গ্রাম বাংলার বৈচিত্র্য
"রাস্তার দুই পাশে
চলিতেছো সারি বেঁধে,
ফেলিয়া রাখিয়াছো ডাল-পালা
তোমার সবুজ রূপ দেখে দিশেহারা।"
গ্রামের রাস্তায় চলার পথে এই কবিতার মাধুর্য খুঁজে পাওয়া যায়।ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন ভোর এর আলো ফুটছে,এক কোনায় অবস্থান করছে পাশাপাশি দুইটি তালগাছ।পরিপক্ক তাল পাড়ার কৌশলটা আপনাদের অনেকে হয়তো জানে না।তাল সাধারনত আগস্ট থেকে পরিপক্ক হতে শুরু করে।খেতে মজা হলেও এটা কাটতে আপনার একটু ঘাম ঝরাতে হবে।তারই সামনে ফুল বাগান।সরিষা ফুল,তার উপাকরিতা অন্য দিন বর্ননা করবো আজ তার সৌন্দর্য নিয়ে কথাবলি।সূর্যের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে বলেই এটার নাম সূর্যমুখী।
মাঠের ঠিক মাঝ বরাবর অবস্থান করছে খেজুর গাছ।খেজুর, ছোট্ট বেলার স্মৃতি গুলোকে মনে করিয়ে দেয়।দুপুর রোদে ছুটে ছুটে চলে যেতাম খেজুর গাছের নিচে।ইট,পাথর,মাটির টিলা ছুড়তাম।২/৫ টা পড়লেই শুরু হয়ে যেত কাড়াকাড়ি।
২য় ও ৩য় ছবিতে ফসলের মাঠ(ধান) উপস্থাপন করছে।ভোরের আলো ফুটতেই কৃষক আসতে শুরু করে মাঠে।পাখির গান,সূর্যের ঝিলমিল রোদের সাথে শুরু হয় তাদের নিত্য দিনের কাজ।দুপুরে কেও মাঠেই সেরে ফেলে দুপুরের খাবার কেও আবার নিজ বাড়িতে যায়।
মাঠের ঠিক মাঝ বরাবার একজন কৃষক তার মাঠ পরিচর্চায় ব্যস্ত সময় পার করছে।সম্পুর্ন মাঠ সবুজে ভরপুর চারপাশে সবুজ গাছ।দেখে মনে হতে পারে সবুজের সমারহ।কিছুদিন পর এই মাঠ সোনালি বর্ণ ধারন করবে।পাঁকা ফসলের স্বাদ নিতে আসবে কত বিচিত্র পাখি।কৃষক ব্যস্ত হয়ে পরবেন ফসল ঘরে উঠাতে।মনে থাকে ভয় কখন আবার বৃষ্টি-বাদল শুরু হয়ে যায়।
৩য়+ ৪র্থ ছবিতে ফুল বাগান রয়েছে।
বড়ির অথবা ছাঁদে আমরা টবে গাছ লাগাতে পারি হোক ফুল অথবা ফল। আমি ফুল প্রেমি,ফুলকেই ভালোবাসি।যেখানেই ফুল দেখতে পাই তার সৌন্দর্যের গুনাগুন বর্ণনা করি।ছবিতে একটি জবা ফুল ও একটি লান্টানা বা পুটুস ফুল রয়েছে।
বাংলার প্রকৃতি মানুষের মনকে বিমোহিত করে।আজ বুঝতে পারি কেন কবি জীবনানন্দ দাশ বার-বার এই বাংলায় ফিরে আসতে চেয়েছেন।
আজ আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। গ্রাম বাংলার এই প্রকৃতি দেখতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। আপনি খুবই সুন্দর করে আপনার মোবাইলের ক্যামেরায় গ্রাম বাংলার প্রকৃতির সৌন্দর্য ধারণ করেছেন। পাশাপাশি সুন্দর কিছু ফুলের ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছেন। আপনি ঠিক বলেছেন। বাংলার প্রকৃতির সৌন্দর্য মানুষকে বিমোহিত করে। তাই আজ আপনার বাংলার এই সৌন্দর্যের প্রকৃতি দেখে আমিও বিমোহিত হয়ে গেলাম।
ধন্যবাদ ভাই, পাশে থাকবেন
গ্রাম বাংলার এমন বৈচিত্র্য সত্যি মনমুগ্ধকর। এমন কিছু দেখলে মনটা একেবারে ভালো হয়ে যায়। অন্যরকম একটা অনূভুতি হয়। চমৎকার ছিল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো এবং লেখাটা। আপনার পোস্ট টা দেখে আমার নিজের গ্রামের কথা মনে পড়ে গেল।