ভ্রমণ :- রাজবাড়িতে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। (প্রথম পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগyesterday

হ্যালো বন্ধুরা

হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব।

IMG_20250402_174423_1.jpg

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ঈদের সময় রাজ বাড়িতে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। ঈদের সময় মাকসুদা আপু আমাদের এলাকায় আসার কারণে আমরা সবাই একত্রিত হলাম রকি ভাইয়াদের বাড়িতে। আর সেই উপলক্ষে আমরা বিভিন্ন জায়গাতে ঘুরতে গেলাম মাকসুদা আপুকে নিয়ে। আর ঈদের সময় আমাদের এলাকার আশেপাশে যত সুন্দর জায়গা আছে আমরা ঘুরতে গেলাম। আর আমাদের প্রিয় মাকসুদা আপুকে পেয়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। এই কারণে সবাই একত্রিত হলাম। আর একদিন আমরা দুপুর বেলা খাওয়া-দাওয়া করতে বিকেলে ঘুরতে কোথায় যাব ঠিক করতে লাগলাম। এমন সময় আমাদেরকে রকি ভাইয়া বলল রাজ বাড়িতে ঘুরতে যাবে। যদিও রাজবাড়ীতে আমি কখনো ঘুরতে যাই নাই। আর ভাইয়া এবং আপু ওইখানে ঘুরতে গেল আগে।

এবং রাজবাড়ীর নাম অনেক শুনেছিলাম। আগে হিন্দু জমিদার এইখানে বসবাস করতেন। যদিও এখন তারা এই জায়গা থেকে অন্য জায়গা চলে গেল। তারপরও তাদের বাড়ি এবং প্রতিষ্ঠানগুলো রয়ে গেল। এই কারণে দূর-দূরান্ত থেকে লোক আসে রাজবাড়ি দেখতে। আর সেই উপলক্ষে আমরা ঠিক করলাম বিকেল বেলা রাজবাড়ী ঘুরতে যাব। আর রাজবাড়ী আমাদের বাড়ি থেকে মোটামুটি অনেক দূরে আছে। এই কারণে আমরা বিকেল তিনটা বাজে সবাই রেডি হয়ে রাজবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সত্যি বলতে রাজবাড়ির নাম শুনে দেখার ইচ্ছা অনেক হলো। আর মাকসুদা আপু থাকার কারণে তো আরো বেশি দেখার ইচ্ছা হলো। আর আমরা তিনটা বাজে এইখান থেকে গাড়ি নিয়ে রাজবাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।

IMG_20250402_163002.jpg

IMG_20250402_162855.jpg

এবং ৪০ থেকে ৫০ মিনিটের মধ্যে আমরা ওই জায়গার মধ্যে পৌঁছে গেলাম। যদিও যাওয়ার সময় রাস্তা দিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুব চমৎকারভাবে উপভোগ করলাম। আর আমি এবং মাকসুদা আপু এক গাড়িতে ছিলাম। যদিও আমরা প্রথমে একটি বাজার পর্যন্ত বড় গাড়ি নিয়ে গেলাম। তারপর ছোট অটো রিক্সা নিয়ে ওইখান থেকে রাজ বাড়িতে গেলাম। তবে আপুর সাথে আমি বসে বসে অনেক কথা বললাম। সত্যি বলতে আমার কাছে ভালো লাগলো আপুর সাথে কথা বলে। আর আমার মেয়ে তার বাবার কাছে ছিল বিধায় আরেকটু সুবিধা হল। এরপর আমরা সবাই রাজবাড়ীর গেটের সামনে একত্রিত হলাম। আর বাড়িটি অনেক বছর পুরনো বিদায় সবকিছু পুরনো হয়ে গেল। এবং ঈদের কারণে দূর দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ আসলো ঘুরতে এইখানে।

এবং রাজবাড়ী জমিদারদের সবকিছু এখনো রয়ে গেল। এবং বাড়ির সামনে বড় পুকুর খোলা মাঠ চারপাশে জায়গা এবং গাছ দেখে অনেক ভালো লাগলো। আর ওই সময় আমরা যখন গেট দিয়ে ভিতরে দিতে লাগলাম তখন ভিতরে মানুষের ভিড় ছিল। সত্যি বলতে আমরা সবাই একসাথে রাজবাড়ীর ভিতর দিকে গেলাম। আর ওইখানে দেখি বিভিন্ন ধরনের ফুচকা ও অন্যান্য দোকান বসলো ঈদ উপলক্ষে। আর আমরা ওইখানে গিয়ে প্রথমে সামনে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। কারণ সামনে সৌন্দর্য উপভোগ করতে লাগলাম। আর সবাই কিছুক্ষণ বসে তারপর সিদ্ধান্ত নিলাম ভেতরের দিকে যাব। কারণ ভিতরে পুরনো বাড়ি এবং মানুষ বসবাস করে না বিধায় একটু ভয় লাগলো।

IMG_20250402_174244.jpg

IMG_20250402_174505.jpg

এরপর আমরা সবাই একত্রিত হয়ে ভিতরে দিকে গেলাম। তবে আমার মেয়ে ঘুরতে গিয়ে অনেক খুশি হয়েছে। সে বারবার হাসতে লাগলো এবং অনেক কিছু জিজ্ঞেস করতে লাগলো। যদিও আমার মেয়ে হয়তোবা আমার কাছে নয়তো বা তার বাবার কাছে থাকে। এবং মাকসুদা আপু অনেকবার তাকে নেওয়ার চেষ্টা করলে সে একটু ভয় পেতেন। তারপর ভিতরের দিকে গিয়ে দেখি অনেকগুলো দালান ঘর আছে। যদিও সবগুলো পুরনো হয়ে গেল এবং কিছু কিছু জায়গার মধ্যে ভেঙে পড়ে যাচ্ছে। আর দেয়ালের মধ্যে মাঝে মাঝে কিছু গাছও জন্ম নিলো। আর অনেক মানুষ দেখতে লাগলাম উপরে নিচে ঘুরতে লাগলো। সত্যি জায়গাটির নাম যেমন শুনেছিলাম তার চেয়েও ভালো লাগলো। আর এসব জায়গাতে ঘুরতে গেলে অনেক কিছু উপলব্ধি করা যায়। আশা করি বাকি কথা পরের পোস্টে লিখব। আর আজকে আমার রাজবাড়ী ঘুরতে যাবার প্রথম পর্ব দেখে আপনাদের ভালো লাগবে।(চলবে)

IMG_20250402_174242.jpg

IMG_20250402_165921.jpg

IMG_20250402_165919.jpg

IMG_20250402_165803.jpg

IMG_20250402_165503.jpg

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

🥰 ধন্যবাদ সবাইকে 🥰

Posted using SteemPro

Sort:  
 yesterday 

Screenshot_2025-08-24-17-58-56-075_com.twitter.android.jpg

Screenshot_2025-08-24-18-06-37-754_com.twitter.android.jpg

Screenshot_2025-08-24-18-05-15-053_com.twitter.android.jpg

 22 hours ago 

ঠিক বলেছেন আপু এই সব জায়গায় ঘুরতে গেলে অনেক অভিজ্ঞতা হয়। আর সবাই মিলে এক সাথে গেলে তো কথায় নেই। আর জায়গাটা অনেক পুরানো তাই দেখতে অনেক ভালো লেগেছে। আসলে পুরানো জিনিস দেখতে ভালো লাগে। নিশ্চয় অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন।