ভ্রমণ :- নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো। আসলে ঘুরতে যেতে কমবেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর আমি মনে করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে গেলে মন ফ্রেশ থাকে। সেই জন্য আমি চেষ্টা করি কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার। তেমনি আজকেও আপনাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। বিগত কিছুদিন যাবত বৃষ্টি হওয়ার কারণে আমাদের এদিকে নদীতে পানি অনেক বেড়ে গেল। কারণ নদীর পাশে যে মানুষগুলো থাকে বাড়ি করে তাদের জন্য সব সময় ভয় কাজ করে। কিছুদিন আগে দুপুরবেলা যখন খাওয়া দাওয়া করে আমি একটু ঘুমাচ্ছিলাম। তখন আমার দুই ভাতিজা এসে বলতে লাগলো নদীতে পানি বেড়ে গেছে আর এই কারণে সবাই ভয় পাচ্ছে। কারণ একদিকে আমাদের এদিকে বড় মুছাপুর গেট নষ্ট হয়ে গেল গত বছর। গত বছর গেট নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর থেকে আমাদের এদিকে মানুষগুলো খুব বিপদে আছে।

ঠিকমত নদীর ধারে জমিগুলোর মধ্যে ফসল করতে পারেনা। কারণ সকাল বিকাল দুই সময় নদীতে জোয়ার আসে। আর জোয়ারের পানি গুলো এতই নুনা এই কারণে কোন কিছু করা যায় না। এই মাসের মধ্যে হঠাৎ করেন নদীর পানি অনেক বেড়ে যায়। আর নদীর পাশে বাড়িগুলো অনেক সময় পানির কারণে সমস্যা হয়। এই নদী থেকে আগে অনেক মাছ পেতেন আমাদের এলাকার মানুষগুলো ।ওই মাছ দিয়ে অনেকে জীবন যাপন করত এবং পরিবারের খরচ সালাতেন। আর বর্তমানে নুনাপানির কারণে নদীতে মাছ নেই বলে চলে। আবার অনেক সময় দেখা যায় নদীতে বড় বড় মাছ পাই নোনা মাছগুলো। আর নদীর দুইপাশ এমনভাবে ভাঙতে লাগলো দেখলে সামনে থেকে ভয় লেগে যায়।

শত শত জমি এবং অনেক ভাড়ী ঘর নদীর পানিতে ভেঙে গেল। যখন দুপুরবেলা ঘুমালাম তখন ভাতিজা গুলো বলার পর আমি নিজে ও নদী দেখতে যাওয়া ঠিক করলাম। এরপর আমরা তিনজন বাইকে করে নদীর ধারে গেলাম। যদিও তার কিছুক্ষণ আগে বৃষ্টি হয়েছে। আর আমরা যাওয়ার আগে নদীতে অনেক জোয়ার আসলো। যদিও ওই সময় নদীর পানি অনেকটাই কমে গেল। দেখে নদীর স্রোতের মধ্যে একটি লোক মাছ ধরতে লাগলো। অনেক সময় এই রকম স্রোতের মধ্যে মাছ ধরতে গেলে বিপদ। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন এরকম স্রোতের মধ্যে নদী দেখতে গিয়ে একটি মহিলার বাচ্চা নদীতে পড়ে গেল।

পরে ওই বাচ্চাটি প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে নদীর ধারে পেলেন মরা। ওই সময় আমাদের এদিকে অনেক মানুষ সচেতন হয়ে গেল নদীর ধারে খুব কম যেতো। তবে যখন আমরা গেলাম কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আর নদীর মধ্যে মাছ ধরার লোকটিকে জিজ্ঞেস করলাম কি মাছ পেল তারা। তবে লোকটি বলতে লাগল বড় মাপের কয়েকটা পাংকাস মাছ পেয়েছে। আর মাঝেমধ্যে এই পাংকাস মাছগুলো বেশি পাওয়া যায় নদীতে। এবং ছোট মাছগুলো নদীতে পাওয়া যায় খুব কম। আর আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছি তার পাশে জায়গা কি এমন ভাবে ভেঙেছে সামনে থেকে দেখলে ভয় লাগে।

আর বিকেলবেলা দূরদূরান্ত থেকে লোক আসে নদীর ভয়ংকর রূপ দেখতে। ভয়ংকর রূপ এই কারণে বললাম কারণ যেভাবে নদীতে জোয়ার এবং বৃষ্টির পানি আসে রাস্তার উপর পর্যন্ত পানি চলে আসে। আর এরকম যদি পানি বৃদ্ধি পায় তাহলে বর্ষা যখন চালু হবে তখন আমাদের এলাকা মানুষের জন্য খুবই বিপদ। বর্তমানে আমাদের এলাকা অনেক মানুষ নদীর ধারে জমিগুলো চাষ করতে পারেনা। এই কারণে অনেক মানুষ কষ্ট করতেছে বর্তমানে। কারণ বেশিরভাগ মানুষের জমি নদীর ধারে এই কারণে। আর নদীর ধারে শাকসবজি করে আমাদের এলাকার অনেক মানুষ টাকা পয়সা ওয়ালা হয়েছে। আর বর্তমান সময় নদীর ধারে শাকসবজি ও চাষ করা যায় না। সত্যি ওই দিন নদীর ধারে ভাতিজাদের কে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে যেমন ভালো লাগলো। তেমন মানুষের জন্য মায়া হল। কারণ আমরা নিজেরাই নদীর ধারে বসবাস করি। এই হচ্ছে নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।

device : Huawei

_{লোকেশন}

আমার পরিচয়

আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।