গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান || বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও বিতরণ
হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা ,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। সদা-সর্বদায় সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করি। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। যাইহোক আমি আজকে আপনাদের মাঝে একটা বাস্তবিক পোস্ট শেয়ার করবো। আমি নিয়মিত লেখালেখি করতে চেষ্টা করি। যখনই সময় সুযোগ হয়ে ওঠে ঠিক তখনই বই পড়া কিংবা লেখালেখিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। তবে আমি বাস্তবসম্মত লেখা লিখতে চেষ্টা করি । তো বন্ধুরা আজকে আপনাদের সাথে তেমনি বাস্তবসম্মত একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।
আমরা সকলেই জানি বৃক্ষ হচ্ছে মানুষের পরম বন্ধু। পরম বন্ধু বৃক্ষ নিধন করছে মানুষেরাই। মানুষ নিজেরাই নিজেদেরকে ধ্বংস করার প্রতিযোগিতার লিপ্ত হচ্ছে। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে বন জঙ্গল পরিষ্কার করে ফেলতেছে মানুষ। যার কারণে রোদের তীব্রতা আজকে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে আছে। সুজলা সুফলা দেশ আজকে প্রায় আগুনের কুণ্ডলীর মতোই উত্তপ্ত হয়ে আছে। পৃথিবীর অক্সিজেন খ্যাত অ্যামাজনে চলছে বৃক্ষ নিধন। সারা পৃথিবীতে অক্সিজেনের সিংহভাগ সাপোর্ট দেয় অ্যামাজন জঙ্গল।
যেখানে সারা পৃথিবীতে ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা উচিত আর সেখানে আছে বাংলাদেশে মাত্র ১৬ ভাগ। কিন্তু বর্তমানে তাও অনেক অংশে কমে গিয়েছে। রাস্তাঘাট যেভাবে প্রসারিত করতেছে, রাস্তার আশেপাশের সকল বৃক্ষ কেটে ফেলতে হয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে মানুষের বাসস্থান নির্মাণের ক্ষেত্রে অসংখ্য বৃক্ষ নিধন হচ্ছে। কিন্তু কেউই নতুন প্লান-প্রোগ্রাম নিয়ে বৃক্ষরোপণ অভিযানে নামছে না।
এভাবে চলতে থাকলে আমাদের ভবিষ্যৎ খুবই ভয়ানক রূপ ধারণ করবে। তাই আমাদের উচিত বৃক্ষরোপণের দিকে মনোনিবেশ করা। সে সুবাদেই আমরাও উদ্যোগ নিয়ে স্কুল কলেজ এবং পথচারী যারা রয়েছে তাদের মাঝে বৃক্ষ বিতরণ করলাম। শুধু তাই নয় আমরা বৃক্ষরোপন করলাম এবং বৃক্ষরোপনের গুরুত্ব বুঝিয়ে আলোচনা করলাম।
গতকাল সোমবার বিকেল ৩ ঘটিকা হতে ফেনী জেলার ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠান আতাতুর্ক স্কুল মাঠে **সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট** এর উদ্যোগে আমরা বৃক্ষরোপণ এবং বৃক্ষ বিতরণের আয়োজন করেছি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অধিদপ্তর থেকে দায়িত্বরত কর্মকর্তা বৃন্দ। তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং এ ভয়াবহ উত্তপ্ততার বিবরণ দিয়ে বৃক্ষের ভূমিকা আলোচনা করেছেন। এবং কি সকল মানুষকে বৃক্ষরোপনের প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন।
বৃক্ষ মূলত পরিবেশ, আবহাওয়া ও জলবায়ুর ভারসাম্য ধরে রাখে। বৃক্ষ নিয়মিত বৃষ্টিপাতের সাহায্য করেন। নদী ভাঙ্গন থেকে শুরু করে মাটি ক্ষয়রোধে বৃক্ষ অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে। এক কথা বৃক্ষবিহীন পৃথিবীটা জনশূন্য হয়ে যাবে। মানুষের উপলব্ধিতে সবকিছু থাকলেও তারা বৃক্ষ নিধনে প্রতিযোগিতা জড়িয়ে গেল। বৃক্ষ নিধন করে নতুনভাবে বৃক্ষরোপণে মনোযোগী হচ্ছে না তারা।
যাইহোক আমরা স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে বৃক্ষ বিতরণ করেছি। এবং তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করেছি তাদের সহপাঠীদেরকে নিয়ে যেন এই মিশনে নিজেদেরকে সংযুক্ত করে। তারাও আমাদের সাথে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে যে, তারও এমন উদ্যোগ নিয়ে বৃক্ষরোপণ মিশনে নামবেন। এটা শুনে আমাদের নিজেদের মাঝেও খুব ভালো লেগেছে। আমরা প্রায় পাঁচ শত বৃক্ষ বিতরণ করেছি। একশো বৃক্ষ রোপন করেছি।
যারা সচেতন মানুষ রয়েছে তারা যদি এভাবে এগিয়ে আসেন তাহলে আমরা আবার সুজলা সুফলা একটা পৃথিবী পাবো। প্রয়োজন একটু সচেতনতা তাহলেই সবুজ শ্যামল পৃথিবী গড়া আমাদের দ্বারা কোন ব্যাপারই না। আসুন আমরা স্বস্ব স্থান থেকে এগিয়ে আসি। নিজেদেরকে ভালো কাজে সম্পৃক্ত করি। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিয়ে একটু চিন্তা করি। শেষে একটি স্লোগান দিয়ে শেষ করছি আসুন ***গাছ লাগাই পরিবেশ বাঁচাই।***
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। প্রথমেই সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। আমি তাহেরুল ইসলাম, আমার স্টিমিট ইউজার আইডি হল - @ti-taher। আমি ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেছি। বর্তমানে ফেনী শহরে অবস্থান করছি। আমি ফেনীতে পড়াশোনা করেছি এবং বড় হয়েছি। আমি একজন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ, আমি ভ্রমণ করতে এবং ছবি তুলতে ভালোবাসি। নতুন জায়গায় ঘুরতে আগ্রহী, নতুন জায়গায় ঘুরতে এবং নতুন কিছু আবিষ্কার করতে ভালোবাসি। আমি বই পড়তেও ভালোবাসি, অনেকে আমাকে বই পোকাও বলে থাকে। আমি কবিতা, গল্প, উপন্যাস এবং বৈজ্ঞানিক বই সহ সব ধরনের বই পড়তে পছন্দ করি। আমার প্রিয় কবি "কাজী নজরুল ইসলাম"। প্রিয় কবিতা "বিদ্রোহী"।(ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy

https://twitter.com/titaherul/status/1797881791258497335?t=2fjkR-dcIdgkV7i8Qk5UCQ&s=19
বৃক্ষরোপণ বর্তমান সময়ের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।পরিবেশ রক্ষা করতে বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব অপরিসীম।স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে গাছ বিতরণ করে তাদের উদ্বুদ্ধ করার ব্যাপারটি সত্যি অনেক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি আমার পোস্টটি পড়েছেন এবং সে আলোকে আপনার মূল্যবান মন্তব্য উপস্থাপন করেছেন। আমরা চেষ্টা করেছি স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বৃক্ষ বিতরণ এবং তাদেরকে বৃক্ষরোপনে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ।
গাছ আমাদের পরম বন্ধু। গাছ লাগালেই পরিবেশ বাঁচবে। আর এই পরিবেশে মানুষের জন্যই যেন বসবাসের প্রধান ভারসাম্য রক্ষা করে এই গাছ। আপনারা গাছ লাগাচ্ছেন এবং পরিবেশকে রক্ষা করছেন। আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত গাছ লাগানো এবং গাছের যত্ন করা।
আমার পোষ্টের আলোকে আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্য দিয়েছেন। আপনার মন্তব্যটি পড়ে খুব ভালো লেগেছে। আমরা পরিবেশ রক্ষার্থে বৃক্ষরোপণ অনেক বেশি করা উচিত।
পরিবেশ বাঁচাতে হলে বৃক্ষরোপন করতে হবে। বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে পরিবেশ টিকে থাকবে যুগ যুগ ধরে। পরিবেশের যদি ভারসাম্য ঠিক না থাকে তাহলে সেই পরিবেশে বসবাসের যেন অনুপযোগী হয়ে যায়। তাই পরিবেশকে সুস্থ এবং সুন্দরভাবে টিকিয়ে রাখতে হলে বৃক্ষরোপণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের বৃক্ষরোপণ দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো।
পোষ্টের আলোকে দারুন ভাবে আপনি আপনার মন্তব্য উপস্থাপন করেছেন। আপনার মন্তব্যটি পড়ে খুব ভালো লেগেছে আমার। অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি বিতরণ পোস্ট দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে গাছ রোপন করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। গাছ থেকে আমরা অক্সিজেন পেয়ে থাকি। তবে এটি ঠিক যেখানে ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা উচিত সেখানে ১৬% ভাগ বনভূমি আছে । তবে সামনে যে পরিস্থিতি আসতেছে গাছ রোপন না করলে আমাদের জীবনেও হুমকির মুখে। সত্যি সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার পোস্টের আলোকে আপনার মতামত উপস্থাপন করার জন্য। পরিবেশ রক্ষার্থে গাছ লাগানোর বিকল্প নেই।
আমাদের একটু অসচেতনায় পৃথিবীতে অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেটা আমরা বুঝতে পারছি না। তবে আমরা যদি সবাই সচেতন হয়ে আমাদের চারপাশে ফাঁকা জায়গাতে কিছু গাছ লাগাই তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ অনেক ভালো হবে। স্কুল কলেজে ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে এভাবে বৃক্ষ বিতরণ দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, আমার পোষ্টের আলোকে আপনার মহামূল্যবান মন্তব্য দেয়ার জন্য। আমরা যদি একটু সচেতন হই তাহলে এ সমস্যার সমাধান করা সহজ।
পরিবেশ এর ভারসাম্য বজায় রাখতে গেলে গাছের যে কী পরিমাণ অবদান আছে, তা আমরা এখন সকলেই আশা করছি উপলব্ধি করতে পারছি৷ সে জাগয়া থেকে হলেও বৃক্ষ রোপণ এর দিকে আমাদের মনযোগ দেয়া উচিত। আপনাদের উদ্যোগ বেশ ভালো লাগলো এবং অবশ্যই প্রশংসনীয় উদ্যোগ এটি। শুভকামনা রইলো।