ভ্রমণ :- আলাউদ্দিন আহমেদের শিল্পপল্লী পার্ক ( কুষ্টিয়া ) ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। ( পর্ব ৩)

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago

IMG-20250211-WA0044.jpg

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।

কুষ্টিয়া গিয়ে পার্কে ঘোরাঘুরি করার কিছুটা মুহূর্ত আপনাদের মাঝে এর আগে শেয়ার করেছিলাম। আজকে আবারো চলে আসলাম পরবর্তী মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য। আসলে এই পার্কে মূলত বাচ্চাদের জন্যই বেশ ভালো আয়োজন করা হয়েছে। বাচ্চাদের খেলার জন্য অনেক সুন্দর সুন্দর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আর সব থেকে ভালো লেগেছে ১০০ টাকার একটা টিকেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলে প্রায় অনেকগুলো রাইডে ওঠার সুযোগ রয়েছে। বেশ কয়েকটা খেলনাতে ওঠার মুহূর্ত এর আগে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম।

IMG-20250211-WA0050.jpg

IMG-20250211-WA0043.jpg

আসলে সত্যি এখানে এমন এমন কিছু ব্যবস্থা ছিল যেগুলো ছিল অসাধারণ। আর সব থেকে বেশি কালারফুল হওয়ার কারণে বাচ্চাদেরকে অনেক বেশি আকর্ষণ করে। দেখলাম একটা খুব সুন্দর দোলনা ও রয়েছে। তবে এখানে বেশ কয়েক রকমের স্লিপার ছিল। সবগুলো কিন্তু আলাদা আলাদা ডিজাইন এর। আবার দেখতেও বেশ আকর্ষণীয় ছিল। এজন্য আমার কাছেও দেখতে বেশ ভালো লাগতেছিল। তবে আমি এর ভেতরে যাইনি। বাইরে থেকেই মূলত সব কিছু দেখছিলাম। আর বেশ কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে নিলাম।

IMG-20250211-WA0039.jpg

IMG-20250211-WA0037.jpg

তবে স্লিপার গুলোর মধ্যে আমার কাছে একটু বাঁকা করে ডিজাইন করা স্লিপার টা দেখতে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে এই সব জিনিসগুলো অনেক সুন্দর কালারফুল ছিল। আসলে বাচ্চারা এগুলো দেখে এত বেশি খুশি হয় ওদের আর কিছু না হলেও চলবে। আর এখানে ভেতরে মূলত যতক্ষণ ইচ্ছা ততক্ষণ থাকতে পারবে। বেরিয়ে গেলে কিন্তু এখানে আর ঢোকার কোন চান্স নেই। তবে এখানে আরও একটা খেলনা দেখলাম যেটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এটা ছিল গোল আর ভেতরে ঘরের মতো। অনেকগুলো ফাঁক ছিল যেগুলোর ভেতর দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করা যায়।

IMG-20250211-WA0036.jpg

IMG-20250211-WA0048.jpg

আবার এগুলো দিয়ে বের হওয়া যায়। এই ডিজাইন টাও বেশ ভালো লেগেছে। নাশিয়াতো অনেক বেশি খুশি ছিল। একবার ভেতরে ঢুকতেছে আবার বাইরে বেরিয়ে আসতেছে। আমার ভেতর থেকে বিভিন্ন জায়গা দিয়ে উঁকি মারতে ছিল। আবার দেখলাম এটার মধ্যেও কিন্তু স্লিপার এর ব্যবস্থা ছিল। যেটা সত্যি খুবই সুন্দর। এই বিষয়টা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। তাছাড়া একা হওয়ার কারণে ও একেবারে এদিক থেকে ওই দিকে ছুটতে ছিল। এই মুহূর্তগুলো সত্যিই অনেক বেশি দারুন ছিল।

IMG-20250211-WA0040.jpg

IMG-20250211-WA0044.jpg

আরও একটা দেখলাম ঘরের মতো। যেটার ভেতরে প্রবেশ করা যায়। আবার বাইরে দিয়ে দরজায় এবং জানালার মতো ছিল। এই মুহূর্তগুলো সত্যিই অনেক সুন্দর কাটালাম। যেটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে ‌ সত্যি বলতে মেয়ের আনন্দ দেখলে নিজেরও অনেক বেশি আনন্দ হয়। যেটা আসলে বলে বোঝানো যায় না। তবে বেশ কিছুক্ষণ একা খেলানোর পর, নাশিয়ার সাথে একজন আসলো। তার সাথেও বেশ আনন্দই করেছে। আর ওই মুহূর্তগুলো পরবর্তীতে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। আসলে একসাথে বেশি ছবি ব্যবহার করলে পোস্টটা বেশি ভালো লাগে না। আশা করি আজকের মুহূর্তটা আপনাদের ভালো লেগেছে। পরবর্তীতে আবারও আসবো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।

IMG-20250211-WA0041.jpg

আমার পরিচয়

DSC00912.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Sort:  
 4 months ago 

Screenshot_2025-02-19-11-09-29-92_40deb401b9ffe8e1df2f1cc5ba480b12.jpg

Screenshot_2025-02-19-11-07-25-70_0b2fce7a16bf2b728d6ffa28c8d60efb.jpg

 4 months ago 

কুষ্টিয়ার পার্কে গিয়ে আপনাদের সব পর্বই আমি দেখেছি এবং পড়েছি। আজকের পর্বটিও বেশ মজার লেগেছে আমার কারণ আজকে নাশিয়ার খেলার মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।১০০ টাকায় এতোগুলো রাইডে উঠে আনন্দ করা যায় তা তো ভাবা যায় নাহ।

 4 months ago 

চেষ্টা করেছি তার খেলাধুলার মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।

 4 months ago 

এর আগের দুটি পর্ব আমার পড়া হয়েছে আপু। আপনার মেয়ে তো দেখছি খুব মজা করে খেলাধুলা করেছে। এই জিনিসগুলো কালারফুল হওয়ার কারণে আসলে বাচ্চারা বেশি পছন্দ করে। আপনার মেয়ের খেলাধুলার পর্ব শেয়ার করে নিয়েছেন পড়ে ভালো লেগেছে। ১০০ টাকায় বেশ দারুন মুহূর্ত কাটানো যায় দেখছি। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।

 4 months ago 

হ্যাঁ আপু ১০০ টাকায় দারুন মুহূর্ত কাটানো গিয়েছিল।

 4 months ago 

এই পার্কের প্রথম পর্ব পড়েছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয় পর্ব পড়ার সুযোগ হয়নি। পার্কে ঘুরাঘুরি করার মজাই আলাদা। বিশেষ করে বাচ্চারা খুবই আনন্দিত হয় যেহেতু বিভিন্ন ধরনের খেলার রাইডস রয়েছে। আমার মেয়েরাও পার্কে গেলে খুব আনন্দিত হয়। আলাউদ্দিন আহমেদের শিল্পপল্লী পার্কের তৃতীয় পর্ব পড়ে বেশ আনন্দ পেয়েছি আপু।

 4 months ago 

এই পার্কের প্রথম পর্বটা আপনি পড়েছিলেন শুনে ভালো লাগলো। এই পোস্ট করে আনন্দ পেয়েছেন শুনে ভালো লাগলো।

 4 months ago 

আপনার মেয়ে যেভাবে খেলাধুলায় মগ্ন ছিল, সেটা পড়তে বেশ মজার লাগলো। বাচ্চাদের জন্য এমন সৃজনশীল আর রঙিন খেলনা অনেকটা আনন্দের উৎস হয়ে ওঠে। আর ১০০ টাকায় দারুণ কিছু মুহূর্ত কাটানো গেলো, সেটাও সত্যিই ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্বে কি নতুন কিছু আসছে, সেটাই এখন আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি?

 4 months ago 

আসলে সে একেবারে খেলাধুলার মধ্যেই মগ্ন ছিল।

 4 months ago 

আপু পার্কে গেলে এমনিতে ঘুরতে ভালো লাগে। আপনারা দেখছি কুষ্টিয়া আলাউদ্দিন পার্কে গেলেন ঘুরতে। তবে পার্কের ভিতরে বাচ্চাদের খেলাধুলার জিনিসগুলো রঙিন হওয়ার কারণে বাচ্চারা খেলাধুলা করতে মনে হয় বেশি পছন্দ করছে। আর আপনার মেয়ে নাসিয়া খেলাধুলার জিনিসগুলোর থেকেও উঁকি দিচ্ছে দেখে বেশ ভালো লাগলো। যাইহোক দেখতে দেখতে পার্কের তৃতীয় পর্বটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

 4 months ago 

আসলে ই সকল বাচ্চা খেলাধুলা করতে খুব পছন্দ করে। উঁকি দেওয়ার বিষয়গুলো আসলেই অনেক সুন্দর ছিল।