প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সেই প্রেক্ষাপটে আজকে আবারও ভিডিওগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। অনেকের ভিডিওগ্রাফি পোস্ট দেখে আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত হই প্রতিনিয়ত। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই বা কোনো সুন্দর কিছু চোখে পড়লে ফটোগ্রাফি করি সচরাচর। তবে অনেক সময় ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু তুলে ধরা সম্ভব হয় না। তাই মাঝেমধ্যে ভিডিওগ্রাফি করার প্রয়োজন হয়।

এই ভিডিওগ্রাফিটা গত বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার পর নারায়ণগঞ্জের ৫ নং ঘাট বিআইডব্লিউটিএ এর সামনে থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। আমি মূলত সেদিন সকাল সকাল বিভিন্ন ধরনের মাছ কিনতে সেদিকে গিয়েছিলাম। তো মাছ বাজারে যাওয়ার সময়, সেখানকার পরিবেশটা দেখে ভীষণ ভালো লেগেছিল আমার। কারণ সকাল সকাল নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ উপভোগ করা যায়। তাছাড়া সেখানে হাঁটাহাঁটি করার জন্য অনেক সুন্দর একটি রাস্তা রয়েছে। বয়স্ক লোকজন সকাল সকাল সেখানে গিয়ে হাঁটাহাঁটি করে থাকে। রাস্তার পাশে সারিবদ্ধভাবে প্রচুর নারিকেল গাছ লাগানো রয়েছে। তাই রাস্তার সৌন্দর্য অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে জাহাজ থামানো ছিলো। যদিও সেখানে প্রবেশ নিষেধ ছিলো। তাই জাহাজে উঠতে পারিনি। তবে আমার বাসা থেকে একটু দূরে অবস্থিত,বিআইডব্লিউটিএ ২ নং ডকইয়ার্ডের ভিতরে থাকা জাহাজে আমরা প্রায়ই উঠে থাকি। জাহাজে উঠে বিকেলে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে,আমি মাছ বাজারে চলে গিয়েছিলাম মাছ কিনতে।

ভিডিওগ্রাফির পাশাপাশি কিছু ফটোগ্রাফিও করে নিয়েছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। কারণ আপনাদের সাথে যেকোনো কিছু শেয়ার করতে পারলে ভালো লাগা দ্বিগুণ হয়ে যায়। ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করতে আমার সবসময়ই ভীষণ ভালো লাগে। কারণ সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করা আমার এক ধরনের শখ বলা যায়। সবমিলিয়ে সেই মুহূর্তের অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আশেপাশে কিছুটা সাউন্ড ছিলো বলে, আমি ব্যাকগ্রাউন্ডের অরিজিনাল সাউন্ড দূর করে মিউজিক অ্যাড করে দিয়েছি। নয়তো আপনারা হয়তোবা বিরক্ত বোধ করতেন আশেপাশের শব্দের কারণে। যাইহোক ভিডিওগ্রাফিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।