিজান ভাইয়ের হোটেলে একবার খেতেই হবে।”

মিজান ভাইয়ের মতে, ব্যবসার মূল উদ্দেশ্য শুধু মুনাফা নয়, মানুষের দোয়া পাওয়াও জরুরি। তাই তিনি কখনো অতিরিক্ত দাম নেন না, আবার অনেক গরিব মানুষকে বিনামূল্যেও খাওয়ান। এই মানবিকতা তার জনপ্রিয়তাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।একজন সাধারণ হোটেল ব্যবসায়ী থেকে আজ “ভাইরাল মিজান ভাই”—এটা প্রমাণ করে যে সাফল্য সবসময় বড় বিজ্ঞাপন বা প্রচারণায় নয়, বরং আন্তরিকতা, সৎ মনোভাব আর মানুষের প্রতি ভালোবাসায় লুকিয়ে থাকে। তার এক প্লেট ভাত শুধু ক্ষুধা মেটায় না, মানুষের হৃদয়ও জয় করে।

আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে।

আল্লাহ্ হাফেজ

ক্যামেরা পরিচিতি

Device	Motorola g34 5g
Camera	52 MP
County	Bangladesh
Location	Rangpur, Bangladesh

আমার নাম মোঃ আবু বকর (সিদ্দিক) ।আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক।আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা।আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর কারমাইকেল কলেজ এর(IHC)ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স করতেছি।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। সবথেকে বড় পরিচয় আমি "আমার বাংলা ব্লগ"কমিউনিটির একজন সদস্য।আমি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি।বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার।পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। আমার সব থেকে বড় ইচ্ছা আমি একজন উদ্যোক্তা হব।আমি মনে করি ধৈর্য,পরিশ্রম, বিশ্বস্ততা এগুলো সফল হতে সম্মুখ ভূমিকা পালন করে। ধন্যবাদ।

Vote@bangla.witness as witness

Or

Set@rme as your proxy

আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য "ধন্যবাদ।