আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আসুন গাছ লাগাই এবং আমরা আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করি। কারণ গাছ এমন একজন বন্ধু সে কখনো মানুষকে ক্ষতি করতে পারে না সর্বদা ফল ফুল খড়ি অক্সিজেন আরো অনেক কিছু দিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে চলে, তাই গাছ লাগানো আমাদের একান্ত নৈতিক দায়িত্ব। এই কথা মাথায় রেখে একটি হিমসাগর আম গাছ আপনাদের মাঝে লাগিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছি, চলুন শুরু করা যাক।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
এখন চলছে গাছ লাগানোর মৌসুম। আমরা সকলেই জানি বর্ষার শেষের দিকে শরতের শুরুতে সারা দেশ জুড়ে বিভিন্ন প্রকার ফলের গাছ লাগানোর ধূম পড়ে যায় আমাদের বাংলাদেশে। কারন এই মুহূর্তে যত ফলের গাছ লাগানো চলবে সব গাছ ইনশাআল্লাহ বেঁচে যাই এবং সেই সমস্ত গাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ ফল উৎপাদন সম্ভব হয়ে থাকে। আর এই দেখে গ্রামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন পরিবার ফল জাতীয় গাছ গুলো রোপন করে থাকে। কিছুটা দিন ধরে আমাদের বাড়ির চারিপাশে শুধু চলছে আমগাছ লাগানো যেখানেই তাকিয়ে দেখছি চলছে শুধু আমরুপালি হিমসাগর বিশ্বনাথ আম গাছ লাগান। এমন একটা মুহূর্তে আমি আর থেমে থাকবো কেন তাই বড় ভাইকে বললাম আমের গাছ কিনতে। সেও আমার কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে গাছের চারা কিনে এনে দিল আমার কাছে। প্রথমেই হিমসাগর আম গাছের চারা লাগানো জায়গা নির্বাচন করলাম বাড়ির মধ্যে। তাই তো নিজের কোদাল টা ঠিকঠাক করে নিয়ে গর্ত খোঁড়ার শুরু করলাম যেই জায়গায় হিমসাগর আমগাছটা লাগানো হবে। ফটোগ্রাফিতে আপনারা লক্ষ্য করছেন আমি একটি পেয়ারা গাছের পাশে গর্ত করছি গাছ লাগানোর উদ্দেশ্যে কারণ পেয়ারা গাছটা ভালো পেয়ারা হয় না বলেই সেখানে আমগাছটা লাগানো হচ্ছে। পরবর্তীতে পেয়ারা গাছটা সেখান থেকে দূর করা হবে যদি আম গাছে ভালো আম হয়।


Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
গর্ত খোঁড়া শেষে আমি আমের চারা গুলোর মধ্য থেকে হিমসাগর আমের চারা নিয়ে আসলাম। আম গাছের চারাটা বেশ সুস্থ সবল এবং দেখার মত ছিল গাছের চারা বিক্রেতা বলেছিল গাছটা লাগানোর কিছু দিনের মধ্যে গাছে নতুন পাতা জন্মাবে এই গাছ সহজে মরবে না। যদি গাছ মারা যায় আমি এসে আবার সাড়া দিয়ে যাব কারণ এই গাছের গ্যারান্টি আছে খুব সুন্দরভাবে উত্তোলন করা হয়েছে। আমিও সেই ভরসায় আম গাছের চারাটা হাতে তুলে নিলাম গড়তে লাগানোর জন্য।

Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
এ পর্যায়ে আম গাছের গোড়ায় মাটি ঠেকিয়ে রাখার জন্য যে পলিথিন কাগজ দড়ি দিয়ে বাধা হয়েছিল সেই দড়ি আস্তে আস্তে কেটে পলিথিন কাগজ অপসারণ করার চেষ্টা করলাম। এই মুহূর্তটা বেশ সাবধানতা অবলম্বন করতে হয় যেন গাছের গোড়া থেকে মাটি সরে না যায়। কারণ গাছের গোড়ার মাটি সরে গেলে অনেক সময় গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তবে বেশ কিছুদিন ধরে হালকা পাতলা বৃষ্টি হচ্ছে বলেই সেই ভরসায় গাছ লাগানোর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করলাম। একটা কাইচি দিয়ে খুব ধীরেস্থে পলিথিন কাগজ দূর করার চেষ্টা করলাম।





Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
এবার গর্তের মাঝখানে ঝুরঝুর মাটি দিয়ে তার উপর গাছটার গোড়া বসিয়ে দিলাম। কারো নিচে যদি একটু ঝুরঝুরি জাতীয় মাটি দেওয়া হয় তাহলে শিকড় গজাতে এবং শিকড় বৃদ্ধিতে খুব সুন্দর সহায়তা পেয়ে থাকে কারণ সেখানে যথেষ্ট বায়ু চলতে পারে। আর সেই সমস্ত চিন্তাধারা মাথায় রেখেই আমি গর্তের মধ্যে গাছটা বসিয়ে মাটিগুলো সুন্দরভাবে দিতে থাকলাম। হয়তো অনেকে বলতে পারেন গাছ লাগানোর আগে গর্ত করে রাখতে হয় সার মাটি দিতে হয় অনেক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয় সেটা কেন না করে এভাবে গাছ লাগিয়ে দিচ্ছি? সত্য কথা বলতে কি বর্ষার সময় গাছ লাগানোর জন্য বেশি কোন আইটেম করা লাগে না সার প্রয়োগ বিভিন্ন বিষয় অবলম্বন করা লাগেনা। শুধুমাত্র জায়গাটা খুব ভালো হতে হবে যেন সব সময় আলো বাতাস পাই এবং তার সঠিক পরিচর্যা করা যায় এমন স্থান নির্বাচন করে গাছ লাগালেই বসার সময় গাছ খাওয়ার সুযোগ থাকে ১০০% এর মধ্যে ৯৯%।





Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
গাছের গোড়ায় মাটি দেওয়া সম্পন্ন হয়ে গেলে এরপর গাছটা খুব যত্ন সহকারে বদনা দিয়ে হালকা হালকা ভাবে পানি ঝিরঝিরি করে দিলাম। কারণ এক বদনা পানি একবারে ঢেলে দিলে গাছের গোড়ার মাটিটা হয়তো আওলিয়ে যেতে পারে। এদিকে গাছের গোড়ায় মাটি দেওয়ার সময় মাটির বেশি চাপতে হয় না কোন রকম ভাবে মাটির দাড় করিয়ে দিলে গাছ ভালো থাকে। তাই সঠিক নিয়ম হচ্ছে গাছ লাগানোর সময় গাছের গোড়ায় মাটি চাপা যাবেনা। সুন্দরভাবে আপসে মাটি দিয়ে তারপর পানি দিতে হয় এতে জায়গার মাটি জায়গামতো বসে যায় এবং বায়ু চলাচল করতে পারে।



Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
গাছ লাগানো এবং পানি দেওয়া শেষে গাছের গোড়ায় দাঁড়িয়ে আমার একটি ফটোগ্রাফি করলাম। হয়তো আরো দুইটা কাজ ছিল সেগুলো ফটোগ্রাফি করা হয়নি একদিকে গাছটার গোড়ায় একটি চিকন বাশ পুতে দিয়ে গাছটার সাথে বেঁধে দেওয়া আর গাছটা সম্পূর্ণ শিক কাগজ দিয়ে জড়িয়ে দেওয়া যেন ছাগল গরুতে ছাল তুলে না ফেলতে পারে। আর এভাবেই বর্ষার শেষে এই সুন্দর মুহূর্তে গাছ লাগানো কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করলাম। আশা করি আরো অনেক গাছ লাগানো আমার থেকে আপনারা দেখতে পারবেন।

Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন

আশা করি,আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে বুঝতে ও শিখতে পেরেছেন, সেই সাথে নতুন জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছেন। পোস্টটি উপস্থাপনা কেমন ছিল এবং এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি কেমন, অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইলো। |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |

বর্তমানে আমাদের দেশের যা পরিবেশ তাতে করে বেশি বেশি গাছ লাগানো টা খুবই জরুরী। আপনাদের বাড়ীর ভিতর হিমসাগর একটি গাছের চারা রোপণ করেছেন দেখে ভালো লাগলো ভাই। সামনের বছরে আশা করি হিমসাগর আম খেতে পারবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সারা বিশ্বের আবহাওয়ার যে অবস্থা তার উপর ভিত্তি করে আমাদের উচিত প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগানো। আমরা প্রতিনিয়ত গাছ কেটে ফেলেছি কিন্তু আমরা কখনো চিন্তা করছি না এক সময় আমাদের কি হবে। আজ প্রকৃতির যে অবিচিত্র রূপ সেটা শুধু এই গাছ কাটার ফলে সৃষ্টি হয়েছে। শুধু যে এটাই তার কারণ তাও নয় অন্য কারণে আছে কিন্তু পরিবেশের দিক দিয়ে ধরলে গাছ মূখ্য বিষয়।
হ্যাঁ একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাইজান। তাইতো গাছ লাগান তো প্রয়োজন
বর্তমান সময়ে গাছ লাগানোর থেকে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে বেশি। আর এর জন্য পৃথিবী তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। বর্তমানে পৃথিবীতে তাপমাত্রা এমন জায়গায় ঠেকেছে মানুষ অসহ্য বিরক্ত হয়ে পড়েছে। আপনার হিমসাগর আম গাছ লাগানো দেখে বেশ ভালো লাগলো ভাই। একদিকে যেমন আপনি আম খাবেন অন্যদিকে প্রাকৃতিক পরিবেশ বাঁচবে।
আমাদের সকলের উচিত প্রতি বছর কম বেশি গাছ লাগানো।
হিমসাগর আম অনেক মজাদার হয় খেতে। আপনি খুব ভালো কাজ করেছেন একটি হিমসাগর গাছ আপনাদের বাড়িতে লাগিয়ে। আশাকরি খুব শীঘ্রই এই গাছ থেকে আম খেতে পারবেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।