আমার ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? সবাইকে ভালোবাসা দিবস ও বসন্তের শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত কিভাবে কাটালাম সেটি শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরী না করে শুরু করা যাক।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ভার্সিটি চলে যাই। ভার্সিটিতে বসন্ত উৎসব ও সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছিলো। ভার্সিটিতে কাজ শেষ করে আমি বাসায় ফিরে এসে গোসল করে দুপুরের খাওয়া খেয়ে নেই। এরপর কাকরাইল এর উদ্দেশ্য বাসা থেকে বের হই কারণ আম্মু কাকরাইল এ আসবে। আমি নতুনবাজার থেকে আকাশ বাসে করে রওনা দেই।
আকাশ বাসে উঠে কাকরাইল এর উদ্দেশ্যে যেতে থাকি। নতুনবাজার থেকে রামপুরা পর্যন্ত তেমন একটা জ্যাম ছিলোনা। রামপুরা বাজারের দিকে কিছুক্ষণ জ্যাম ছিলো। তারপরেও নতুনবাজার থেকে কাকরাইল যেতে খুব বেশি একটা সময় লাগেনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি কাকরাইল মোড়ে পৌঁছে যাই। আমি কাকরাইল মোড়ে নেমে আম্মুর জন্য অপেক্ষা করতে থাকি আম্মু ও বরপা থেকে বাসে করে কাকরাইল আসছিলো।
কিছুক্ষণ এর মধ্যে আম্মু ও চলে আসে। এরপর আমি ও আম্মু মিলে কচি-কাচার মেলায় যাই৷ ঢাকা শিল্পকলা একাডেমির পাশেই কচি-কাচার মেলা অডিটোরিয়ামটি উপস্থিত। এখানে বসন্ত উৎসব ও নান্দনিক পুরষ্কার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিলো। এই প্রোগামে বাংলাদেশের সম্মানীয় ও বরণীয় ব্যক্তিবর্গ ও শিল্পী এসেছিলো। আমরা কচি-কাচায় গিয়ে আসন গ্রহণ করি এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই অনুষ্ঠানটি শুরু হয়ে যায়।
এরপর যখন মাগরিবের আজনের বিরতি দেয় তখন আমি আর আম্মু প্রোগামটি থেকে বের হয়ে আসি কারণ আম্মুর বাংলা বাজারে কিছু কাজ ছিলো। প্রোগাম থেকে বের হয়ে আমরা সদরঘাটের বাসে উঠি। গুলিস্তান তারপর আসে সদরঘাটে এসে আমরা নামি।
আমরা মূলত বাংলা বাজারের একটি প্রকাশনায় গিয়েছিলাম, যেই প্রকাশনায় আম্মুর বই এবার বানানো হয়। আম্মুর এবার একান্ত বইটির নাম হলো 'সাথীর শত কবিতা' এই বইয়ে আম্মুর একশতটি কবিতা রয়েছে। প্রকাশনায় গিয়ে বইটির কয়েক কপি প্রকাশনা আমাদের দেয়।
এরপর কাজ শেষ এ গুলিস্তান থেকে বরপার বাসে উঠে ভাইয়ার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। বাসে বসেই পোস্টটি লেখা শুরু করি এই মাত্র বাসা এসে পৌঁছালাম। যাইহোক আমার ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত কেটেছে আমার সবথেকে প্রিয় মানুষ আমার মায়ের সাথে। আপনাদের ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত কার সাথে কাটলো কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
আজকের মতো এখানেই। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
বসন্তের এই প্রথম দিনে আর ভালোবাসা দিবসের আপনারা দেখছি বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন একটি প্রোগ্রামে এবং কিছুটা ব্যস্তময় সময় অতিবাহিত করেছেন। আমার ভালো লাগলো আপনার আম্মু সুস্থ হয়েছেন দেখে। দোয়া করব যেন উনি সর্বদা সুস্থ থেকে আমাদের সাথে পথ চলতে পারেন।
দোয়া করবেন আমার মা এর জন্য ভাই, তবে সময়টা অনেক উপভোগ করেছিলাম, ধন্যবাদ আপনাকে।।
বসন্তের প্রথম দিনে সকাল সকাল ভার্সিটিতে গেলেন। এরপর দুপুরে বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে মা কে নিয়ে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আর খুব ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন বেশ ভালো লাগলো। মা কে নিয়ে বিশেষ একটি দিন কাটিয়ে আপনার ও ভীষণ ভালো লেগেছে আশাকরি।ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ব্যস্ত হলেও সময়টা কিন্তু অনেক উপভোগ করেছিলাম, ধন্যবাদ আপনাকে আপু।।
আপনি আপনার আম্মু সহ কচি কাঁচার মেলায় গিয়েছিলেন।কচি কাঁচার মেলাটি ঢাকা শিল্প কলা একাডেমির পাশেই, এটা আমি আজকে আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। মেলার মধ্যে বসন্ত উৎসব এবং নান্দনিক পুরুস্কার বিতরনের জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, আপনি এবং আপনার আম্মু সহ এই অনুষ্ঠানটি বেশ সুন্দর উপভোগ করেছেন।
জি ভাই, অনেক আনন্দ করেছিলাম এবং সময়টি ও অনেক উপভোগ করেছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।।