ভ্রমণ :- নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।

হ্যালো বন্ধুরা

হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব কিছুদিন আগে নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। মূলত আমার শ্বশুরবাড়িতে ভাগিনা ভাগ্নি গুলো আসলো। আর তাদেরকে নিয়ে ঘুরতে বাইর হলাম। ভাগিনা ভাগ্নি বলতে আমার হাজবেন্ডের বোনের মেয়েরা আসলো। আর অনেকদিন পর আমার শ্বশুর বাড়িতে তারা আসলেন। আর দুপুরে খাওয়া দাওয়া করার পর তারা বলতে লাগলো একটু নদীর ধারে ঘুরতে যাবে। এবং আমাকে বলতে লাগলো তাদেরকে নিয়ে যাওয়ার জন্য নদীর ধারে ঘুরতে। তারপর আমি তাদেরকে বললাম ঠিক আছে খাওয়া-দাওয়া করার পর সবাই ঘুরতে যাব। তবে আমরা যে জায়গাতে ঘুরতে গেলাম সেটি আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে মোটামুটি দূর আছে।

আর খাওয়া দাওয়া করে প্রথমে আমরা তিনজন যাওয়ার কথা ছিল। তারপর আমার হাজব্যান্ড ও বলল সেও করতে যাবে আমাদের সাথে। এবং ভাগিনা বলতে লাগবো সেও ঘুরতে যাবে। আর আমার মেয়ে ছোট সে তো সাথে যাবে। এরপর আমরা ছয় জন মিলে ঘুরতে যাওয়ার জন্য টাইম ঠিক করলাম। এবং পরে আমার হাজব্যান্ড একটি গাড়ি নিয়ে আসলেন আমাদেরকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কারণ আমরা যে জায়গাতে ঘুরতে যাব ওই জায়গাতে হেঁটে যাওয়া সম্ভব না। তারপর আমরা গাড়ি করে সবাই নদীর ধারের উদ্দেশ্যে বাইর হলাম। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা ওই জায়গাতে পৌঁছে গেলাম। আর নদীর ধারে গিয়ে কিন্তু অবাক হয়ে গেলাম। কারণ নদীর উপরে জমি গুলোর মধ্যে ধান চাষ করা হয়েছে।

আর সবুজ শ্যামলা ধান চাষ দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। মনে হয় প্রাকৃতিক সব সৌন্দর্য ধান ক্ষেতের মধ্যে লুকিয়ে রইল। আর ধানক্ষেত গুলো যেমন দেখতে ভালো লাগলো তেমনি খেতে সৌন্দর্য চমৎকার লাগলো। কারণ প্রতিটি ধান গাছ এক সমান দেখা যাচ্ছে। আর ওই জায়গাতে বাড়িঘর খুব কম আছে। শুধু ফসলের মাঠ আর ফসলের মাঠ দেখা যাচ্ছে। ওই সময় আমার ভাগ্নি গুলো দেখে অনেক খুশি হয়েছে। কারণ তারা গ্রাম অঞ্চলে খুব কম আসে। আর ধান ক্ষেত এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে তারাও কিন্তু এদিক ওদিক ঘুরতে লাগলো। আর সামনে গিয়ে দেখলাম নদীর ধারে মানুষ গরুর জন্য জায়গা করেছে। কারণ ওইসব জায়গাতে গরু এবং ছাগল লালন পালন করতে সুবিধা হয়।

সকাল হলে চরের দিকে গরুগুলো বেঁধে রাখতে পারে। আর নদীর ধারে ধান চাষ থেকে শুরু করা অনেক কিছু করলে ভালো ফসল হয়। আর ওই সময় কিন্তু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কিন্তু অসাধারণ ছিল। আমি কিন্তু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। তারপর আমরা যখন নদীর ধারের দিকে গেলাম তখন নদীতে পানি খুব কম ছিল। শুধু কাদামাটি আর কাদা মাটি। কাদামাটির মধ্যে মাছ দেখা যাচ্ছে। তবে কাদামাটির এই মাছগুলো ধরা যায় না। কারণ মাছগুলো মাটির ভিতরে চলে যায়। আর কিন্তু পাশে একটি দোকান আছে ওইখানে মধ্যে অনেক ধরনের নাস্তা খেতে শুরু করে সব আছে। আর এসব জায়গাতে ঘুরতে গেলে এমনিতে মন ভালো হয়ে যায়।

তবে চরের ধান ক্ষেতের মধ্যে চমৎকার কাকতাড়ুয়া বানিয়ে রাখল। যেন পশু পাখি থেকে শুরু করে কিছু দেখলে মনে করবে মানুষ দাঁড়িয়ে রইলো। আর রশি দিয়ে ওইখানে তাবলা বানিয়ে রাখলো। কারণ কিছুক্ষণ পরপর রশি টান দিলে আওয়াজ হয় তখন পাখিগুলো ওখান থেকে চলে যায়। আর তাদের কিন্তু এই আইডিয়া দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। কারণ অনেকখানি জায়গার মধ্যে ধান চষ করে যে এই কারণে তারা কাকতালিয়া থেকে শুরু করে ঢোল তবলা রাখল যাতে করে ফসল নষ্ট না হয়। আর এসব জায়গাতে যে ঘুরতে যাবে তার কাছে কিন্তু ভালো লাগবে। সত্যি বলতো ঐদিন ভাগিনা এবং ভাগ্নিদের কে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে অনেক ভালো লাগলো। আশা করি আমার এই পোস্ট দেখলে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

🥰 ধন্যবাদ সবাইকে 🥰