গন্তব্য সিরাজগঞ্জে

in আমার বাংলা ব্লগlast year (edited)

নমস্কার,,

শীতের তীব্রতাটা আজকে প্রচন্ড রকমের বেশি। শুধু ঠান্ডা হলে না হয় মানা যেত, এর সাথে বইছে বেশ ভালো রকমের বাতাস। আজকে যারা বাইরে বের হচ্ছে তাদের সবার অবস্থা একদম জমে যাওয়ার মতো। তবে অনেকটা বাধ্য হয়েই আমাকে আজ বাইরে আসতে হয়েছে। আমার গন্তব্য ছিল সিরাজগঞ্জ। প্রধান কারণ, কয়েকদিন পর মাসতুতো বোনের বিয়ে। তাই বিয়ের কার্ড দিতে যাওয়া। আর আমার সিনিয়র বড় ভাই আমেরিকা থেকে কিছুক্ষণের জন্য সিরাজগঞ্জ আসবেন তার সাথে দেখা করা।

IMG20240112131420.jpg

Location

অনেক কয়েকটা বাড়িতে যেতে হবে, তাই আগের রাতে ভেবে রেখেছি যে একটু সকাল সকাল বের হবো বাড়ি থেকে। সেজন্য অ্যালার্ম টাও দিয়ে রাখলাম সকাল আটটায়। কিন্তু এই শীতের মাঝে কি আর অ্যালার্ম দিয়ে কাজ হয় বলুন!! সেই নয়টা পার করে জাগা পাই। তবুও সেটা বাবার ঝাড়ি খেয়ে। এটা সেটা করতে করতে প্রায় সাড়ে এগারোটায় বাড়ি থেকে বেরোলাম। ভাবলাম ঢাকামুখী যে কোন একটা বাসে উঠে কড্ডার মোড়ে এসে সেখান থেকে সিরাজগঞ্জে আসবো। কিন্তু আজ যে বাসে যাত্রীর এত চাপ থাকবে এটা কল্পনাও করতে পারি নি। ঢাকা মুখী মানুষের যেন ঢল নেমেছিল রাস্তায়। আমি কোন বাসেই উঠতে পারি নি। মোটামুটি চল্লিশ মিনিট পর একটা বাস পাই, তবু সেখানে দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে আমাকে আসতে হয়েছে।

IMG20240112171216.jpg

IMG20240112171211.jpg

Location

বাস থেকে নেমেই যখন সিএনজি তে উঠলাম ঠিক তখনই আসলে মজা টা পেতে শুরু করলাম। এতো ঠান্ডা বাতাস যে গায়ে লাগবে এটা যেন আমার ভাবনার বাইরেই ছিল। শরীরের হাড় রীতিমত ব্যথা করতে শুরু করলো ঠান্ডায়। শুরুতে সিরাজগঞ্জ শহরের একটু ভেতরের দিকে গিয়েছিলাম। রাস্তার দুপাশে অনেক সুন্দর সরিষা ফুল দেখছিলাম এবং তার একটু পর পরই ছোট ছোট পুকুর বা খাল দেখছিলাম। শরীর ঠান্ডা তে জমে গেলেও এই দৃশ্য গুলো একদম মুগ্ধ করার মতোই ছিল।

একটু ঠাণ্ডা লাগলেও সব জায়গা গুলোতে ভালো পাবে পৌছতে পেরেছিলাম এটাই বড় কথা ছিল আমার জন্য। কোন অসুস্থতায় যেন না পড়ি এই দোয়াই চাই সবার কাছে। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।