
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলেছি নতুন একটি গ্রাম ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। বিয়ের দুই মাস পর শ্বশুরের গ্রামটা একটু ঘুরে দেখার উদ্দেশ্যে বের। আর সেই ঘুরতে গিয়ে যে সমস্ত অনুভব করেছিলাম তো আজকে আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে এসেছি। চলুন নতুন একটি গ্রাম সম্পর্কে ধারণা অর্জন করি।
ছোট থেকে আমার একটি অভ্যেস হয়েছে আমি বেশি মানুষের মধ্যে ঘোরাঘুরি বা আড্ডা দিতে যাও বেশি একটা পছন্দ করিনা। আর সেটা যদি হয় আত্মীয়র বাসার মধ্যে তাহলে তো আড্ডাখানায় প্রবেশ করার কোন কথাই আসে না আমার। তাই বিয়ের দুই মাস পরে পরিবারের সাথে একটু তাদের গ্রামের ফাঁকা স্থানগুলো ঘুরে দেখার ইচ্ছা হয়েছিল। যেখানে আমার শশুরের কৃষি জমিয়ে রয়েছে। তাই সে সমস্ত মেঠো পথের ফাঁকা জায়গাগুলো দেখার জন্য এখনো এক শুক্রবারে বের হয়েছিলাম চারজন। আমি আমার পরিবার এবং আমার ছোট শালা ও শালী। আমরা সবাই একত্রে চলতে থাকলাম গ্রামের বাইরের কাঁচা রাস্তার দিকে যেখানে আমার শশুরের বিভিন্ন প্রকার ফসলের জমি রয়েছে। হয়তো পায়ে হেঁটে গ্রামটা ঘুরে দেখলেও ভালো লাগবে নতুন একটি স্থান পাশাপাশি জানতে পারবো এই এলাকায় কি কমনি ফসল উৎপাদন হয়। অবশ্য আমার শ্বশুরের গ্রামটা বেশ ছোট বলতে গেলে আমাদের পাড়াটা যতখানি ঠিক ততখানি। শশুরের বাড়ির পাশ দিয়ে হাইরোড অতিক্রম করে চলে গেলাম কাঁচা রাস্তায়। দিনটা প্রচন্ড রোদ গরম ছিল তারপরেও কাঁচা রাস্তায় হাঁটতে বেশ ভালো লাগছিল প্রিয়জনদের সাথে। অনেকদিন পর গ্রামের কাঁচা রাস্তায় চলছি এটা যেন অন্যরকম ভালো লাগা। মাঝে মাঝে আমার পরিবার আমার দিকে চেয়ে দেখছে এবং মুচকি হাসি দিচ্ছে। বিভিন্ন গল্প এটা সেটা বলতে বলতে অনেকটা পথ সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম।

Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
আমরা যখন ছোট ছিলাম আমাদের বাড়ির পাশের রাস্তাটা ঠিক এমন কাচারা রাস্তা ছিল তবে আশেপাশে যথেষ্ট ঘরবাড়ি। বৃষ্টি হলে রাস্তায় ঠিক এভাবেই কাদা জমে থাকতো। তবে বুদ্ধি জ্ঞান হওয়ার সাথে সাথেই রাস্তা পাকা হয়ে যাওয়ায় আর সে মেঠো পথ। তবে যতটুক মেঠো পথ রয়েছে সেই দিকে কোন চলাচল নাই। তাই অনেকদিন পর প্রিয়জনের সাথে মেঠো পথে চলার ভালো লাগাটা যেন ছিল অন্যরকম। দীর্ঘ মেঠো পথ হাঁটতে থাকলাম মনের আনন্দে এটা সেটা গল্প করতে করতে। সময়টা ছিল পাটের সময়। বিভিন্ন জমিতে লক্ষ্য করলাম পাট গাছ বড় হয়ে উঠছে এমন। কয়েকটা জমি খালি পড়ে রয়েছে কিছু জমিতে কচু গাছ। আবার আশেপাশে রয়েছে পানের বরজ।

Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
দীর্ঘ পথ চলতে চলতে এসে গেলাম তিন রাস্তার মোড়ে। অবশ্য এখানেও রয়েছে কাচা রাস্তা। এই স্থানে দাঁড়িয়ে তাদের মুখে শুনতে পারলাম বিভিন্ন প্রকার অতীত গল্প। তারা ছোট থেকে শুনে আসছে এই জায়গাটা নাকি ছিল খুব ভয়ানক। চোর সন্ত্রাসীর জন্য মানুষে নাকি দিনের বেলায় এইদিকে চলাচল করতে ভয় পেত। সন্ত্রাসীরা এই দিকে বিভিন্ন প্রকার অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মাঠের এই দিকে বসে থাকতো চলাচল করতো জায়গায় জায়গায় আড্ডা দিত। আর মহিলা মানুষের তো যাবার কোন সুযোগই ছিল না এই পথ ধরে। এতটা ভয়ানক ছিল এই এলাকায়। তবে ২০০৫ সালের পর থেকে যথেষ্ট সন্ত্রাসমুক্ত হতে শুরু করেছে। এখন অবশ্য তেমন আর ভয় ভীতি নেই এখানে। সন্ধ্যা রাতের সময় মানুষ চলাচল করে এই পথ দিয়ে তবে খুব সাবধানে। এছাড়াও শুনলাম অনেক মানুষের হয়রানির শিকারের ঘটনা। এই বটগাছ নাকি ছিল যত প্রকার সমস্যার মূল।

Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
পাশাপাশি পরিবারের মুখে শুনতে পেলাম তাদের ছোটবেলার ছোট ছোট অনেক ভালোলাগা না লাগার গল্প। আমার শশুর আব্বা তার কৃষি কাজ করার জন্য ফসলের জমিতে আসা-যাওয়া করতে কি কি ফসল উৎপাদন করত এই সমস্ত বিষয় তাদের মুখ থেকে জানতে পারলাম। এদিকে আমার ছোট শালা তার সাইকেল নিয়ে বেশ আনন্দে কিছুটা এগিয়ে পথ চলছে। তার জন্মগ্রহণ বেড়ে ওঠা বিভিন্ন বিষয়ে শুনতে পারলাম আমার পরিবারের মুখ থেকে। আসলে বিয়ের পর নতুন স্থান নতুন কোন কিছু জানা নতুন মানুষের মুখ থেকে অনেক ভালো লাগে। তবে প্রচন্ড গরমের মাঝে বেশ ক্লান্ত বোধ করছিলাম পথ চলতে। তাই আবার ব্যাক আসার চেষ্টা করলাম।


Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
আমার শশুর আব্বার ফসলের জমির পাশে রয়েছে আম কাঠাল ও কলার গাছ। রয়েছে বেশ কয়েকটা ছোট ছোট বাগান। ফলের বাগান যেমন রয়েছে ঠিক তেমন রয়েছে বাঁশ বাগান। আমাকে সাথে পেয়ে অনেক দিন পর আমার পরিবার তাদের এই ফসলের জায়গা এবং বাগান দেখতে পেরে অনেক খুশি হল। তাড়াতাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলো এবং বিভিন্ন বিষয়ে আমাকে জানাতে চেষ্টা করল আমিও তাদের এই বাগান সম্পর্কে বিভিন্ন কিছু শুনতে পারলাম আর চেষ্টা করলাম কয়েকটা সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করার। কাঁঠাল গাছের প্রচুর কাঁঠাল ধরে কিন্তু মাঝেমধ্যে চুরি হয়। আম গাছে আম রয়েছে কিন্তু পাকার আগেই মানুষের সব ফুরিয়ে দেয়। কলা গাছে কলাপাকার আগে কাইনসহ হারিয়ে যায়। অর্থাৎ গ্রামের যে সমস্ত কার্যকলাপ গুলো কম বেশি হয়ে থাকে। নতুন স্থানের প্রিয়জনের সাথে পথ চলতে আর বিভিন্ন বিষয়ের কথা তার মিষ্টিমুখের কণ্ঠ থেকে শুনতে বেশ ভালো লাগছিল। সেই সুন্দর অনুভূতিটা আপনাদের মাঝে কিছুটা হলে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।



Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |

তাহলে ভাবি ও শালা শালিকে নিয়ে, ভালোই ঘুরাঘুরি হচ্ছে শ্বশুরের এলাকায়। সত্যি বলতে প্রিয়জনের কন্ঠ এমনিতেই মিষ্টি লাগে ভাই।আর প্রত্যেকটি এলাকায় সন্ত্রাস আছেই। হয়তো কোন এলাকায় কম কোন এলাকায় বেশি। কি বলবেন ভাই এরাতো জাতিয় সম্পদ। যাই হোক শশুরের জায়গা জমির ফাঁকা জায়গাগুলো দেখার জন্য শুক্রবারে বেরিয়েছেন যেনে খুব ভালো লাগলো। আর মাঝে মাঝে এরকম ঘুরলে মন-মানসিকতা ও ভালো থাকে, সাথে তো প্রিয়জন আছেই। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
প্রিয়জন পাশে থাকলে আর কি লাগে
গ্রামের মেঠোপথ ধরে হাঁটতে ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে বিশুদ্ধ বাতাস আর সবুজ প্রকৃতি সবমিলিয়ে দারুন একটা অনুভুতি আসে মনে। আপনি পরিবারের সাথে দারুন একটি সময় কাটিয়েছেন বোঝাই যাচ্ছে। তবে গ্রামের ঐ অংশটা সন্ত্রাস মুক্ত হয়েছে জেনে খুশি হলাম।
যে ভাইয়া প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরতে আমারও ভালো লাগে।
গ্রামে এভাবে সবাই মিলে হাঁটাহাঁটি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রিয় মানুষটার সাথে এবং পরিবারের লোকজনকে নিয়ে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছিলেন। গ্রামের রাস্তাগুলো অনেক ভালো লাগে। আর এরকম রাস্তায় হাঁটতে তো আরো ভালো লাগে। আর যদি পাশে থাকে প্রিয় মানুষটা তাহলে তো কোন কথা নেই। পুরো পোস্টটা পড়ে বেশ ভালোই উপভোগ করলাম আপনাদের কাটানো মুহূর্তটা।
প্রিয়জন পাশে থাকায় রোদ গরম কিছু মনে হচ্ছিল না আপু
প্রিয়জনের সাথে এরকম ভাবে এরকম জায়গায় পথে চলতে অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘোরাঘুরি করতে আমি খুবই পছন্দ করি। আপনাদের দুজনের পথ চলার অনুভূতিটা নিশ্চয়ই একেবারে অন্যরকম ছিল। যাইহোক এই পোষ্টের মাধ্যমে আমাদের মাঝে নতুনগ্রাম ভ্রমণের মুহূর্তটা ভাগ করে নিয়েছেন দেখে ভালো লেগেছে।
নতুন জায়গায় নতুন প্রিয় মানুষের সাথে ঘোরাঘরের মুহূর্ত অবশ্যই ভালো হবে।
গ্রামের এমন সুন্দর পরিবেশে ঘোরাফেরা করতে খুবই ভালো লাগে। যেহেতু প্রিয়জনের সাথে ঘোরাফেরা করলে মুহূর্তটি আরো অনেক ভালো লাগবে। তাছাড়া গ্রামের পরিবেশের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল। অনেক ধন্যবাদ খুব সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করলেন আমাদের সাথে অনেক ভাল লেগেছে।
আপনার ভাবি পাশে থাকায় মনটা বেশ আনন্দ ছিল।