প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সেই প্রেক্ষাপটে আজকে আবারও ভিডিওগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। অনেকের ভিডিওগ্রাফি পোস্ট দেখে আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত হই প্রতিনিয়ত। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই বা কোনো সুন্দর কিছু চোখে পড়লে ফটোগ্রাফি করি সচরাচর। তবে অনেক সময় ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু তুলে ধরা সম্ভব হয় না। তাই মাঝেমধ্যে ভিডিওগ্রাফি করার প্রয়োজন হয়।

এই ভিডিওগ্রাফিটা গত পরশুদিন বিকেলে নবীগঞ্জ হাজীগঞ্জ ফেরি ঘাট থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। আসলে নবীগঞ্জ ঘাট দিয়ে শীতলক্ষ্যা নদী পার হওয়ার সময়, আমি সাধারণত নৌকা কিংবা ট্রলার দিয়েই পার হয়ে থাকি। তবে বাচ্চা দুটিকে নিয়ে ট্রলার দিয়ে নদী পার হওয়ার সময়, তারা অস্বস্তি বোধ করে ট্রলারের শব্দের কারণে। তাই গত পরশুদিন চাষাড়া মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে ডক্টর দেখিয়ে বাসায় ফেরার সময়, ফেরি দিয়েই নদী পার হয়েছিলাম। যদিও ফেরি দিয়ে নদী পার হতে গেলে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। সেদিন ১০/১৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর ফেরি ছেড়ে দিয়েছিল। আর ট্রলার দিয়ে শীতলক্ষ্যা নদী পার হতে ৫ মিনিটও সময় লাগে না। যাইহোক ফেরি তে ওঠার পর,শীতলক্ষ্যা নদীর চারপাশের সৌন্দর্য দেখে ভীষণ ভালো লেগেছিল আমার। অনেকে ট্রলার কিংবা নৌকা দিয়ে নদী পার হচ্ছে, আবার অনেকে ফেরি দিয়ে নদী পার হচ্ছে। তাছাড়া অনেক বড় বড় জাহাজ নদী দিয়ে যাতায়াত করছে। সবমিলিয়ে তখনকার দৃশ্যটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। আসলে বিকেলে নদীর পাড়ে সময় কাটানোর মজাই আলাদা।

ভিডিওগ্রাফির পাশাপাশি কিছু ফটোগ্রাফিও করে নিয়েছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। কারণ আপনাদের সাথে যেকোনো কিছু শেয়ার করতে পারলে ভালো লাগা দ্বিগুণ হয়ে যায়। ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করতে আমার সবসময়ই ভীষণ ভালো লাগে। কারণ সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করা আমার এক ধরনের শখ বলা যায়। সবমিলিয়ে সেই মুহূর্তের অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আশেপাশে কিছুটা সাউন্ড ছিলো বলে, আমি ব্যাকগ্রাউন্ডের অরিজিনাল সাউন্ড দূর করে মিউজিক অ্যাড করে দিয়েছি। নয়তো আপনারা হয়তোবা বিরক্ত বোধ করতেন আশেপাশের শব্দের কারণে। যাইহোক ভিডিওগ্রাফিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।