আসসালামু আলাইকুম
হাই! বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। প্রচন্ড শীতের দিনে একটি অসহায় ফিঙ্গি রাজা পাখিকে ভিডিও ধারণ করলাম আমার পুকুরপাড় থেকে। আর সে সময়ের অনুভূতি ও বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরব এই পোষ্টের মাঝে। আশা করি ভিডিওটা ভালো লাগবে পাশাপাশি বিস্তারিত অনেক কিছুই জানবেন।

আমরা সকলেই জানি এবার শীত খুব স্বল্পদিন পড়েছে। তবে তার মধ্যে বেশ কয়েকদিন বৃষ্টির আনাগোনা আর মেঘ ঢেকে থাকা শীতল দিন উপভোগ করেছি আমরা। এমন কয়েকটা দিন গেছে যেন ঘর থেকে বের হওয়াটাই দুষ্কর হয়ে পড়েছিল আমাদের সকলের জন্য। ঘরের মধ্যে প্রচন্ড ঠান্ডা আবহাওয়া আর বাইরে তো ঠান্ডা বাতাস বইয়ে চলছিল পাশাপাশি হালকা বৃষ্টি। ঠিক এমন দিনে বেশ কয়েকবার পুকুরপাড়ে গিয়েছি, ঠান্ডার কারণে দ্রুত বাসায় ফিরেছি। তবে একদিন পুকুর পাড়ে সবজি বাগানের মধ্যে প্রবেশ করলাম কিছু সবজি তোলার জন্য তখন প্রচন্ড ঠান্ডা আর বাতাস বয়ে চলছে দ্রুত। ঠিক এমনই মুহূর্তে আমার শিমু ও পুঁই শাক এর বানের পাশে দেখতে পারলাম একটি ফিঙ্গি রাজা পাখি বারবার আমার পাশে উপস্থিত হচ্ছে, আর পোকামাকড় ধরে খাওয়ার চেষ্টা করছে নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য এই প্রতিকূল আবহাওয়ার মাঝে। এর আগেও অনেকগুলো পাখি এভাবে আমার পাশে এসে পোকা-খামাখোর খেতে দেখেছি কিন্তু এই দিনটাই এ পাখির টা দেখে যেন আমি খুবই মর্মাহত হলাম। প্রচন্ড শীতের দিনে আমরা যখন লেপ খেতার মধ্যে থেকে বের হতেই পারছিনা পুকুর পাড়ে মাঠে আসা তো দূরে থাক তার কয়েকদিন আগে পুকুর পাড়ে এসে দ্রুত বাসায় চলে গেছে। শাকসবজি তোলার কথা মাথায় আনিনি ঠান্ডার কারণে। আর আজকে যখন উপস্থিত হয়ে গেছি চোখের সামনে এমন একটি পাখির অবস্থা দেখে সত্যি বেশ খারাপ লাগছিল। তাই কিছুটা সময়ের জন্য তাকে আমি সান্ত্বনা দিয়েছিলাম তার এখানে কোন ভয় নেই আমি রয়েছি আর আমি থাকলে অবশ্যই তার ভয় নেই। সে সাহস করে আমার পাশে এসে পোকামাকড় খেলে যেন আমারই আনন্দ।
Video device: Infinix hot 11s
location
আমি যখন সবজি বাগানের মধ্যে সবজি উত্তোলন করি। আমার চলাচলে আশেপাশের পোকামাকড় গুলো ভয়ে উড়ে এদিকে সেদিকে পালিয়ে যায়। ঠিক ওই মুহূর্তটা হয়তো পাখির ধারণায় রয়েছে তাই যখন সবজি বাগানে উপস্থিত হয়ে লক্ষ্য করি এমন অনেক পাখি পোকামাকড় খাওয়ার জন্য আশেপাশে ঘুরঘুর করে। তবে প্রচন্ড শীতের দিনে অন্য পাখিদের দেখা না মিললেও এই পাখিটা ঠিকই উপস্থিত ছিল সেখানে। তাই নিজেকে এই অবস্থার মাঝে টিকিয়ে রাখতে ভয় দূর করে যখনি লক্ষ্য করছিল আমার আশেপাশে পোকা উঠছে তখনই সে খাওয়ার চেষ্টা করেছিল। বেশ ভালো লাগছিল তার সাহসিকতা দেখে তবে খারাপ লাগছিল প্রচন্ড ঠান্ডায় তার অবস্থা খুবই খারাপ। সত্যি বাইরের জগতে আমরা যখনই চোখ রাখি তখনই কোন না কোন বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারি যদি একটু মনোযোগী হয়। আমি মনে করি আমার এই ভিডিওটি শুধু সামান্য একটি ভিডিও নয় যদি একটু সচেতন দৃষ্টিভঙ্গিতে সেই দিকে লক্ষ রাখি তবে বুঝতে পারবো সংগ্রাম কাকে বলে। আমি এটা নিশ্চিত আমার সবজি বাগানে যা সবজি আছে যে কোন মুহূর্তে উত্তোলন করতে পারব। প্রচন্ড ঠান্ডাতে কি হয়েছে। ঠান্ডা কমে গেলে উপস্থিত হয়ে তুলতে পারবো কিন্তু একটি পাখি এতটা নিশ্চিত নয়, যেকনো মুহূর্তে পোকামাকড় খেতে পারবো। তবে বলা চলে এভাবেই দুনিয়ার বুকে মানুষ পশু পাখি প্রাণী নিজ নিজ দৃষ্টিকোণ থেকে সংগ্রাম করে চলছে। তবে একজনের সংগ্রাম আরেকজনকে উৎসাহ প্রদান করে থাকে নিজেকে দুনিয়ার বুকে টিকিয়ে রাখতে নতুন কোন সংগ্রামের সম্মুখীন হতে।






Photography device: Infinix hot 11s
location
ভিডিও বিষয়ক | তথ্য |
ভিডিও ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
ভিডিও ম্যান | @sumon09 |
Editing app | inshot |
স্থান | সোর্স |
বিষয় | পাখির ভিডিও ধারণ |
আমার বাংলা ব্লগের সদস্য,সুমন। থানাঃ গাংনী, গাংনী-মেহেরপুর বাংলাদেশ। দৈনন্দিন জীবনে আমার পথ চলার প্রতিপাদ্য বিষয়: সততা সচেতনতা সাহসিকতা যার মধ্যে ন্যায় নীতি নিহিত।
ভিডিও দেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |

ওয়া ওয়াও অসাধারণ ভিডিওগ্রাফি ৷ আমাদের এই দিকে তো ঝিছু পাখি বলি ৷ যা হোক পুকুর পাড়ে এমন সুন্দর পরিবেশে ভিঙ্গিরাজার ভিডিওগ্রাফি করেছেন ৷ তবে আপনি ভিডিও টি সাবধানে করেছেন যাতে পাখিটি বেশি উড়ে না যায় ৷ ভালো লাগলো ভিডিও টি দেখে ৷
স্তান ভেদে নামের পরিবর্তন
বাহ, ফিঙ্গি রাজা পাখির চমৎকার ভিডিওগ্রাফি করেছেন। আপনার ভিডিও দেখে মানতেই হবে ধৈর্য আছে অনেক আপনার। ভিডিওর পাশাপাশি ফটোগ্রাফি গুলোও দারুন হয়েছে। রকম সুন্দর একটি পাখির ভিডিও ধারণ করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
কিছু করার নেই ঠান্ডাই পাখিটাও বেশ কাছেই ছিল
এই পাখিগুলো তো আমাদের এইখানে এখন দেখাই যায় না বললেই চলে। আমি ছোটবেলায় দেখেছি এই পাখিগুলো, এরা প্রচুর সংগ্রামী হয়। যদিও সেটা আপনার ভিডিওগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে। তবে ভাই, পাখিদের গায়ে লোম থাকার কারণে মানুষের মতো পাখিদের ওরকম ঠান্ডা না লাগলেও, তাদেরও যথেষ্ট কষ্ট হয় এই ঠান্ডায়। আপনার ভিডিওগ্রাফি টা অনেক সুন্দর ছিল, বিশেষ করে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক দেওয়ার কারণে আরো বেশি প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে ভিডিওটা।
তারপরে ভাই পাখিটার অবস্থা খুবই নাজেহাল