ভ্রমণ :- বন্ধুদের সাথে গ্রামে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো। আসলে ঘুরতে যেতে কমবেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর আমি মনে করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে গেলে মন ফ্রেশ থাকে। সেই জন্য আমি চেষ্টা করি কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার। তেমনি আজকেও আপনাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। ঈদ উপলক্ষে আমার প্রিয় বন্ধুগুলো বাড়িতে আসলো। আর ঈদের সময় প্রিয় বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। ঈদের পরের দিন প্রিয় বন্ধু দুটি আমাকে দোকানে এসে মোবাইলে কল দিল তারা আমাদের এলাকায় আসলো। যদিও ওই সময় আমি বাড়ির সামনে দোকানে ছিলাম আমার মেয়েকে নিয়ে। এরপর আমি বন্ধুদেরকে বললাম পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করার জন্য আমি আসতেছি দোকানে। তারপর আমি পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমার মেয়েকে নিয়ে গেলাম দোকানের দিকে। ওই সময় আমাদের দোকানগুলো বন্ধ ছিল। এরপর আমরা শাপলা চত্বরে এলাকায় ঘুরতে গেলাম রিক্সা নিয়ে।

যদিও আমার বন্ধু মঞ্জু আমার ছোটকালের ক্লাসমেট এবং একসাথে কলেজে পর্যন্ত আমি লেখাপড়া করেছিলাম। আর নেজাম এলাকার প্রিয় একজন বন্ধু। এবং নেজামের সাথে আমার অনেক দিন পরে দেখা হল। আর তিন বন্ধু মিলে আমার মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে গেলাম শাপলা চত্বর এলাকা। এবং ওইখানে বসে বসে অনেকক্ষণ সুখ দুঃখের কথা বললাম। যদিও আমরা সবাই বিবাহিত এবং সবাই সবার পরিবারের খোঁজখবর নিলাম। আর মজার বিষয় হচ্ছে তিনজনের একটি করে মেয়ে আছে। কারণ তিনজনের তিনটি মেয়ে। আর সবগুলোর বয়স দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে। এবং প্রিয় বন্ধু মঞ্জু সরকারি জব করে। এই কারণে বাড়িতে একদম খুব কমে আসে। তার পরিবার ঢাকায় থাকে তার সাথে।

আর নেজাম অন্য দৃষ্টিকে চাকরি করে বিদায় গ্রামে খুব কমে আসে। সত্যি ঐদিন ঈদ উপলক্ষে তিন বন্ধু অনেকক্ষণ আড্ডা দিতে লাগলাম। যদিও অতিরিক্ত গরম এই কারণে আমরা রাস্তার পাশে বসার জায়গার মধ্যে বসে বসে গল্প করছিলাম। আর গল্প করতেও কিন্তু বেশ ভালো লাগলো। আর যে জায়গা আমরা আড্ডা দিচ্ছিলাম ওই জায়গাটি আমাদের বন্ধুদের বাড়ির পাশে না। আর ওই রাস্তা দিয়ে সামনে গেলে নদী আছে। যদিও আমরা গরমের কারণে নদীর দিকে ঘুরতে গেলাম না। কারণ ওই সময় দুপুর বেলার কারণে অনেক গরম পড়েছিল। আর ছোট কালের প্রিয় বন্ধুগুলো যখন একসাথে হয় তখন স্কুল জীবন এবং ছোটকালের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যায়।

তবে আমার প্রিয় বন্ধু মঞ্জু কে যখন জিজ্ঞেস করলাম তার ভালোবাসার মানুষটির কি খবর। এই কথা বলার পর বন্ধু মঞ্জু বলতে লাগলো এখন আমি বিয়ে করেছি ওই ছাপটার বাদ। এরপর আমরা কিছুক্ষণ রাস্তা দিয়ে সামনের দিকে হেঁটে গেলাম। আর ওই সময় গ্রামের দোকান গুলো বন্ধ ছিল। এই কারণ আমরা কোন কিছু খেতে পারলাম না। যদিও আমার ছোট মেয়েটি বারবার বলতে লাগলো পানি খাবে আর চকলেট নেবে। তবে দোকান বন্ধ থাকার কারণে কিছু নিয়ে দিতে পারলাম না। আর আড্ডা দিতে দিতে কখন যে ওইখানে অনেক সময় হয়ে গেল বুঝতে পারলাম না। এরপর দুপুর যখন হয়ে গেল আমি তাদেরকে বললাম আমাদের বাড়িতে আসার জন্য।

এরপর দুই বন্ধু বলতে লাগলো তোমাদের বাড়ি দূরে আছে তার চেয়ে আমরা আমাদের বাড়িতে চলে যাই। তারপর আমি একটি রিক্সা নিয়ে মেয়েকে নিয়ে আমাদের বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। আর এই বন্ধুদের সাথেও আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। কারণ প্রিয় বন্ধুদের মুখ দেখে খুব ভালো লাগলো। যদিও এখন সবাই সংসার জীবনে এই কারণে একসাথে আড্ডা দেওয়া যায় না। কারণ সবার আলাদা আলাদা পরিবার নিয়ে কাজ থাকে। অনেকদিন পর ঈদ উপলক্ষে বন্ধুদের সাথে দেখা হওয়ার কারণে নিজের কাজও ভালো লাগলো। আর এরকম সময় গুলো আসলে বন্ধুদের সাথে অনেক কিছু শেয়ার করা যায়। আশা করি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

device : Huawei

_{লোকেশন}

আমার পরিচয়

আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।