ভ্রমণ :- লালন ফকিরের মাজার পরিদর্শন ( পর্ব ৩ )
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।
আমরা যখন জাদুঘরের ভেতরে প্রবেশ করি, তখন সেখানে প্রায় অনেক কিছুই দেখতে পাই। এই রং এর পরেও আপনাদের মাঝে বেশ কয়েকটা জিনিস দেখিয়েছিলাম। তবে এই সবগুলো জিনিসের মধ্যে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে, হাতে আঁকা ছবিগুলো। এই ছবিগুলোর মাঝেই একটা পুরো গল্প লুকিয়ে আছে। এক একটা দেখতে অনেক ভালো লাগতেছিল। আবার এখানে প্রায় অনেকগুলো জিনিস রাখা ছিল। যেগুলোর নাম আমার জানা নেই। তোমায় দেখতে পাচ্ছেন অনেক বড় একটা যন্ত্র। যেটা নাম আমার জানা নেই।
এখানে একটা ছবিতে দেখতে পেলাম একটা কুড়ে ঘরের সামনে লালন ফকির বসে আছে। এই ছবিটার দৃশ্যটাও যেন চোখের সামনেই ভাসতেছে। আমি এই ছবিটা কে নিয়ে নিজের কল্পনায় একটা দৃশ্য অনুভব করলাম। এর নিচেও দেখতে পাবেন আরও একটা সুন্দর দৃশ্য। যেখানে একটা গাছের নিচে বসে আছে লা লালন ফকির আর নিচে রয়েছে অনেক ভক্তরা। এই ছবিটার দৃশ্য আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এই ছবিগুলো দেখার পর আমার ইচ্ছে করতেছিল ছবিগুলো আঁকতে। আসলে আঁকার কোন কিছু দেখলেই নিজের আঁকতে ইচ্ছা করে।
এখানে নিচে বেশ কিছু জিনিসপত্র রয়েছে দেখতে পাবেন, আমি হয়তো এই জিনিসগুলোর নাম জানি না। তবে আমার মনে হয় এগুলো সব ব্যবহারিত জিনিসপত্র। আগে এই জিনিসগুলো অনেকবার ছবিতে দেখেছি। কিন্তু সামনাসামনি দেখতে পেয়ে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এত দূরে এই জায়গাটায় যাবো এটাই কখনো ভাবতে পারিনি। সত্যি বলতে যখন এই জিনিসগুলো চোখের সামনে দেখতে পেলাম, তখন যেন অনেক সুন্দর একটা অনুভূতি হয়েছে। সত্যি নিজের এলাকা থেকে এত দূরে একটা জায়গায় এসে, অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
এখানে নিচেও দেখতে পাচ্ছেন কয়টা জিনিস, এগুলোর আসলে আমি নাম জানিনা। তবে এই জিনিসগুলো পিতলের মনে হচ্ছে। আগেকার দিনে এই জিনিসগুলো বেশি ব্যবহার করা হতো। হয়তোবা এখন এই জিনিসগুলো আর দেখা যায় না। আবার অনেকের ঘরে আগেকার এই জিনিসপত্রগুলো এখনো রয়েছে। আমার কাছ থেকে এই প্রাচীন জিনিস গুলো দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। সত্যি এই জাদুঘরে এসে অনেক কিছুই দেখতে পেলাম। আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
এখানে নিচে দেখতে পাচ্ছেন একটা পাদুকোন। আমি এগুলোর কথা অনেক শুনেছিলাম, তবে কখন আমি নিজের চোখে দেখতে পাইনি। প্রথমবারের মতো এই পাদুকোন দেখতে পেয়ে সত্যি অন্যরকম একটা অনুভূতি হল। আসলে যখন নতুন কিছু আমরা চোখের সামনে দেখতে পাই সত্যি অনুভূতিটা অন্যরকম হয়। আমি জাদুঘরের একপাশে দাঁড়িয়ে এর পুরো একপাশের ফটোগ্রাফি করে নিলাম। যেখানে প্রায় অনেক কিছুই দেখা যাচ্ছে । এখন পোস্ট লিখতে বসে প্রায় অনেক কিছুই মনে পড়তেছে। সেখানে আরো কি কি দেখলাম সেটা পরবর্তীতে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
https://x.com/TASonya5/status/1958714467354910816?t=X3EFfc1ZKKnO5S8MZZZbeQ&s=19
https://x.com/TASonya5/status/1959110307504398671?t=uBOCcC7PluJX-4Fam0F2ZA&s=19
https://x.com/TASonya5/status/1959111302120697911?t=aoGe7jBTFEMGPEAFe3BWJA&s=19
নতুন জায়গায় ভ্রমণ করতে খুবই ভালো লাগে। লালন ফকিরের মাজার পরিদর্শন করেছেন দেখে খুবই ভালো লেগেছে আপু। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।