ভিডিওগ্রাফি পোস্ট || মেঘনা নদীর তীর থেকে ধারণকৃত মনোমুগ্ধকর ভিডিওগ্রাফি

in আমার বাংলা ব্লগ5 days ago

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।



প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সেই প্রেক্ষাপটে আজকে আবারও ভিডিওগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। অনেকের ভিডিওগ্রাফি পোস্ট দেখে আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত হই প্রতিনিয়ত। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই বা কোনো সুন্দর কিছু চোখে পড়লে ফটোগ্রাফি করি সচরাচর। তবে অনেক সময় ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু তুলে ধরা সম্ভব হয় না। তাই মাঝেমধ্যে ভিডিওগ্রাফি করার প্রয়োজন হয়।


20250528_150706.jpg


এই ভিডিওগ্রাফিটা আমি কয়েকদিন আগে বিশনন্দীর মেঘনা নদীর তীর থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। বিশনন্দী এর আগে আমি একবার গিয়েছিলাম এবং এবার দ্বিতীয় বারের মতো বিশনন্দী গেলাম। যাইহোক কয়েকদিন আগে মূলত কোরবানির পশু কিনতে বিশনন্দী গিয়েছিলাম আমার আব্বুকে সাথে নিয়ে। তো সেখানে যেতে যেতে দুপুর ২টা বেজে গিয়েছিল। আমরা বাসা থেকে বেলা ১২টার পর বের হয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত একটি মসজিদে জোহরের নামাজ আদায় করে নিয়েছিলাম। তারপর মসজিদ থেকে বের হয়ে, মেঘনা নদীর তীরে একটু দাঁড়ালাম। সত্যি বলতে মেঘনা নদীর সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। নদীর পানি একেবারে পরিষ্কার। কারণ সামনেই বর্ষাকাল আসছে। তাছাড়া নদী একেবারে কানায় কানায় পরিপূর্ণ। তাছাড়া আকাশটা ছিলো একেবারে নীল। নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছিল। আসলে এমন অপরূপ দৃশ্য দেখলে যে কেউ মুগ্ধ হয়ে যাবে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে,কোরবানির পশু কেনার জন্য হাটে প্রবেশ করেছিলাম। প্রচন্ড রোদ ছিলো বলে,সেখানে বেশিক্ষণ থাকতে পারিনি। তবে সবুজ মাঠ ছিলো বলে,সবমিলিয়ে বেশ ভালো সময় কেটেছে সেখানে।


20250528_150700.jpg


ভিডিওগ্রাফির পাশাপাশি কিছু ফটোগ্রাফিও করে নিয়েছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। কারণ আপনাদের সাথে যেকোনো কিছু শেয়ার করতে পারলে ভালো লাগা দ্বিগুণ হয়ে যায়। ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করতে আমার সবসময়ই ভীষণ ভালো লাগে। কারণ সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করা আমার এক ধরনের শখ বলা যায়। সবমিলিয়ে সেই মুহূর্তের অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আশেপাশে কিছুটা সাউন্ড ছিলো বলে, আমি ব্যাকগ্রাউন্ডের অরিজিনাল সাউন্ড দূর করে মিউজিক অ্যাড করে দিয়েছি। নয়তো আপনারা হয়তোবা বিরক্ত বোধ করতেন আশেপাশের শব্দের কারণে। যাইহোক ভিডিওগ্রাফিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।


20250528_150940.jpg



👇ভিডিওগ্রাফির লিংক👇


ভিডিওগ্রাফিটা ইনশট অ্যাপ দিয়ে এডিট করা হয়েছে


2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZA8GzS2DQRCenaYmQc8PKmKoqUpUeK1EYkXvpDQ1G4vq9r2thnL24nVMe9HEoTA18P3XxZmEBqKV5Qa.png

পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিভিডিওগ্রাফি
ভিডিওগ্রাফার@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy S24 Ultra
তারিখ১০.৬.২০২৫
লোকেশনবিশনন্দী,আড়াইহাজার,নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328CzpX9QvbjSPXbrW8KqUMMwTrRCn3xcSQ6EA6R67TcD5gLnqAWu8W41xe41azymkyM19LEXr548bkstuK4YE8RXJKQJWbxQ1hVAD.gif

আমার পরিচয়

IMG-20240212-WA0036.jpg

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr67352Jpu6E5J43D5L7yhn5d5CrcpnTvTLcF5db3ftZK7V9GzsAkLjb3PriF27x53soS8yKq9EnT1Gez2W6L2XUZu7jXnMduxdzGd4QzpYoozSDTPz3jUEkZ8x9rPrFry12vk2pkpsukTxq2kgJhF2zDYwrV.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81RRg3nBstm6z4qmufGsvFT24rqXwtpQD564XVCvACqesd3KULjLw7vQPhCNBNpraDPBk9z8jqn3ncuykugzMhQ2.png

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PxWHDWW9CETD5B5Jw9Q6ERAnD25KhyHKAX53jBLJKQRtPJf1WFG3aJd6PXbp2rpTXdWPxnRnq65CqtM8PawHiD5knScnfCbWvcVRuFVv1rtwzsXe59AixEGDGYZT2EWzPMzrWjWrbujcJd79Q1Sjs2X.gif

puss_mini_banner2.png

PUSS COIN: BUY/SELL

Sort:  
 5 days ago 

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আসসালামু আলাইকুম, @mohinahmed!

আপনার আজকের ভিডিওগ্রাফি পোস্টটি দেখে মুগ্ধ হলাম! মেঘনা নদীর তীরের মনোরম দৃশ্যগুলো আপনি খুব সুন্দরভাবে ক্যামেরাবন্দী করেছেন। নদীর স্বচ্ছ জল, নীল আকাশ আর সাদা মেঘের ভেলা—সত্যিই অসাধারণ! আপনার বর্ণনায় বিশনন্দীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য জীবন্ত হয়ে উঠেছে।

আমি বিশেষভাবে প্রশংসা করছি আপনার ভিডিওগ্রাফি এবং ফটোগ্রাফির প্রতি ভালোবাসার। সুন্দর মুহূর্তগুলো ধরে রাখার এই শখটি নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। ভিডিওতে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক যুক্ত করার সিদ্ধান্তটিও দারুণ ছিল, যা দর্শকদের বিরক্তি থেকে বাঁচিয়েছে।

আপনার Samsung Galaxy S24 Ultra দিয়ে তোলা ছবিগুলোও খুব স্পষ্ট এবং সুন্দর হয়েছে। সব মিলিয়ে, আপনার এই পোস্টটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং তথ্যবহুল।

আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুদের প্রতি আপনার আন্তরিকতা এবং ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ। এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ। আপনার অন্যান্য কাজগুলো দেখার জন্য অপেক্ষায় রইলাম!

আপনার পোস্টটি Steemit-এর hot সেকশনে ট্রেন্ডিং হওয়ার যোগ্য। চালিয়ে যান!

 4 days ago 

ওয়ালাইকুম আসসালাম,বেশ ভালো লাগলো এতো সুন্দর মন্তব্য পেয়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 4 days ago 

মেঘনা নদীর তীর থেকে ধারণকৃত মনোমুগ্ধকর ভিডিওগ্রাফি দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার মেঘনা নদীর তীর থেকে মনোমুগ্ধকর ভিডিওগ্রাফির প্রাকৃত সৌন্দর্য সত্যি খুব দারুণ। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।

 4 days ago 

আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই পোস্ট করার সার্থকতা ভাই। ভিডিওগ্রাফিটা দেখে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

 3 days ago 

আমিও এই সৌন্দর্য উপভোগ করে থাকি৷ আর আজকে যেভাবে আপনি এত সুন্দর ভাবে এত অসাধারণ একটি মেঘনা নদীর তীর থেকে ধারণকৃত একটি ভিডিওগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা দেখে খুব ভালই লাগছে৷ এখানে এত সুন্দর ভাবে এই ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করার মধ্য দিয়ে সবকিছু খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এতো অসাধারণ একটি ভিডিওগ্রাফি আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য৷

 3 days ago 

চেষ্টা করেছি সেখানকার চারপাশের সৌন্দর্য দারুণভাবে আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে। গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।