ভ্রমণ :- বড় ভাইয়ের সাথে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো। আসলে ঘুরতে যেতে কমবেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর আমি মনে করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে গেলে মন ফ্রেশ থাকে। সেই জন্য আমি চেষ্টা করি কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার। তেমনি আজকেও আপনাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমার এক আত্মীয় বড় ভাইয়ের সাথে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। ঈদের সময় আমার এক খালাতো ভাই আসলো আমাদের বাড়িতে। তখন সেই আমাকে বলতে লাগলো কোথাও ঘুরতে যাবে। যদিও খালাতো ভাই আমার বয়সে অনেক বড়। আর আমাদের এদিকে গ্রাম অঞ্চলের জায়গা গুলো এমনিতে সুন্দর এই কারণে যে কেউ আসলে ঘুরতে পছন্দ করে। যদিও ওই সময় সকালবেলা ছিল রোদ্র ছিল অনেক। তারপরও সেই বলতে লাগলো ঘুরতে যাবে। এরপর আমি তাকে বললাম তাহলে নদীর ধারে হাবুর ঘাটে ঘুরতে যাব। আসলে নদীতে এই জায়গাতে যে প্রথম থেকে নৌকা চালালো তার নামে এখন ওই ঘাট পরিচিত। আর হাবুর ঘাট বললে দূর এলাকার লোকও চিনে।
এরপর আমরা দুইজন বাড়ি থেকে বাইর হলাম। যদি ও হাবুর ঘাট আমাদের বাড়ি থেকে তেমন দূরে না দুই কিলোমিটার রাস্তা। এরপর আমরা দুইজন কথা বলতে বলতে নদীর দিকে যাচ্ছিলাম। আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে লাগলাম। তারপর আমরা আস্তে আস্তে নদীর ধারে চলে গেলাম। বর্তমানে নদীর অবস্থা খুব খারাপ। বিশেষ করে মুসাপুর সুইজগেট ভেঙে যাওয়ার পর থেকে নদীতে সকাল সন্ধ্যা দুই সময় জোয়ার আসে। আর এই কারণে নদীতে অনেক কাদা এবং পানিগুলো খুব লবণাক্ত। যখন নদীতে জোয়ার আসে পানি একদম রাস্তার পাশে চলে আসে। আর যখন জোয়ার থাকে না পানি একদম কম থাকে। ওই সময় কাদামাটি এত বেশি থাকে এদিক থেকেও দিক দিয়ে তো অনেক কষ্ট হয়ে যায়।
তারপর আমরা যখন নদীর ধারে গেলাম নদীর উপরে ছোট্ট একটি দোকান আছে। আর ওই সময় গরমও অনেক ছিল। এই কারণে আমরা ওইখানে বসে প্রথমে ঠান্ডা এবং হালকা নাস্তা করলাম। এরপর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বললাম এবং কাদা দেখে নদীর দিকে যাচ্ছিলাম না। এমন সময় আমার বড় ভাইটি বলতে লাগলো নদীর ওই পারে যাবে এবং নৌকাতে উঠবে। ওই সময় আমি তাকে বললাম নদীতে অনেক কাদামাটি এবং যেতে কষ্ট হবে। তারপরও সে বলতে লাগলো নদীর ওই পারে যাবে এবং একটু ঘুরবে। এরপর আমি তাকে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করার পরও সে বুঝলো না।
তারপর আমি আর আমার এই বড় ভাইটী নদী পার হওয়ার জন্য নদীতে নামলাম। যদিও ওই সময় নদীতে পানি একদম কম ছিল। আর কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পর নদীতে নৌকা আসলো। কারণ নদীর পানি যাতায়াতের কারণে পানি গুলোর মধ্যে অনেক কাটাকাটি। আর নদী এমনভাবে ভেঙেছে জায়গাগুলো থেকে নামতে উঠতে অনেক কষ্ট হয়। তারপর আমরা নৌকাতে উঠে বসলাম ওই সময় আমি কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। আর ২-৩ জন লোক হলে নৌকা এপার থেকে ওপারে নিয়ে যায়। আর মজার বিষয় হচ্ছে নৌকা পার হতে ১০ টাকা লাগে। আর ঈদের সময় পার হলে ২০ টাকা করে নেই একজনের।
আর আমরা দুইজন নদীর ওপারে গেলাম। এবং নদীর ওই পাড়ের অবস্থা একই রকম। ওইখানে গিয়ে আমরা ছোট্ট একটা পুকুরের মধ্যে হাত পা সাফাই করলাম। তারপর ওইখানে একটু ঘুরাঘুরি করলাম। এরপর আমি আমার বড় ভাইটিকে বললাম কাজেরহাট যাব ওইখানে মজার মিষ্টি ও দই খাব। এরপর বড় ভাইটি জিজ্ঞেস করল জায়গাটি কতদূর। ২ কিলোমিটার হওয়ার কারণে আমরা দুইজন ওইখানে গেলাম কাজের হাটে। খাওয়া দাওয়া করেছি সেটি অন্য দিন পোষ্টের মধ্যে উল্লেখ করব। এরপর কিছুক্ষন থাকার পর আমরা আবার নদীর ধারে চলে আসলাম। সত্যি গরম এত বেশি ছিল নদীর ধারে দাঁড়াতে পারছি না গরমের কারণে। তারপর নদী পার হয়ে আবার বাড়িতে চলে আসলাম। এই হচ্ছে নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
device : Huawei
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1924360603163857089?t=e4ifNv0XCnfxjZ_N9W27kQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/Jamal7183151345/status/1924449166287315165?t=ziXP8W8AhWEqjMrB2KbBDg&s=19
আপনি দেখছি আপনার খালাতো ভাইয়ের সাথে নদীর ধারে ঘুরতে গেলেন। আসলে পরিচিত লোকগুলো যখন আসে কোথাও ঘুরতে গেলে এমনিতে ভালো লাগে। আর ঈদের সময় বিদায় আপনাদের কাছে হয়তো একটু বেশি ভালো লাগলো নদীর ধারে ঘুরতে। আর আপনাদের ঐ নদীতে এখন জোয়ারের কারণে কাদামাটি বেশি। বড় ভাইয়ের সাথে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।