হঠাৎ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি ।।

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

🥰...এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব.💗🙏।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে দীর্ঘ কয়েক মাস আগে যুক্ত হয়েছি। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে ।আজকে আমি আপনাদের সাথে হঠাৎ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

বাংলাদেশের উত্তর বঙ্গ বরাবরই একটু পিছিয়ে ছিল উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধায়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গড়ে উঠেছে কিছু প্রতিষ্ঠান, যেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল নামটি হলো—হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (HSTU)। দিনাজপুর জেলার বুকজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই শিক্ষাঙ্গন শুধুমাত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বরং এটি উত্তর বঙ্গের শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ ও সম্ভাবনার প্রতীক।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম আমি অনেকদিন ধরেই শুনে এসেছি। আমাদের অঞ্চলে বড় ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা হাতে গোনা, আর তার মধ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয়টি তার পরিসর, অবকাঠামো এবং শিক্ষার মানে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী এখানে আসে জ্ঞান অর্জনের আশায়। এমনকি বিভিন্ন দেশ থেকেও, কিছু বিদেশি শিক্ষার্থীও এখানে পড়াশোনা করেন । যা এটির আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ। স্থাপত্য, কৃষি, কম্পিউটার বিজ্ঞান, ব্যবসায় প্রশাসনসহ নানান বিষয়ে এখানে উচ্চমানের শিক্ষা প্রদান করা হয়।এক কথায়, এটি উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর খ্যাতি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বহুদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।এমন একটি জায়গা দেখার সুযোগ হঠাৎ একদিন আমার জীবনে এসে ধরা দিলো।

একদিন হঠাৎ একটি কাজে দিনাজপুর যাওয়ার সুযোগ হয়। কাজ শেষে হাতে কিছুটা সময় থাকায় ভাবলাম, এত কাছে এসেছি, তাহলে এই সময়টুকু কাজে লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি একবার ঘুরে দেখা যাক। কোনো পূর্বপরিকল্পনা ছিল না, একেবারে হঠাৎ সিদ্ধান্ত। একটি অটোরিকশা নিয়ে রওনা হলাম। সেখানে আমার একটি বন্ধ পড়াশোনা করে । মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম ক্যাম্পাসে।যেতে যেতে মনে পড়ল আমার এক বন্ধু ক্যাম্পাসের পাশেই একটি মেসে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ফোন করলাম। সৌভাগ্যবশত সে সেদিন মেসেই ছিল, দ্রুত চলে এলো আমাকে নিতে ,সে পাশের একটি মেসে থাকে। ওর সঙ্গে দেখা হতেই আমাদের ক্যাম্পাস ঘোরার সূচনা হলো।

বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পা রাখতেই মনটা যেন ভালো হয়ে গেল। চারপাশে ছায়াঘেরা গাছ, পরিচ্ছন্ন রাস্তা, আর চোখ জুড়ানো সারি সারি ভবন। যেদিকেই তাকাই, এক ধরনের শৃঙ্খলা আর পরিকল্পনার ছাপ স্পষ্ট। ভবনগুলোর ডিজাইন খুবই আধুনিক এবং নজরকাড়া। সবুজে ঘেরা এই পরিবেশটিকে আরও জীবন্ত করে তুলেছে। ক্যাম্পাসের প্রতিটি কোণেই যেন এক ধরনের প্রশান্তি মিশে আছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টি যেমন বড়, তেমনি গুছানো। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একাধিক আবাসিক হল, যেখানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ছেলেমেয়েরা থেকে পড়াশোনা করে। সেখানকার পরিবেশ, গাছপালা, খোলা প্রান্তর সবকিছুই একধরনের স্বস্তি এনে দেয় মনে।

এই হঠাৎ ঘোরাঘুরি আমাকে এক অনন্য অভিজ্ঞতা উপহার দিল। সময় খুব বেশি ছিল না, তবে যতটুকু দেখেছি, ততটুকুই মুগ্ধ করেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আধুনিক স্থাপত্য আর প্রাণবন্ত পরিবেশ মিলিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়।এটি এক ধরনের অনুভূতি। এক টুকরো শান্তি, একখণ্ড সবুজে মোড়ানো জ্ঞানের জগৎ।

এই সফরের স্মৃতি আমার মনে দীর্ঘদিন ধরে থেকে যাবে, এবং হয়তো আবারও কোনো একদিন ফিরে যেতে মন চাইবে এই সুন্দর ক্যাম্পাসটিতে।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি । আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক । আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি । আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি । আমি গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই । এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি । আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।