ভ্রমণ :- চট্টগ্রাম গুলিয়াখালী ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত (শেষ পর্ব )
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।
কিছুদিন আগে আপনাদের মাঝে দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করেছিলাম। আসলে জায়গাটা ছিল অনেক বড় এমন কি বেশ কয়েকটা জায়গায় সময় কাটিয়েছিলাম। তাই জন্য একটা পোস্টে শেষ করা সম্ভব নয়। আজকে আবার চলে আসলাম পরবর্তী মুহূর্ত টা শেয়ার করার জন্য। পরবর্তীতে আমরা সবাই মিলে স্পিডবোর্ডে ঘুরে এসে এরপর আবারো ওই জায়গায় নেমে গেলাম। এরপরে আমরা দেখলাম ওইখানে বেশ কিছু দোকান রয়েছে। যেগুলোতে কেনাকাটা করার জন্য বেশ ভালই জিনিসপত্র ছিল। যেহেতু আমরা ঘুরতে এসেছি তাই ভাবলাম সবকিছুই ঘুরে দেখি।
এইজন্য আমরা চলে গেলাম দোকানগুলো পরিদর্শন করতে। তবে যদি কিছু ভালো লাগে তাহলে কেনাকাটাও করবো। দেখলাম এখানে খুব সুন্দর শামুকের জিনিসপত্রগুলো রয়েছে। শামুকের জিনিসপত্র গুলো আমার কাছে দেখতে বেশ ভালই লাগে। আবার এগুলো দিয়ে কিন্তু ঘর সাজাতেও বেশ সুন্দর দেখা যায়। তবে আমি আস্তে আস্তে দেখছিলাম আসলে কি কি রয়েছে। কিছু কিনব কিনা সেটাও ভাবতেছিলাম। দেখলাম এখানে খুব সুন্দর বাচ্চাদের জন্য টুপি রয়েছে। বাচ্চাদের এই ধরনের টুপি গুলো আমার কাছে কিন্তু বেশ দারুন লাগে।
তাই জন্য আমি ভাবতেছিলাম নাশিয়ার জন্য একটা টুপি কিনবো। একটা দোকানে দেখি সবগুলো ছোট সাইজের। তাই জন্য আমার কাছে ভালো লাগেনি। পরবর্তীতে অন্য আরেকটা দোকানে গিয়ে দেখলাম সেখানে বেশ কয়েকটা বড় বড় সাইজের ছিল। কিন্তু এগুলো বড় সাইজের হলেও একটারও কালার সুন্দর ছিল না। এজন্য আমার একেবারে মন খারাপ হয়ে গেল। আসলে কালার না পেলে ভালো লাগেনা। এরপর আমি আরো কয়েকটা দোকান দেখলাম কিন্তু পেলাম না। তাই জন্য আর নেওয়া হয়নি।
এখানে কিন্তু আবার আচার এবং বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার ছিল। যেগুলো চাইলে পর্যটকেরা কিনে নিতে পারে। তবে আমার হচ্ছে ঘুরে সবকিছু দেখতে পারবো কিন্তু কিনতে পারবো না। এটা হচ্ছে আমার হাজবেন্ডের কথা। সে বলে দিয়েছে সব জায়গায় ঘুরতে যেতে পারবো কিন্তু কোন কিছু কেনাকাটা করা যাবে না। যা কেনাকাটা করা সেটা আমরা এমনিতে শপিংমলে গিয়ে করবো। তো আর কি করার এই জন্য মূলত এখান থেকে কোন কিছু কেনাকাটা করা হয়নি। তবে সত্যি বলতে জিনিসগুলো ঘুরে দেখতেই ভীষণ ভালো লেগেছে।
তাছাড়া এখানে খুব সুন্দর সুন্দর জিনিসপত্র ছিল। সবগুলো দোকান ঘুরে দেখে এরপর আমরা আবারো চলে আসলাম সবুজ ঘাসের মধ্যে। এখানকার সবুজ ঘাসগুলোই আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। তাই জন্য সেখানে বসে কিছুক্ষণ সময় কাটাচ্ছিলাম। সবাই যে যার মত করে কয়েকটা জায়গায় বসে সময় কাটাচ্ছিল। কিন্তু আপনাদের ভাইয়া তো দেখতেই পাচ্ছেন সেই একেবারে মেডিটেশন করতে বসে পড়ল। যদিও শুধুমাত্র এটা ফটোগ্রাফি করার জন্য হা হা। দেখে মনে হচ্ছে যেন ঘন্টার পর ঘন্টা বসে আছে। এটা নিয়ে সবাই কিন্তু বেশ মজা নিয়েছিল। এটা ছিল আরও একটি এন্টারটেন্ট করার বিষয়। তো সেখানে আমরা বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছিলাম। আজকে এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবারো আসবো নতুন কিছু নিয়ে।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
ভ্রমণ পর্বের একেবারে শেষ ছবিটাতে এসে কিন্তু খুব হাসলাম। সত্যি বলতে কি কোথাও বেড়াতে গেলে টুকটাক কিছু কিনতে না পারলে যেন মনটা ছটফট করে। আর এখানে তো আপনি যে সমস্ত ছবি দিয়েছেন লোভনীয় জিনিস পাওয়া যাচ্ছে তবে সত্যি বলতে কি অনেক জিনিস কিনে এনে বাড়িতে রাখার জায়গা না থাকলে সে আরেক ঝামেলা হয়ে যায়। ঝিনুকের জিনিস আমারও খুব পছন্দের আমি যে কোথাও যাই না কেন শাঁখ তো কিনেই ফেলি। আর বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় প্লেটে করে বোলে করে শাক সাজিয়ে রাখি! নাশিয়ার জন্য টুপি টি পছন্দ করেও কিনতে পারলেন না সাইজ ছোট আবার বড় সাইজের টুপির রং পছন্দ হলো না এ ভারী ঝামেলার। এরকমটা আমার সাথে অনেকবার ঘটে থাকে।
ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তটি আপনাদের মাঝে এতো সুন্দর করে শেয়ার করতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল।
চট্টগ্রাম গুলিয়াখালিতে ঘুরতে যাওয়ার শেষ পর্বটা আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে তুমি শেয়ার করেছ। আমার কাছে এই পর্ব টা অনেক বেশি ভালো লেগেছে। সত্যি অনেক ভালো সময় কাটিয়েছিলাম ওখানে। জায়গাটা আমার অনেক বেশি পছন্দ হয়েছিল। সুন্দর মুহূর্তটা তুমি দারুনভাবে সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছ।
ঘুরাঘুরি করার শেষ পর্ব টাও তোমার কাছে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।
ফেনী থাকতে একবার গুলয়াখালী সি বিচ দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। তখন বর্ষার সময় গিয়েছিলাম। সবুজ স্তরের মাঝে কাকড়া ছিল অনেক। আপনারা গিয়ে তো ভালো সময় কাটিয়েছেন। এখন অনেক দোকানও করছে দেখছি। পর্যটকদের আলাদা একটা আকর্ষণ থাকবে জায়গাটি। রকি ভাই তো মেডিটেশন করছে। এমন জায়গা মেডিটেশন এর জন্য উপযুক্ত।
চেষ্টা করছিল যদিও এমনিতে পারেনা। মুহূর্তটা ভাগ করে নিতে পেরে খুব ভালো লেগেছে।
অনেক ভালো লাগলো শামুকের এই সমস্ত জিনিসপত্র গুলো দেখে। আপনারা একবারে অনেক জায়গাতে ভ্রমণ করেছেন। খুবই ভালো লাগলো সিলেটের সুন্দর সুন্দর দৃশ্য গুলো। হবে ভাইয়ার এই বসে থাকা দৃশ্যটা দারুন ছিল।
আসলে আমরা গুলিয়াখালি গিয়েছিলাম। সুন্দর মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।