হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আবার উপস্থিত হয়েছি সবজিতে সেচ দেওয়ার সুন্দর একটি আনন্দঘন মুহূর্ত উপস্থাপন করার জন্য। আশা করবো আমার এই পোস্ট আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে এবং এরই মধ্য দিয়ে আমার শীতকালে সবজি ক্ষেতের কাজ করার সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করবেন।

শীতকালে বিভিন্ন শাকসবজি উৎপাদন করতে খুবই ভালো লাগে। এ মুহূর্তে বিভিন্ন প্রকার শাকসবজির পাশাপাশি পেঁয়াজ রসুন সহ আরো অনেক কিছু উৎপাদন করা সহজ হয় কারণ শীতে আগাছা খুব সহজেই দমন করা যায় এবং এমনিতেই নষ্ট হয়ে যায়। ঠিক তেমনি আমিও আমাদের পুকুরপাড়ের সুন্দর একটি জায়গায় পেঁয়াজ লাগিয়েছিলাম আর তারই পাশাপাশি টমেটো লাগিয়েছিলাম। টমেটো গাছগুলো আগে লাগানো হয়েছিল এরপরে পেঁয়াজ লাগানো হয়েছিল। আর সেই পিঁয়াজের সেচ দেওয়ার জন্য প্রায় সাবমারসিবল পাম্প আর 12 ভোল্টের ব্যাটারি নিয়ে পুকুরে উপস্থিত হতাম। বিকেল মুহূর্তর শাকসবজিতে পরিচয়টা করতে ভালো লাগে। আর তাই চেষ্টা করতাম বিকেল মূহুর্তটা কাজে লাগানোর। তাই দু এক দিন পর পর শাক সবজির পানি দেওয়া সার দেওয়া সহ এই সমস্ত কাজে নিয়োজিত থাকতাম এক দেড় ঘন্টার জন্য।


ঠিক তেমনি একদিন পড়ন্ত বিকেলে আমি পুকুর পাড়ে উপস্থিত হলাম পেঁয়াজের পানি দেওয়ার জন্য। বুঝতেই পারছেন শীতের সময় সময় খুব দ্রুত পানি শুকিয়ে যেত। তাই আমিও একটু বেশি করে পানি দেওয়ার চেষ্টা করতাম। সাবমারসিবল পামটা পুকুরের মধ্যে যে দিতাম এরপর পাইপ লাইন টা ঠিক করে নিয়ে ব্যাটারির সাথে কানেকশন দিয়ে পানি দেওয়ার কাজ শুরু করতাম। তবে একটা দেখি আমার বেশি নজর রাখতে হত তা হচ্ছে টমেটো গাছে বেশ টমেটো আসা শুরু হয়েছিল। টমেটোগুলো যেন বেশি ভিজে না যায় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হতো। অনেক টমেটো ভিজে কাঁদার সাথে থেকে থাকলে সেগুলো পোচে যেত। আর তাই এই বিষয়টা আমার বেশি নজরে রাখতে হোত।


পিঁয়াজের পানি দেওয়ার পাশাপাশি ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতাম। এজন্য টমেটো গাছগুলো আর পুকুর পাড়ের লাউ গাছ গুলো খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেত। বেশ অনেক সংখ্যক লাউ গাছ ছিল সেখানে। তাই ইউরিয়া সার একটু বেশি করে নিয়ে যেতাম। তাই একটা মুহূর্ত দেখা গেল লাউ গাছগুলো দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে লাউ ধরা শুরু হয়ে গেল। এদিকে পেঁয়াজের যত্নের সাথে সাথে লাউ টমেটোর মত একাধিক সবজি হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হল আমার এই কার্যক্রমের মাধ্যমে।



বিকেল মুহূর্তটা এভাবেই প্রকৃতির মাঝে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে অনেক অনেক ভালো লাগতো। তাই সময় সুযোগ করে শাকসবজি উৎপাদন ফটোগ্রাফি ভিডিও ধারণ। মাছের খাবার দেওয়ার সময় তো রয়েছেই, এভাবেই অন্যরকম ভালোলাগা মধ্য দিয়ে সময় পার করতাম। তবে কিছুদিন আগে বাড়িতে ফিরেই লক্ষ্য করে দেখলাম আমার সেই বাগানগুলো বন জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। আবারো আমি আগের মতো শাকসবজি উৎপাদন করব ইনশাল্লাহ,আমার এই বাগান গুলোর মধ্যে। তবে এই কয়টা দিন বৃষ্টির কারণে এখনো সুযোগ তৈরি করতে পারিনি কাজ করার জন্য। আবারো খুব শীঘ্রই নিয়ে আসবো আমার বাগানের সুন্দর শাকসবজির সবুজ প্রাণবন্ত পরিবেশ।



বিষয় | সবজিতে সেচ দেওয়া |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন | গাংনী-মেহেরপুর |
ব্লগার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ। |

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনারা পুকুর পাড়ে অনেক ধরনের সবজি চাষ করে থাকেন। বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। নিজের চাষ করা শাক সবজি গাছ পালা যত্ন করতেও অনেক ভালো লাগে। পেঁয়াজ খেতে পানি দেওয়ার সময় বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করে দারুন অনুভূতি শেয়ার করেছেন। আবার শীত আসতেছে। আবার পেঁয়াজ চাষ করার প্রস্তুতি নেন। ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ
শীতের সময়কার ফটোগ্রাফি গুলো এখন শেয়ার করেছেন। পেয়াজ ক্ষেতে পানি দেওয়ার মুহূর্তে পোস্টটি ভালো লাগলো।আপনারা সব সবজি নিজে হাতে চাষ করেন এটা আসলেই ভালো একটি ব্যাপার।টাটকা সবজি খেতে পারেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপনি।