ড্রাগনফ্লাই এর ভিডিও
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি ভিডিও পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আজকে আমি আপনাদের দেখাতে চলেছি ড্রাগন ফ্লাই অর্থাৎ আমাদের গ্রামীণ ভাষায় গোগলু পোকার ভিডিওগ্রাফি।
ভিডিওগ্রাফি
আমরা আমাদের চারপাশে খেয়াল করলে লক্ষ্য করে থাকি, বিভিন্ন রকমের কীটপতঙ্গ আমাদের চারিপাশে ঘুরে বেড়ায়। একদম ছোট ছোট থেকে বেশ দেখার মত অনেক কিটপতঙ্গ আমাদের চোখে বাঁধে। আর এই সমস্ত কীটপতঙ্গ গুলো আমরা চোখে দেখি কিন্তু নাম জানিনা এর সম্পর্কে ধারণা রাখি না। তবে এখানে যখন কাজ করার সুযোগ পেয়েছি তখন থেকে এই সমস্ত কীটপতঙ্গ ফটোগ্রাফি বা ভিডিওগ্রাফি করার সুযোগ মিলেছে। আরো সুযোগ করে দিয়েছে এখান কর বেশ কিছু ইউজাররা। প্রায় কমেন্ট করতে গেলে পোস্ট করতে গেলে লক্ষ্য করে থাকি অনেকেই কীটপতঙ্গের ফটো ভিডিও ধারণ করে সুন্দর বর্ণনা করেছেন। আর সেই থেকে ইচ্ছে নিজের এমন কিছু ভিডিও ধারণ করি। তাই কিছুদিন আগে হঠাৎ লক্ষ্য করে দেখলাম একটি গোগলু পোকা বা ড্রাগন ফ্লাই একটা মরা গাছের একটি অংশে বারবার ঘুরে ঘুরে বসছে। ঠিক তখন আমার মনে পড়ে গেল আমাদের এখানে বেশ কয়েকজন ভাইয়েরা এমন ভিডিও শেয়ার করে থাকেন বা ফটো শেয়ার করে থাকেন। ঠিক তখনই আমিও আমার মোবাইলটা অন করলাম ভিডিও ধারণ করার জন্য। যখন আমি ভিডিও ধারণ করার জন্য বসলাম তখন চারিপাশে আরো অনেক কীটপতঙ্গ লক্ষ্য করলাম। কিন্তু সবগুলো মোবাইলে ক্যামেরা বন্দি করা বা ভিডিও করা সম্ভব নয়।
তবে খুব ইচ্ছে হচ্ছিল চোখের সামনে এসে বারবার বসছে এই ড্রাগন ফ্লাইটা এর ভিডিও ধারণ করি। আমিও আমার মত প্রস্তুতি নিয়ে ভিডিও ধারণ করতে শুরু করলাম। খেয়াল করে দেখলাম সে আমাকে দেখে ভয় পাচ্ছে না বরঞ্চ নক করে বসে রয়েছে, আর তার ছোট্ট ছোট্ট চোখ দুইটা ঘুরাচ্ছে। আমরা মানুষ আমরা মাটির তৈরি। তবে আমার প্রশ্ন মনের মধ্যে এসেছিল এসব পোকামাকড়গুলাও কি মাটির তৈরি। আর মাটির তৈরি যদি হয়ে থাকে এদের পাখাগুলো শরীরগুলা দেখে মনে হয় প্লাস্টিক জাতীয় কোন কিছু। কারণ এদের শরীরটা মহান সৃষ্টিকর্তা এমন ভাবে তৈরি করেছে, দেখে যেন মনে হয় না মাটির তৈরি। তবে যাই হোক সে প্রসঙ্গ বাদ রাখি। আশেপাশে লক্ষ্য করে দেখছিলাম আরো অন্যান্য আকৃতির ড্রাগন ফ্লাই চোখের সামনে আসছে। তবে আমি চেষ্টা করেছিলাম যতক্ষণ আমার চোখের সামনে থাকবে আমি ভিডিও ধারণ করব এর। তবে একটা বিষয় বারবার আমার মনে আসছিল, অনেক পাখি রয়েছে যেই পাখিগুলো এই কীটপতঙ্গ গুলোকে ভক্ষণ করে। তবুও অনেক পাখির মাঝখান থেকে তারা নিজেদেরকে পরিবেশের মাঝে টিকিয়ে রাখে। আমিতো প্রায় লক্ষ্য করে থাকি দোয়েল পাখি এই সমস্ত পোকামাকড় গুলো বেশি খেয়ে থাকে। তারপরেও আমি যেখান থেকে ভিডিওটা ধারণ করছিলাম তার আশেপাশে অনেকগুলো ড্রাগন ফ্লাই উড়ে বেড়াচ্ছিল।
আমি উপরের অংশ থেকে নিচের অংশ থেকে দুই পাশ থেকে তার ভিডিও ধারণ করার চেষ্টা করছিলাম। তবে আমার সৌভাগ্য হয়েছিল অতি নিকটে মোবাইল রেখে তার ভিডিও ধারণ করছি তারপরেও সে যেন উড়ে যাচ্ছে না। আপনারা যদি ভিডিওটা ভালোভাবে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পারবেন আমি কিন্তু এক ইঞ্চি দূরে মোবাইল রেখে তার ভিডিও ধারণ করছি। এখানে ভিডিওতে কোন জুম করা হয়নি। ভিডিও ধারণ করার মুহূর্তে আমার বেশ কঠিন মনে হচ্ছিল। কারণ কিছু কিছু ভিডিও রয়েছে ধারণ করা খুবই সহজ। মোবাইলটা হাতে ধরে শুধু ভিডিও প্লে করলে ভিডিও ধারণ করা হয়ে যায়। কিন্তু এই কীট পতঙ্গের ভিডিওটা ধারণ করতে গিয়ে আমি প্রচন্ড বিরক্তি বোধ করছিলাম। একদিকে গা ঘেমে যাচ্ছিল, আরেক দিকে চিন্তা ছিল হয়তো কখন উড়ে চলে যেতে পারে, আবার চিন্তায় ছিলাম যে তিন চার মিনিট ভিডিও করতে পারব কিনা। অতি নিকটে মোবাইলটা একটু এদিকে সেদিকে ঘুরিয়ে ভিডিও করতে গিয়ে আমি ততক্ষণে অনেকটা ক্লান্ত বোধ করেছিলাম। তবুও সাকসেস হয়েছি ভিডিওটা ধারণ করতে গিয়ে। আর এই ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে বেশি নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি এবং স্বচক্ষে মনোযোগ সহকারে কীটপতঙ্গ টা অনুধাবন করতে পেরেছি।
ভিডিওটি দেখার জন্য ধন্যবাদ
ফটোগ্রাফি ও ভিডিও | ড্রাগনফ্লাইয় |
---|---|
স্থান | গাংনী |
লোকেশন | Location |
মোবাইল | Huawei P30 Pro-40mp |
youtube চ্যানেল | @Raj-pakhi |
ক্রেডিট | @jannatul |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
দেশ | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
এই ড্রাগনফ্লাইটি তো আপনাকে পোজ দিচ্ছে। যেন ছবি তোলার জন্যই সে বসেছে ওই ডালে। দারুন সুন্দর ভিডিওটি গ্রহণ করেছেন। সব থেকে বড় কথা এত কাছ থেকে এই ড্রাগনফ্লাইগুলির ছবি তোলা সম্ভব হয় না। আপনার খুব ভাগ্য প্রসন্ন যে আপনি এত সুন্দর ছবি ক্যাপচার করতে পেরেছেন। ছবিটি দেখে খুব মজা পেলাম।
আমাকে দেখে আরো রেডি হয়েছিল ছবি উঠানোর জন্য, আমি ভিডিও করে ফেলেছি।
এইসব জিনিসের ছবি তোলা কিংবা ভিডিও করা খুব একটা সহজ কাজ নয়। তবু আপনি এই ড্রাগনফ্লাই এর দারুন একটি ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু।আপনার করা ভিডিওগ্রাফি খুবই সুন্দর হয়েছে। দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমার তো প্রচন্ড গা ঘেমে গেছিল সেই মুহূর্তে।
ড্রাগনফ্লাই এর ভিডিও শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। এই ধরনের পোস্ট গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
ভিডিওটা দেখার জন্য ধন্যবাদ
অনেক সুন্দর একটি ভিডিও ধারণ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। এই গোগলু পোকা আমাদের এখানে অনেক বেশি লক্ষ্য করি। তবে সেভাবে ফটো ধারণ করা হয় না। অনেক সুন্দর হয়েছে ফটো ভিডিও। দারুন একটি ভিডিও প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার ফটো ধারণ করার চেষ্টা করবেন
এই ধরনের ভিডিওগ্রাফি গুলো ক্যাপচার করা অনেক সময় এবং ধৈর্যের ব্যাপার। বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের এই ভিডিওগ্রাফি টা দেখে। খুব সুন্দর ভাবে আপনি ড্রাগন ফ্লাই এর ভিডিওগ্রাফি টা ক্যাপচার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা ভিডিওগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এখানে ধৈর্যটা বেশ কঠিন জিনিস
এত কাছ থেকে ভিডিওগ্রাফিটি করেছেন অথচ ড্রাগনের ফ্লাই উড়ে পালিয়ে যায়নি এটাই আপনার সৌভাগ্য। চমৎকার ভিডিওগ্রাফি হয়েছে। রেজোলিউশন টা জাস্ট অসাধারণ।
হ্যাঁ আপু ঠিক বলেছেন সে যেন নড়ে চড়ে বসছিল
আপনার ভিডিওগ্রাফিটি দেখে অনেক ভালো লাগলো। এত সুন্দর একটি ভিডিওগ্রাফিটি আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভিডিওটা দেখার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
ড্রাগনফ্লাই দেখতে খুব ভালো লাগে বৈচিত্রময় বাহারি রঙ্গের ড্রাগনফ্লাই দেখতে বেশ দারুন লাগে। আপনার ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে ড্রাগনফ্লাই দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনার করা ড্রাগনফ্লাইয়ের ভিডিওগ্রাফি খুবই সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
হ্যাঁ আপনি একদম ঠিক মন্তব্য করেছেন।
ছোটবেলায় অনেক ড্রাগনফ্লাই ধরেছি। সেই সময় এই ড্রাগনফ্লাই ধরে তাদেকে দুধ খাওয়াতাম আর লেজের সাথে সুতা বেধে উড়িয়ে বেড়াতাম। আপনি অনেক সুন্দর করে ড্রাগন ফ্লাই এর ভিডিওগ্রাফি ধারণ করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। এই ধরনের ভিডিওগ্রাফি করা অনেক কষ্ট কারণ এরা অনেক চঞ্চল তার কারণে ঠিকভাবে ভিডিওগ্রাফি করা সম্ভব হয় না।
ভিডিওটা দেখার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
শুকরিয়া আপু দারুন একটি ভিডিও শেয়ার করার জন্য।