প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সেই প্রেক্ষাপটে আজকে আবারও ভিডিওগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। অনেকের ভিডিওগ্রাফি পোস্ট দেখে আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত হই প্রতিনিয়ত। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই বা কোনো সুন্দর কিছু চোখে পড়লে ফটোগ্রাফি করি সচরাচর। তবে অনেক সময় ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু তুলে ধরা সম্ভব হয় না। তাই মাঝেমধ্যে ভিডিওগ্রাফি করার প্রয়োজন হয়।

এই ভিডিওগ্রাফিটা গত সপ্তাহে এক বিকেলে ডিএনডি লেক চত্বর-৮ থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। মূলত গত সপ্তাহে একদিন বিকেল বেলা, ডেন্টিস্ট এর কাছে গিয়েছিলাম আমার দাঁতে রুট ক্যানেল করে ক্যাপ পড়ানোর জন্য। তো ডেন্টিস্ট কে দেখিয়ে, ভাবলাম একটু ঘুরাঘুরি করা যাক। যদিও আমি একাই গিয়েছিলাম সেখানে। আগে থেকেই প্ল্যান ছিলো ডেন্টিস্ট কে দেখিয়ে, লেকের পাড়ে গিয়ে একটু সময় কাটাবো। কারণ মাঝেমধ্যে একা একা সময় কাটাতে আমার খুব ভালো লাগে। এতে করে মনের মধ্যে অন্য ধরনের তৃপ্তি কাজ করে। তাছাড়া বিকেল বেলা এমন মনোমুগ্ধকর পরিবেশে সময় কাটানোর মজাই আলাদা। যেহেতু প্রচন্ড বাতাস ছিলো তখন, তাই মুহূর্তের মধ্যেই শরীরটা শীতল হয়ে গিয়েছিল। ছোট ছোট ছেলেরা লেকের পানিতে গোসল করছিলো তখন। লেকের পানি বেশ পরিষ্কার ছিলো। তারা ব্রিজের উপর থেকে লাফিয়ে লেকের পানিতে পড়ছিলো। সত্যি বলতে সেই দৃশ্য গুলো বেশ উপভোগ করেছি। অনেক দিন পর বিকেলে এতো চমৎকার সময় কাটিয়েছি। মোটামুটি অনেক দিন পর সেখানে গিয়েছিলাম সেদিন।

ভিডিওগ্রাফির পাশাপাশি কিছু ফটোগ্রাফিও করে নিয়েছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। কারণ আপনাদের সাথে যেকোনো কিছু শেয়ার করতে পারলে ভালো লাগা দ্বিগুণ হয়ে যায়। ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করতে আমার সবসময়ই ভীষণ ভালো লাগে। কারণ সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করা আমার এক ধরনের শখ বলা যায়। সবমিলিয়ে সেই মুহূর্তের অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আশেপাশে কিছুটা সাউন্ড ছিলো বলে, আমি ব্যাকগ্রাউন্ডের অরিজিনাল সাউন্ড দূর করে মিউজিক অ্যাড করে দিয়েছি। নয়তো আপনারা হয়তোবা বিরক্ত বোধ করতেন আশেপাশের শব্দের কারণে। যাইহোক ভিডিওগ্রাফিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।