
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি পার্শ্ববর্তী একটি গ্রামে ওয়াজ মাহফিলের মেলা ভ্রমণ বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করতে। চলুন ঘুরে আসি ওয়াজ মাহফিলের এই সুন্দর মেলার স্থান।
ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে। যেকোনো জায়গা যে কোন বিশেষ উৎসব অথবা স্থানে সুযোগ পেলেই মন চায় ভ্রমন করে আসি। ঠিক তেমনি একটি ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন হয়েছিল আমাদের নিকটস্থ একটি গ্রামে। এ গ্রামটির নাম বাদিয়াপাড়া মোহব্বতপুর। এখানে প্রতি বছর দুই বার তিন বার ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়ে থাকে। আর এই গ্রামটা পার হয়ে আমরা বামুন্দি বাজারে চলাচল করে থাকি বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার উদ্দেশ্যে। তাই সুযোগ পেলে ওয়াজ মাহফিল হলে আমরা কখনো মিস দেয় না আজ মাহফিল ভ্রমন করতে যেতে। ঠিক তেমনি গতবছর যখন ওয়াজ মাহফিল শুরু হয়েছিল আমার কিন্তু মোটেও ধারণা ছিল না ওয়াজ মাহফিল হচ্ছে ওখানে। হঠাৎ আমার বন্ধু মারুফ বিকেল মুহূর্তে আমাকে বলে বসলো বাদিয়াপাড়া মোহব্বতপুর ওয়াজ মাহফিল হচ্ছে আজকে সেই দিন ঘুরতে যেতে হবে। সুযোগ হয়ে গেল, চার বন্ধু মিলে চলে গেলাম সেখানে।



ওয়াজ মাহফিলের পাশে একটি জায়গা জুড়ে বেশ সুন্দর মেলার আয়োজন হয়ে থাকে। এ জায়গায় ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে নারী-পুরুষ সকল শ্রেণীর মানুষের হরেক রকমের জিনিস দেখতে পাওয়া যায়। তবে ওই মুহূর্তে আমার বন্ধু মারুফ তার বাচ্চার জন্য বেশ কিছু জিজ্ঞেস করার কথা বলল। পাশাপাশি আমার আর এক বন্ধুর সাকিব তার ছেলে মেয়ের জন্য খেলনা কিনবে তাই প্রথমে সবাই ওয়াজ মাহফিলের এই মেলার অংশে উপস্থিত হলাম। আমার অবশ্য কেনাকাটার চেয়ে এ সমস্ত জিনিসগুলো দেখলেই মন ভরে যায়। পাশাপাশি তাদেরকে কেনাকাটা দেখতেও ভালো লাগে। আমি শুধু মন ভরে দেখতেই থাকি এ সমস্ত জিনিসগুলো। তাই তারা যখন যেই সমস্ত জিনিসগুলো কেনাকাটা করছিল পাশাপাশি আমিও সেগুলা ধরে ফটোগ্রাফি করা আর দেখার চেষ্টা করছিলাম। এ সমস্ত মেলায় উপস্থিত হলে শুধু একটু ভালো লাগে বিভিন্ন প্রকার খাবারের আইটেম থাকে তাই সেগুলো খেতে কিন্তু এসব খেলনা নিয়ে আমি করবো কি। হয়তো খুব শীঘ্রই প্রয়োজন হবে তবে যখন প্রয়োজন হবে তখন দেখা যাবে।



এই মেলাগুলোতে ভ্রমণ করলে আমি একটা জিনিস বেশি লক্ষ্য করি, যে সমস্ত খেলনা পুতুল বা কৃত্রিম ফুল সচরাচর আমরা খুব কম দেখে থাকি সেই জাতীয় জিনিসগুলো দেখতে পায়। আর এই সুন্দর সুন্দর জিনিসগুলো যেন মনে হয় যেখানে যে অবস্থায় রয়েছে সেখানেই ভালো মানিয়েছে। মাঝেমধ্যে মানুষের ভিড়ে ফটোগ্রাফি করাও বেশ কঠিন তারপরেও যতটা সাধ্য চেষ্টা করছিলাম ফটোগ্রাফি করতে। একটা জিনিস বেশি লক্ষ্য করা যায় কেনাকাটা করা মানুষের তুলনায় ঘুরে বেড়ানো আর এ সমস্ত জিনিস দেখার লোক সংখ্যা যেন বেশি।



যাইহোক বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে আমরা মেলার মধ্যে অবস্থান করতে থাকলাম এদিকে আমি আমার মারুফের খেয়াল করে দেখলাম সে পিঠা তৈরীর সরঞ্জাম থেকে শুরু করে বাচ্চাদের খেলনা এমনকি ক্যালেন্ডার সহ আরো অনেক কিছু কিনে ব্যাগ বোঝাই করে ফেলল। তাই মাঝেমধ্যে আমার এক বন্ধু ইয়ার্কি করে বলতে ছিল এসব আবোল তাবোল কিনে যে টাকা ফুরিয়ে ফেলছিস তুই। আমাদের খাওয়াবি না? সত্যিই বাল্যকালের বন্ধুরা যখন একসাথে কোন জায়গায় চলাচল করা যায় তার মধ্যে একটা অন্যরকম ভালোলাগা আর আনন্দঘন কথাবার্তা চলতে থাকে। আর এভাবেই আমরা দীর্ঘ টার সময় মেলার মধ্যে যেন ব্যস্ত না থাকলেও ব্যস্তময় সময় অতিক্রম করলাম। এরপর চলে গেলাম যেখানে বিভিন্ন খাবারের আইটেম বিক্রেতারা ভিড় জমিয়েছে ঠিক সেই জায়গায়। আশা করি পরবর্তীতে সে সমস্ত ফটো নিয়ে উপস্থিত হব।




ফটোগ্রাফি | ওয়াজ মাহফিলের মেলা |
মেলা | হরেক রকম নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
ক্যামেরা | Infinix Hot 11s-50mp |
লোকেশন | বাদিয়াপাড়া মহাব্বতপুর |
ফটোগ্রাফার | সুমন |
এরিয়া | গাংনী মেহেরপুর |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |

বর্তমানে মনে হয় যেন ওয়াজ হয়না মেলা বসে। আমি বুঝিনা মানুষ ওয়াজ শুনতে যায় নাকি মেলায় ঘোরাঘুরি করতে যায়। আমাদের এখানে প্রতিবছর ওয়াজে মেলা বসে। কিন্তু গতবার বলা হয়েছে এরপর থেকে যেন আর কখনো মেলা না বসে। কালকে বাড়ির পাশের মসজিদে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এবার দেখা যাক কি হয়। আপনি খুব সুন্দর ভাবে মাহফিলের পাশে বসা মেলার খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন।
হ্যাঁ আপু ওয়াজ মাহফিল কে কেন্দ্র করে এমন আয়োজন
ছোটবেলা যখন ওয়াজ মাহফিল শুনতে যেতাম প্রত্যেকটা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ থাকতো বক্ত ার বক্তৃতা শোনার জন্য। বর্তমানে সব জায়গায়তেই ওয়াজ মাহফিলে দেখতে পাই এরকম মেলা। যেটা উৎসবমুখর পরিবেশ যেটা কোন ভাবেই আমি মনে করি কাম্য নয়। দেখা গেছে মাহফিলের প্যান্ডেলের লোক নেই কিন্তু এসব দোকানপাটে লোক ভর্তি মানুষের ভীর খুবই দুঃখজনক।
এখন আর সেই দিন নেই ভাই এখন দোকানপাটে মনোযোগ বেশি
আমাদের পাশের গ্রামের ওয়াজ মাহফিল উপলক্ষে আয়োজিত মেলা ভ্রমণের চমৎকার একটি পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো আমার। উক্ত মেলায় বিভিন্ন ধরনের খেলনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে।
হ্যাঁ এখানে অনেক খেলনার আয়োজন করা হয়েছিল
মাহফিলের মেলা ভ্রমণ করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আমাদের এদিকে মাহফিল উপলক্ষে মেলা বসে থাকে। মেলাতে অনেক রকম জিনিসপত্র উঠে থাকে। অনেক রকমের জিনিসপত্র দেখতে বেশ ভালোই লাগে। মেলাতে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। মেলাতে কাটানোর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ আমাদের এখানে এই জায়গাটায় ২-৩ দিন ধরে হয়তো তাই মেলার আয়োজন হয় বেশি
মাহফিলের মেলায় ঘুরতে গিয়েছেন শুনে খুব ভালো লাগলো। আমাদের এখানেও মাহফিলের পাশে মেলা হয়ে থাকে। অনেক মানুষ সেখানে যায়। আমরাও সেখানে গিয়ে অনেক মজা করে থাকি। মেলায় বিভিন্ন ধরনের জিনিস থাকে। আপনি মেলায় খুব সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন। তা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ৷
হ্যাঁ একদম ঠিক বলেছেন কিন্তু