পিএসজির ইতিহাস রচনা!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
পিএসজিকে সবাই বলতো কৃষক লীগের দল। একপ্রকার অবজ্ঞা করতো তাদের। কারণ তাদের কোন উয়েফা চ্যাম্পিয়ন লীগ ট্রফি ছিল না। রোনালদিনহো, ডেভিড ব্যাকহাম সহ মেসি নেইমার এমবাপ্পে সবাই চেষ্টা করেছে। সবাই খেলেছেপিএসজির হয়ে কিন্তু কোন ফল হয়নি। এর আগে ২০২০ বায়ার্ন মিউনিখের কাছে তারা ফাইনাল হারে। কিন্তু এবার গল্প টা ভিন্ন। তাদের সবচাইতে বড় তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে দল ছাড়লেও স্প্যানিস মাস্টারমাইন্ড দারুণভাবে দলটা সাজায়। অসাধারণ এক ভারসাম্যপূর্ণ টিম তৈরি করে। যার ফলে পৌছে যায় এবার চ্যাম্পিয়ন লীগ এর ফাইনালে। গত রাতে ফাইনালে তারা মুখোমুখি হয়েছিল ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলানের। ২০২৩ সালে চ্যাম্পিয়ন লীগ ফাইনালে ম্যান সিটির কাছে হেরেছিল ইন্টার মিলান।
লুইস এনরিকে পিএসজিতে ৪-৩-৩ ফর্মেশনে মাঠে নামায়। অন্যদিকে ইন্টার মিলান কোচ ইনজাঘী তার দলকে মাঠে নামায় ৩-৫-২ ফর্মেশনে। যেখানে দুই ফুলব্যাক পুরোপুরি ওভারল্যাপ করে খেলছিল। কিন্তু মিলান কোচের এই স্ট্যাটাজি কোন কাজেই লাগেনি বলা যায়। খেলা শুরু হয় বাংলাদেশ সময় রাত ১ টার সময়। ম্যাচের একেবারে প্রথম থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে পিএসজি। নিজেদের মধ্যে অসাধারণ বোঝাপড়া ছিল তাদের খেলোয়াদের। পরিকল্পিতভাবে পাস খেলে আক্রমণে যাচ্ছিল। যার ফলে গোল পেতে বেশি সময় লাগেনি। ম্যাচের তখন মাএ ১২ মিনিট। ১৮ বছর বয়সী তরুন দুয়ের অসাধারণ একটা অ্যাসিস্টে গোল করে আশরাফ হাকিমি। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। এরপর তাদের খেলা যথারীতি একইভাবে চলতে থাকে।
ম্যাচের ২০ তম মিনিট তখন। উসমান দেম্বেলের দারুণ এক অ্যাসিস্টে চমৎকার এক গোল করে সেই তরুণ দুয়ে। পিএসজি এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। বলা যায় এই গোলের পরেই ফাইনাল টা জিতে নেয় পিএসজি। অন্যদিকে ইন্টার মিলান ছিল পুরোপুরি বিবর্ণ। সেরকম কোন পজেটিভ আক্রমণ করতে পারেনি তারা। পারেনি সেরকম কোন সুযোগ তৈরি করতে। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে বেশ নিজেদের খেলার গতি বজায় রাখে পিএসজি। অন্যদিকে ইন্টার মিলান আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করলেও কোন লাভ হচ্ছিল না। ম্যাচের তখন ৬৩ মিনিট। ভিতিনহার অ্যাসিস্টে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করে দুয়ে। পিএসজি পুরোপুরি ৩-০ গোলে এগিয়ে যায়। এই গোলের পরেই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায় পিএসজির শিরোপা জয়। তবে পিএসজি তখনও থেমে যায়নি।
৩ গোলে পিছিয়ে থেকে যখন ইন্টার মিলান অল- আউট অ্যাটাক করছে সেই সুযোগে ৭৩ মিনিটে কাভারেসখেলিয়া এবং ৮৬ মিনিটে গোল করে মায়ালু। ম্যাচে পুরোপুরি ৫-০ গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। মায়ালুর ইন্টারের কফিনে শেষ পেরেক টা ঠুকে দেয়। না আর কোন অতিরঞ্জিত কিছু ঘটেনি। ম্যাচ শেষ হয় ৫-০ গোলে চ্যাম্পিয়ন লীগ ফাইনাল জিতে নেয় পিএসজি। ইতিহাস রচনা করে পিএসজি। এটা ছিল তাদের প্রথম চ্যাম্পিয়ন লীগ। এবং চ্যাম্পিয়ান লীগের ইতিহাসে এটা ছিল সবচাইতে বাজে ফাইনাল। এর আগে কোন দল ফাইনালে এতো বড় ব্যবধানে হারেনি। শুধু চ্যাম্পিয়ন লীগ না লীগ ওয়ান শিরোপা এবং কোপা দে ফ্রান্স জিতে এই সিজেনে ট্রেবল জিতেছে পিএসজি। পিএসজিকে অভিনন্দন নিজেদের প্রথম চ্যাম্পিয়ন লীগ শিরোপার জন্য।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily taskş
https://x.com/Emon423/status/1929104758016532480?t=HZgtrbLa6tsMvjA_hfTujw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.