ভ্রমণ পোস্ট || পরিবার নিয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ (একাদশ পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে শ্রীমঙ্গল ট্যুরের দশম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে একাদশ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক আমি স্মৃতিস্তম্ভের সামনে দাঁড়িয়ে কিছু সেলফি তোলার পর,ভাবলাম যে একটু সামনে যাওয়া যাক। স্মৃতিস্তম্ভের সামনে এতটাই ভিড় ছিলো যে,সেখানে দাঁড়ানোর সুযোগ সেভাবে ছিলো না। তবুও সেখানে দাঁড়িয়ে স্মৃতিস্তম্ভ এবং তার পাশে থাকা ভাস্কর্যের ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করলাম। আসলে অতিরিক্ত ভিড় থাকলে ফটোগ্রাফি করাটাও ঝামেলা হয়ে যায়। যাইহোক আমি সেখান থেকে একটু সামনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলাম।
সামনে গিয়ে দেখলাম যে ছোট ব্রিজের মতো রয়েছে। সেই ব্রিজ দিয়ে সামনের দিকে গিয়ে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করে নিয়েছিলাম। সত্যি বলতে পুরো জায়গাটা আসলেই খুব সুন্দর। কিন্তু ভিড় কম থাকলে মনমতো ঘুরাঘুরি করতে পারতাম। তাছাড়া বন্ধু বান্ধব নিয়ে ভিড়ের মধ্যে ঘুরাঘুরি করা যায়, কিন্তু পরিবার নিয়ে সেটা সম্ভব হয় না। তো সবমিলিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম সেখান থেকে অন্য কোনো স্পটে ঘুরতে যাবো। আসলে তখন বিকেল ৪.৩০টার উপরে বেজে গিয়েছিল। আমি গুগল ম্যাপে সার্চ দিয়ে দেখলাম,সেখান থেকে সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানায় যেতে একেবারে অল্প সময় লাগবে। কারণ সেখান থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটারের দূরত্ব। তো আমরা ভাবলাম গাড়িতে করে ১০ মিনিটের মধ্যেই আমরা সেখানে পৌঁছাতে পারবো।
কিন্তু গাড়িতে উঠে সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানায় যাওয়ার আগেই দেখলাম রাস্তায় প্রচুর জ্যাম। তো গাড়িতে কিছুক্ষণ বসে থাকার পরেও যখন দেখলাম রাস্তা ক্লিয়ার হচ্ছে না,তখন আমরা হাঁটার সিদ্ধান্ত নিলাম। কারণ তখন প্রায় ৫টা বেজে যাচ্ছিলো। গুগলে সার্চ দিয়ে দেখেছিলাম ৫টা বাজে সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা বন্ধ হয়ে যায়। তো বেশ কয়েক মিনিট হাঁটাহাঁটি করার পর, সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানার গেইটের সামনে পৌঁছে গিয়েছিলাম। তবে হাঁটতে হাঁটতে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ উপভোগ করতে পেরেছিলাম। কারণ সেখানে একেবারে খোলামেলা জায়গা ছিলো। রাস্তার দুপাশে প্রচুর ধানক্ষেত ছিলো। তো আমরা গেইটের সামনে গিয়ে জানতে পারলাম, এমনিতে বিকেল ৫টা বাজে সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা বন্ধ হয়ে গেলেও, তখন ঈদের সিজন ছিলো বলে,৬টা পর্যন্ত সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা খোলা থাকবে।
সেটা জেনে সত্যিই খুব ভালো লেগেছিল। কারণ ৫টা বাজে চিড়িয়াখানা বন্ধ করলে আমরা কিছুই দেখার সুযোগ পেতাম না। তাহলে সেখানে যাওয়াটাও বৃথা হয়ে যেতো। সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা নাকি বাংলাদেশের মধ্যে একমাত্র বেসরকারী চিড়িয়াখানা। তাই সেই চিড়িয়াখানা দেখার খুবই ইচ্ছে ছিলো আমাদের। যাইহোক চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করার জন্য ২৫ টাকা করে ৩টা টিকেট কিনলাম ৭৫ টাকা দিয়ে। কারণ আমার পরিবারের বাকি সদস্য গাড়িতেই বসে ছিলো। শুধুমাত্র আমরা তিনজন গাড়ি থেকে নেমে, হেঁটে হেঁটে চিড়িয়াখানার সামনে গিয়েছিলাম। তো আমরা তিনজন সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানার ভিতরে প্রবেশ করলাম। যাইহোক এরপর আমরা আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৯.৩.২০২৫ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
শ্রীমঙ্গলের আরো একটি জায়গা আপনার পোষ্টের কারণে দেখার সুযোগ হয়ে গেল। আগামী পর্ব গুলিতে সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা দেখবার অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি সেখানে গিয়ে আপনারা অনেক বন্যপ্রাণী দেখতে পেয়েছেন এবং পরিবার সমেত অনেক আনন্দ করতে পেরেছেন। আপনার এই ভ্রমণের পর্ব গুলি আমার খুব পড়তে ভালো লাগে।
সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানায় গিয়ে বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণী দেখতে পেয়েছি ভাই। সেগুলো পরবর্তী পর্বে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।