ভিডিওগ্রাফি || ইট ভাটায় ইট তৈরি

in আমার বাংলা ব্লগlast year

"

18-11-2023

০৪ অগ্রহায়ণ , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ


আসসালামুআলাইকুম সবাইকে


"

IMG20231113155048.jpg

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। গতকাল হঠাৎ করেই আবহাওয়ার পরিবর্তন! বলতে গেলে ঝড়ের পূর্ভাবাস পেলাম। বলতে গেলে সারাদিনই বাতাসের সাথে বৃষ্টি ছিল। আসলে ওয়েদারের এতো পরিবর্তন আগে কখনো দেখিনি। শীতের দিনে বৃষ্টির দেখা পেলাম। তবে বৃষ্টি যে শীতে দিয়ে গেল তা এখন বুঝা যাচ্ছে। সকাল থেকেই আজ রোদের দেখা পেলাম। তাপমাত্রাও ছিল অনেক। সারাদিন শীত বুঝা যায়নি। এখন ঠিকই শীতের অনুভব হচ্ছে। যাক, আপনাদেরকে বলেছিলাম যে ইট বানানোর ভিডিও শেয়ার করবো। আর সেটা শেয়ার করতেই চলে আসলাম।

কিছুদিন আগে বিকালে সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিলাম। গ্রামের অনেক পরিবর্তন হয়েছে বের হয়েই বুঝতে পারলাম। গারোয়া সড়ক আগে তেমন ভালো ছিল না। কিছুদিন আগে যখন গেলাম তখন রাস্তা বলতে গেলে পিচঢালা করে বানানো হয়েছে। যাতায়াতের ব্যবস্থাও এখন ভালো হয়েছে। রাস্তাটাও অনেকদিন ধরে ভালো ছিল। গাড়োয়া সড়কের ঠিক পূর্বপাশে বড় একটি ইটের ভাটা! যখন গিয়েছিলাম তখন দেখতে পেলাম ইটের সাড়ি করা। আসলে ইটের ভাটায় কয়েকটা সেক্টরে কাজ হয়। কিছু শ্রমিক মাটি সংগ্রহ করে। কিছু শ্রমিক সেই মাটিকে পানির সাহায্যে নরম করছে। আবার কিছু শ্রমিক ইট বানানোর কাজে ব্যস্ত! তবে ইটের ভাটায় প্রবেশ করে আমি আশেপাশটা ঘুরে দেখলাম!

IMG20231113154849.jpg

মজার ব্যাপার হলো আমি যখন ইটের ভাটায় প্রবেশ করে ফটোগ্রাফি করছিলাম অনেকজন হয়তো ভাবছিল আমি সাংবাদিক টাইপের কেউ, হাহা! অনেকেই আমার দিকে এগিয়ে আসছিল আসলে। তবে ইটের ভাটায় দেখলাম আমাদের পরিচিত কয়েকজন কাজ করছে। আসলে এখানে শ্রমিকরা সকাল আটটা থেকে বিকাল পাচঁটি অবধি কাজ করে থাকে। রাতে কাজ বন্ধ থাকে। আর ইট পুড়ানোর প্রক্রিয়াটা শুরু হয় যখন অনেকগুলো ইট বানানো শেষ হয়। কয়েকজন লোকের কাছে বর্তমান ইটের বাজারমূল্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছিলাম। ইটের বাজারদর শুনে তো আমি অবাক! একটা ইটের দাম এখন ১৫ টাকা! অথচ পাচঁ বছর আগেও সেটা ছিল ২ টাকা করে! ১০০০ ইটের দাম পরে ১৫০০০ টাকার মতো করে! তার মানে বুঝায় যাচ্ছে ইটের ব্যবহারটা দিনকে দিন বেড়েই চলছে।

মাটির ঘর থেকে কনভার্ট হয়ে তৈরি হচ্ছে ইটের তৈরি বিল্ডিং বাড়ি! গ্রামেও এখন সবাই ইট দিয়ে ঘর তৈরিতে ব্যস্ত! মাটির ঘর আর টিনের চালের ঘর আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। আর কয়েক বছর পর মনে হয় না মাটির আর টিনের চালের ঘর থাকবে! গ্রামের মানুষ বলতে গেলে অনেক আধুনিক হয়ে গিয়েছে। যাক, আমি লোকদের সাথে কিছুক্ষণ কথা বললাম! তারপর সেখান থেকে সামনে যেতেই দেখলাম কয়েকজন শ্রমিক ইট তৈরি করছে মাটি দিয়ে। দেখতে পেলাম কাঠের বাক্সের মতো একটার ভিতর মাটি ভরে ইট তৈরি করে ফেলছে। কাজগুলো অনেকটা দ্রুত করতেছিল। আসলে তারা অনেকেটাই এক্সপার্ট হয়ে গিয়েছে ইট তৈরি করতে! আমি যখন ভিডিও করছিলাম তাদের মুখ থেকে শুনতে পেলাম ভাইরাল করার জন্যই তাদের ভিডিও করছি। তারাও দেখলাম বেশ মজা পেল!

IMG20231113155711.jpg

ভাইরাল করতে পারলেই সব এখন! আপনি ছোট একটি কাজ করেন আর সেটা যদি ভাইরাল হয়ে ট্রেন্ড এ চলে যায় তাহলে তো মোটামুটি সবাই জানতে পারবে ব্যাপারটা। বর্তমানে ভাইরাল নামক ট্রেন্ডটাই চলছে। তাদের কাছে ভাইরাল হওয়ার ব্যাপারটা শুনে ভালোই লাগছিল আসলে। তো আমি তাদের পারমিশন নিয়েই ভিডিও করলাম। আজকের ভিডিওতে দেখতে পাবেন কিভাবে মাটি দিয়ে ইট তৈরি করা হয়।

ভিডিও লিংক

DeviceOppo A12
Photogrpher@haideremtiaz
Locationw3w



10% beneficary for @shyfox ❤️

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg



আমি কে?

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।

Sort:  
 last year 

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

আমাদের ধারে ভাইয়া সারাদিন বাতাস ছিল কিন্তু আমরা বৃষ্টির দেখা পাই নাই। ওয়েদারটা খুবই ঠান্ডা ছিল। আস্তে আস্তে গ্রামের অনেক পরিবর্তন হবে ভাইয়া স্বাভাবিক কারণ সড়ক গুলি ঠিকঠাক ভাবে তৈরি হচ্ছে । আমাদের এখানে তো পুরা গ্রামটা চেঞ্জ হয়ে গিয়েছে। গাছপালা কেটে ফেলেছে পুরাই চেনাই যাচ্ছে না। কিছু শ্রমিক মাটিকে পানির সাহায্যে নরম করতেছে তার কিছু মুহূর্ত আপনি তুলে ধরেছেন ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে। আমিও ভাই একদিন ফটোগ্রাফি করছিলাম এবং অনেক মানুষ ইটের ভাটায় কাজ করতেছে এবং আমি ক্যামেরাটা বার করতেছি এবং ওরা ভয় পেয়ে গেছে বলছে কে কে কে? আমি বাইক অন করে পালাই গেছি🤣😀।আস্তে আস্তে মাটির ঘর ও টিনের চালের ঘর কমে যাচ্ছে কিন্তু একটা সময় এই ঘর অনেক ঐতিহ্যবাহী ছিল। টিনের ঘরে বাস করে মজা ভাইয়া অনেক।এখনকার প্রতিটা মানুষ ভাইরাল হতে চায় এবং আপনি তাদের পারমিশন নিয়ে ভিডিও করেছেন খুব সুন্দর একটি উদ্যোগ নিয়েছেন ভাইয়া। কিভাবে ইট বানানো হয় তার ভিডিওগ্রাফি আপনি তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে।আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

 last year 

হাহাহা!! ভাই আমারও তাই মনে হয়েছিল। লোকজন ভাবছিল আমি হয়তো সাংবাদিক 😂

 last year 

বর্তমান সময়ে সব জিনিসের দামই বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে তাই ইটের দামও আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে খুবই চমৎকারভাবে আপনি আমাদেরকে দেখালেন কিভাবে ইট তৈরি করতে হয়। নতুন ধরনের এই জিনিস দেখে খুবই ভালো লাগলো।

 last year 

আমার কাছেও খুবই ভালো লেগেছিল ভিডিওটা করে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ☘️

 last year 

অনেক আগে যখন আমরা স্কুলে পড়তাম তখন বন্ধুরা মিলে এরকম ইটের ভাটায় ঘুরতে যেতাম৷ তখন সবগুলো জায়গা ঘুরে ঘুরে দেখতাম। আজকে আপনার কাছ থেকে ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে আবার পুরনো দিনের কথাগুলো মনে পড়ে গেল৷ খুবই সুন্দর ভাবে আপনি এই ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করার জন্য৷

 last year 

আসলেই ভাই, ছোটবেলায় আমরাও ইটভাটায় যেতাম ঘুরতে। একটা অন্যরকম একটা ফিলিংস কাজ করতো

 last year 

ইট তৈরির ভিডিও দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া।এই ইট তৈরি গুলো দেখতে বেশ ভালোই লাগে আমার।আপনার পোস্টটি মাধ্যমে আবার দেখতে পেলাম।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ☘️

 last year 

ইট ভাটাই ইট তৈরির দৃশ্য গুলো খুবই সুন্দর। সেই সাথে সেখানকার কর্মীরা খুব পরিশ্রম করে। আমরা যে ইট গুলো পায় আসলে খুব কষ্টের বিনিময়ে সেগুলো ইটে পরিণত হয়। আপনি ইট ভাটায় যেয়ে অনেক সুন্দর একটি ভিডিওগ্রাফি করলেন। আমার কাছে বেশ ভালই লাগলো। আপনি চমৎকার বর্ণনার মাধ্যমে এবং সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ভিডিওটি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

জি আপু, ইটগুলো তৈরির পিছনে অনেক পরিশ্রম থাকে। সেখানকার কর্মীরাও অনেক পরিশ্রমী। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ☘️

 last year 

ভাইয়া খুব সুন্দর ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার ভিডিওতে ইট বানানো দেখতে পেলাম। ইট ভাটার পাশে দিয়ে গিয়েছি কিন্তু কখনো এভাবে ইট বানানো দেখা হয়নি। এই ইট ভাটার কারণে প্রাকৃতিক পরিবেশ অনেক ক্ষতিগ্ৰস্ত হচ্ছে। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

 last year 

জি আপু, আমিও প্রথমবার মনে হয় দেখলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকেও

 last year 

বাহ্! চমৎকার একটি ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করেছেন তো ভাই। বর্তমানে ইটের দাম অনেক। কয়েক মাস আগে প্রায় ২৫০০০ ইট কিনে আমার বাসার উপর তলার নির্মাণ কাজ শেষ করেছি। ইটখোলার লোকজন প্রচুর পরিশ্রম করে। আমার অনেক আগে থেকেই ইট খোলায় যাতায়াত রয়েছে। কারণ ইটখোলা থেকে অগ্রিম ইট কিনে বিক্রি করেছিলাম অনেক আগে। যাইহোক ভিডিওগ্রাফি করতে গিয়ে সাংবাদিক হয়ে গেলেন 😂। এতো চমৎকার একটি ভিডিওগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।