অবহেলিত সবুজ কাকাকে নিয়ে লেখা By|@salmanabir|১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জনয়

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

হ্যালো প্রিয় বাংলাব্লগবাসী আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন,আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।

করোনা দিন দিন বেড়ে চলছে এবং সেই সাথে তাপমাত্রা কমে আসছে। সব মিলিয়ে খুবই খারাপ অবস্থায় তারপরও আল্লাহ আমাদের ভালো রাখছেন শুকুর আলহামদুলিল্লাহ। সবাই যার যার অবস্থান থেকে একটু সর্তক থাকব হয়ত কিছুটা সমস্যার হাত থেকে বেচে থাকব।

আজকে আমি কোন রেসিপি নয় কোন আর্ট নয় কোন ভ্রমনকাহিনী নিয়ে আসি নায় আজকে আমি অবহেলিত মানুষদের নিয়ে কিছু লেখার চেষ্টা করব, শুরুতেই বলে রাখি আমি ওতো গুছালো ভাবে লিখতে এখনো পারি না, তবে লিখতে যখন শুরু করছি হয়ত একদিন ভালো লিখতে পারব ইনশাআল্লাহ

IMG_20211219_110618.jpg

কিছুদিন যাবত একটি জব করতাম সে সুবাদে অনেক স্থান ঘুরাঘুরির সুজোগ হয়েছিল এবং অনেক মানুষের সাথে পরিচিত হয়েছিলাম।অনেক মানুষ সম্পর্কে পজেটিভ এবং নেগেটিভ ধারনাও পেয়েছি।ভালো এবং খারাপ মানুষকেও চিনছি এক কথায় বলা যেতে পারে একটা মানুষ কয়েক রকমের চরিত্রের হতে পারে

আমার সাথে ছবিতে যে ব্যক্তিকে দেখছেন তিনি হলেন সবুজ কাকা তার বয়স ৩৫+। তার বাসা বরগুনা জেলা শহরে তার ফ্যামিলিতে তিনি তার বাবা মায়ের বড় সন্তান।কাজ কর্ম তেমন কিছুই করে না, করে না বল্লেও ভুল হবে সে কাজ কর্ম পায় না।দোকানে চা খাইতে বসছিলাম তখন তার সাথে পরিচয় এবং অনেক আলাপ আলোচনা।তার সাথে আলোচনা করেই অনেক কিছু বুজতে পারলাম এবং সেই আলোকেই আজকে লেখা। সবুজ কাকা আমাদের সমাজের এক অবহেলিত প্রান।বয়স বাড়া সত্যেও তিনি অনেক খাটো রয়ে গেছেন তাই বলে তাকে কেউ গুরুত্ব দেয় না।আমি প্রায় ঘন্টাখানিক তার সাথে সময় কাটালাম। ছোটরাও তাকে তুই করে বলে এবং তাকে যারা প্রথম দেখে তারাই হেসে দেয় বিভিন্ন রকম বাজে মন্তব্য করে বসে।প্রতিবাদ করার কোন সুজোগ নাই চুপচাপ শুনে যেতে হয়

এইবার বলব তাকে কিভাবে ব্যবহার করে,সবুজ কাকা যে বাজারে প্রতিদিন আসে সেই বাজারের সব দোকানদার তাকে দিয়ে বিভিন্ন কাজ করায়।যেমন দোকানের জন্য পানি আনা এবং দোকানটা গুছানো আবার এমন ও হয় যে দোকানদার বাজার করে তাকে দিয়ে বাড়ি পাঠায়।এই কাজ গুলোর বিনিময়ে সে সর্বোচ্চ একজন দোকানদারের কাছ থেকে দশ টাকা নিতে পারে। আবার অনেক দোকানদার আছে টাকা দেয় না বলে রুটি খেয়ে যা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে তার খাবার দরকার নাই তারপর ও তাকে টাকার বিনিময়ে খাবার নিতে হয় তা ছাড়া দোকানদার পরে কিছুই দেয় না। সুবিধাজনক মানুষ গুলো তাকে এভাবেই ব্যবহার করে যাচ্ছে। এখানেও সে চুপ থাকে কিছু বলার সাধ্য নাই সে যে অবহেলিত তাকে যে সমাজের সবাই ভিন্ন চোখে দেখে

কিন্তু আমরা ভুলে গেছি যে তাকেও আল্লাহ ভালোবেসে সৃষ্টি করছেন এবং তিনিও আল্লাহর কাছে প্রিয়।তিনিও যে তার বাবা মায়ের আদরের সন্তান এটা আমরা ভেবে দেখি নায়। আমরা তাকে ছোট চোখে দেখি এটা আমাদেরই সমস্যা আমরা যদি পজেটিভ নিতাম তাহলে সবুজ কাকাও ভালো কিছু করতে পারত।প্রতিটা মানু্েষের একটা অধিকার কারো অধিকার নিয়ে খেলা করা আমাদের রাইট নাই

IMG_20211219_110732.jpg

অনেক কথা হলো দেন সে অনেক কাছের হয়ে গেল তারমধ্য অনেক ভালোলাগা সৃষ্টি হলো,এক পর্যায় সে আমার প্রশংসা করতে লাগলো।
সর্বশেষ বলে ফেল্লো আমার এক জোড়া জুতা দরকার।এভাবেই চলে তার জীবন অথচ কাজ করে অনেক কিন্তু টাকা পায় না

আমরা সবাইকে ভালোবাসতে শিখি তাহলে সবাই তার জায়গা থেকে উৎসাহিত হবে।কাউকে ছোট না করে দেখি সবাই সৃষ্টিকর্তার কাছে সমান এটা না ভুলে যাই

আমার লেখার মধ্য কোন ভুলত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল। এতো সময় নিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ

ফটোগ্রাফার@salmanabir
ডিভাইসরেডমি নোট ৫
লোকেশনবরগুনা সদর

এতো সময় সাথে ছিলাম আমি @salmanabir পেশায় একজন উদ্যোগতা।

ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন এই কামনা করেই শেষ করছি

                আল্লাহ হাফেজ
Sort:  
 3 years ago 

আপনার লিখাটা পরে আমার খারাপ লাগছে।আসলো আমরা মানুষকে অবজ্ঞা করার সময়,একবারো তার জায়গায় নিজের অবস্থানটা ভাবতে পারি না।যদি একবারের জন্যও ভাবতাম তাহলে হয়তো খারাপ ব্যবহার করার সময় অনেকবার ভাবতাম।অথচ এটা কিন্তুু কথা ছিল না,সৃষ্টিকর্তা একেক জনকে একেক রকম বানিয়েছে,আমাদের কোন না কোন দিক থেকে ভালোর জন্য।

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।