ভ্রমণ :- লালন ফকিরের মাজার পরিদর্শন করার মুহূর্ত ( পর্ব ১ )
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।
আমরা যখন কুষ্টিয়া গিয়েছিলাম, তখন কুষ্টিয়ার বিখ্যাত জায়গাগুলো উপভোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। তার মধ্যে একটা হচ্ছে লালন ফকিরের মাজার পরিদর্শন করা। এটা আসলে আমার হাজবেন্ডের অনেক দিনের একটা ইচ্ছা ছিল। যদিও আমার আসলে খুব বেশি ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু নতুন জায়গাগুলো পরিদর্শন করতে ভালই লাগে। তো আমরা মূলত একটা গাড়ি করে এই কয়েকটা জায়গায় ভ্রমণ করতে বেরিয়েছিলাম, তারপর আমরা একটা জায়গায় উপভোগ করার পর চলে আসলাম লালন ফকিরের মাজারে।
তো আমরা প্রথমেই গেইট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলাম। দেখলাম ভেতরে প্রবেশ করার জায়গাটা ছিল খুবই সুন্দর। বিশেষ করে ভিতরে যাওয়ার রাস্তাটা ছিল অনেক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। আর সুন্দর কিছু গাছপালা দিয়ে সাজানো। জায়গাটা আমার কাছে অনেক বেশি সুন্দর এবং মনোরম লেগেছে। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখলাম অনেক বড় একটা একতারা স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছে। যেটা দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে যারা সুর এবং লালন সংগীত পছন্দ করে, তাদের কাছে এটা দেখলে বেশি ভালো লাগবে।
তখন আমি সাথে সাথে এর একটা ফটোগ্রাফি করে নিলাম। তবে স্মৃতি হিসেবে রাখার জন্য নিজেও সেখানে দাঁড়িয়ে ছবি তুললাম। এটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এরপর আপনাদের ভাইয়া কেউ একটা ছবি তুলে দিলাম। সত্যি বলতে এত দূরের জায়গাটাতে আর কখনো যেতে পারবো কিনা জানিনা। তবে সেদিন বেশ ভালোই লেগেছিল। আর সেখানে অনেকগুলো মানুষ দেখতে পেলাম, যারা কিনা জায়গাটা পরিদর্শন করতে এসেছিল। আসলে আমার মনে হয় এখানে সব সময় মানুষের আসা-যাওয়া রয়েছে।
বিশেষ করে যারা লালন ফকিরের ভক্ত, তারা এই জায়গাটাতে আসতে বেশি পছন্দ করবে। সেখানে আবার দেখতে পেলাম অনেক বড় একটা মাজার। আবার তার পাশেও অনেকগুলো কবরস্থান রয়েছে। তবে জায়গাটা এত সুন্দরভাবে সাজানো গোছানো, সেটা আসলে না দেখতে বোঝা যাবে না। আর এই জায়গার পরিবেশটা সত্যি অনেক বেশি সুন্দর ছিল। আমরা জায়গাটা এবং এর আশেপাশের জায়গার কিছু ফটোগ্রাফি করলাম।। যেটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এখনো এই ছবিগুলো দেখলে সেদিনের কথা মনে পড়ে যায়।
যদিও আমাদের ঘুরতে যাওয়ার বেশ কয়েকদিন হয়ে গেছে। কিন্তু যখন ছবিগুলো দেখি তখন অনেক বেশি মনে পড়ে দিনগুলোর কথা। তবে এখানে আবার লালন ফকিরের স্মৃতি জাদুঘর ও রয়েছে। আমরা সেখানে প্রবেশ করার চিন্তা করলাম। কারণ সেখানে গেলে লালন ফকিরের অনেক কিছুই দেখতে পারবো
তো আমরা সামনের দিকে এগিয়ে দেখলাম, জাদুঘরে ঢুকতে হলে টিকিট কাটতে হয়। তো প্রথমে জাদুঘরে প্রবেশ করার জন্য টিকিট কাটা হলো। তবে জাদুঘরের ভেতরে গিয়ে আমরা কি কি দেখলাম সেটা পরবর্তীতে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। আজকে এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
https://x.com/TASonya5/status/1943511511030468707?t=uV4dCHlm32irxRCCqEI4WQ&s=19
https://x.com/TASonya5/status/1943514330567446646?t=j4OFrzskHzTSN-usdMHNSw&s=19
https://x.com/TASonya5/status/1943660159869530333?t=rihIxFHz_alKFpnqzKVk4Q&s=19
https://x.com/TASonya5/status/1943660946058010842?t=-so4hipj1wbubJhtFxHHoA&s=19
https://x.com/TASonya5/status/1943661881593376935?t=J_BHReTu4fOn5aOlfZ20TA&s=19
নতুন নতুন জায়গায় ঘুরতে কম বেশি সকলেই পছন্দ করে। আমারতো বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে খুব ভালো লাগে। আর লালন শাহর মাজার একটি দর্শনীয় স্থান । এই ধরনের জায়গায় ঘুরতে গেলে সেই স্থান সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়। তবে ঢোকার গেইটে একতারাটি বেশ সুন্দর লাগছে। ঘুরতে যাওয়ার সুন্দর মুহূর্গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আমি তো খুবই ভালোবাসি ঘুরাঘুরি করতে। এই সুন্দর মুহূর্তটাও ছিল খুবই দারুণ।