উত্তরা ঘুরাঘুরি ও কেনাকাটা শেষ পর্ব
Tania Toma:
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে উত্তরা ঘোরাঘুরির আরেকটি পর্ব শেয়ার করবো। সেদিন বালিশের কাভারগুলো বানাতে দিয়ে উত্তরা রাজলক্ষী শপিং কমপ্লেক্স গিয়েছিলাম। যেহেতু দুই ঘন্টা সময় কাটাতে হবে তাই একটু দূরেই গিয়েছিলাম। এখন সমস্যা হচ্ছিলো আমরা তিনজন মিলে কিভাবে যাব। বড় বড় তিনজন রিক্সায় উঠতে ঝামেলা। তার পরও কষ্ট করে উঠে পড়লাম রিক্সায়। অনেকদিন পর এরকম রিক্সায় ঘুরে আগেকার দিনের কথা মনে পড়ে গিয়েছিল। আগে বান্ধবীরা মিলে কত রিক্সার করে ঘুরেছি। গরম থাকলেও রিকশায় ঘুরতে বেশ ভালোই লাগছিল। খুব সুন্দর বাতাস লাগছিল গায়ে।
রিকশায় করে কিছু দূর যাওয়ার পরে দেখলাম যে রাস্তার সাইডে তালের শাঁস বিক্রি করছে। তাই খাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে গেলাম। তালের শাঁস শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে গরমের মধ্যে পানির সল্পতা দূর করে। যেহেতু আমরা অনেক গরমের মধ্যে ঘুরাঘুরি করছিলাম তাই ভাবলাম যে তাহলে শাঁস খেলে কিছুটা আরাম লাগবে এবং শরীরে পানির ঘাটতিও পূরণ হবে। তালের শাঁস কিনে আবার রিক্সায় উঠে পড়লাম।
রিকশা থেকে নামার পরেই দেখলাম যে পুলিশ একজন মহিলাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। সে নাকি মোবাইল চুরি করেছে। মহিলাকে দেখে বেশ ভালো মনে হলো। কিন্তু কেন এমন কাজ করেছে বুঝতে পারলাম না। হয়তো ভালো সেজে এই কাজ করে বেড়ায়। মার্কেটে এসেছি ঘোরাঘুরি করে টুকটাক না কিনলে কি হয়। আমরা আরো প্রয়োজনীয় কিছু কাপড় কিনলাম রাজলক্ষ্মী শপিং কমপ্লেক্সে গিয়ে। আমার একটি ননস্টিকের কড়াই কেনার ইচ্ছা ছিল কিন্তু সাইজ না পাওয়ার কারণে আর কিনতে পারলাম না।
এভাবে ঘোরাঘুরি করতে করতে প্রায় দেড় ঘন্টা পার হয়ে গেল। সেদিন সময় যেন কিছুতেই যাচ্ছিল না। তাছাড়া গরমের মধ্যে খুব খারাপ লাগছিল ঘুরতে। এজন্য লাচ্ছি খাওয়ার জন্য একটি দোকানে গেলাম। এখানে লাচ্ছির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের জুস বিক্রি করছিল। যদিও রাস্তার সাইডের এই খাবারগুলো আমার কখনোই খাওয়া হয়না। সেদিন খেয়েছিলাম বেশ ভালোই লেগেছিল লাচ্ছি। গরমের মধ্যে মনে হলো যে একদম শরীর ঠান্ডা হয়ে গেলো লাচ্ছি খেয়ে। আরো কিচ্ছুক্ষন পর আমরা সেখান থেকে রওনা দিলাম আবারো চাদরের দোকানের উদ্দেশ্যে। যেতে যেতে সব মিলিয়ে ২ ঘন্টা হয়ে গিয়েছিল। গিয়ে দেখি আমাদের বালিশের কাভার বানানো প্রায় শে। ১/২ পিস বাকি ছিল বসার পর সেগুলো বানিয়ে দিল। দোকানদার কথা রেখেছে। ঠিক দুই ঘন্টাই লেগেছে সবগুলো বালিশের কাভার বানাতে। তারপর আবার একটি সিএনজি নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
সেদিন গরমে খুব কষ্ট হলেও সবাই মিলে ঘুরতে খুব ভালো লেগেছিল। এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যতই গরম থাকুক এভাবে রিকশায় করে ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালো লাগে। বালিশের কভার বানাতে দিয়েছেন আর দিতে দুই ঘণ্টা সময় লাগবে বলে সেখানে বসে না থেকে আশেপাশে ঘোরাঘুরি করে খুব ভালো করেছেন। একসাথে আপনাদের দু'টো কাজ হয়ে গেলো। হালকা ঘোরাঘুরি আর বালিশের কভার বানানো। রাস্তায় বের হলে তালের শাঁস খেতে আমিও খুব পছন্দ করি। তাছাড়া এই গরমে বাহিরে যাবো আর লাচ্ছি খাবো না তা তো হতে পারে না। পৃথিবীতে কত ধরনের মানুষ রয়েছে। কেউ অভাবে চুরি করে আর কেউ স্বভাবে। যাক দুই ঘণ্টা বাহিরে ঘোরাঘুরি করে বালিশের কভার সেলাই করে নিয়ে এসেছেন দেখে ভালো লাগলো। সব মানুষ খারাপ নয় কিছু ভালো মানুষের জন্যই পৃথিবী এখনও টিকে রয়েছে।
ঠিক বলেছেন আপু রিকশায় ঘুরতে আসলেই বেশ মজা লাগে। অনেকদিন পর বেশ মজা করে ঘুরেছিলাম। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বেশ ঘোরাঘুরি করলেন বালিশের কভার বানাতে যেয়ে। এই গরমের দিনে এমন কিছু খাবার আছে খেলে শান্তি পাওয়া যায়। তালের শাঁস নিলেন রিক্সা থেকে নেমে। তালের শাঁস খেতে খুবই ভালো লাগে একদম কচি ডাবের নারকেলের মত। আর পুলিশ যেভাবে মহিলাটাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে শুনলাম আসলে ওরা ভালো সেজে এমন কাজগুলো করে থাকেন। আপনার ব্লগটি পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে।
কি করবো আপু দুই ঘন্টা বসে থাকা সম্ভব ছিল না গরমের মধ্যে। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ভালো পোস্ট সব মিলিয়ে। উত্তরা জায়গাটা আমার খুব ভালো লাগে৷ যখন যাই, চেষ্টা করি উত্তরাতেই হোটেল নিতে। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাস্তা, অভিজাত বাড়ি, কাছেই এয়ারপোর্ট এই জায়গার বৈশিষ্ট্য। শুধু এইবার গিয়ে একটা বিপদে পড়েছিলাম৷ কলকাতার প্লেন ছিল ভোরে। তাই অনেক ভোরে হোটেল থেকে বেরোতে হয়। কিন্তু দেখি রাস্তায় বেরোবার সব জায়গায় গেট লাগানো। অনেক টেনশন হয়ে গেছিল। এটা ভোলা যাবে না। সুন্দর পোস্ট। ভালো থাকুন
বসুন্ধরা আবাসিকে এসে দেখবেন ভাইয়া আরো ভালো লাগবে আশা করি। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
নভেম্বরে হয়ত আবার ঢাকা আসছি৷ তখন যাব তাহলে
মাঝেমধ্যে কিন্তু এরকম ভাবে ঘুরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। বালিশের কাভার বানাতে দিয়ে আপনারা সবাই দেখতে অনেক সুন্দর ভাবে ঘুরাঘুরি করেছেন। এই গরমে কষ্ট তো হবেই ঘুরাঘুরি করতে। আসলে গরমের সময় এভাবে বাহিরে ঘুরাঘুরি করলে অনেক খারাপ লাগে। আপনারা ঘুরাঘুরি করার পাশাপাশি খাওয়া দাওয়া করেছেন, আবার কেনাকাটাও করেছেন শুনে ভালো লাগলো। এই গরমে কিন্তু ঠান্ডা ঠান্ডা লাচ্ছি খেতে সত্যি ভালো লাগে। যাই হোক দোকানদার নিজের কথা মতো দুই ঘণ্টার মধ্যে সবগুলো বালিশের কাভার তৈরি করে দিয়েছে শুনে ভালো লেগেছে।
খুব বেশি গরম লেগে গিয়েছিল এজন্য খাওয়া দাওয়া করে নিয়েছিলাম ঠান্ডা কিছু। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
পরিবারের সবাই মিলে ঘোরার মজাই আলাদা।আর অতীত সবসময় স্মৃতি হয়ে থেকে যায়।আপু ভালো দেখার মাঝেই তো বেশি খারাপের পরিচয় পাওয়া যায়, সেইরকম ওই চোর মহিলাটি।ভালো হয়েছে ধরা পড়েছে।আর বালিশের কাভারগুলি বানিয়ে নিয়েছেন দেরি হলেও জেনে ভালো লাগলো,ধন্যবাদ আপু।
আপু পরিবারের সবাই মিলে ঘুরতে যাইনি তো। অন্যান্য ভাবীরা ছিল। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপু,ভাবীদের কথা তো উল্লেখ ছিল না তাই ভাবলাম আপনার পরিবারের সবাই।
আমার কাছে কিন্তু মাঝেমধ্যে এভাবে ঘুরাঘুরি করতে বেশি ভালো লাগে। যেকোনো কিছুর জন্য অপেক্ষা করলে সেই সময়টা যেন যেতেই চায় না। আর ঠিক এরকমটা আপনাদের ক্ষেত্রেও হয়েছে। বালিশের কাভারগুলো বানাতে ২ ঘন্টা সময় লেগেছিল, আর আপনারা ওই সময়টাতে ঘুরাঘুরি করেছেন এমনকি খাওয়া দাওয়া করেছেন দেখে ভালো লাগলো। তালের শাঁস দেখে তো আমার খেতে ইচ্ছে করতেছে। কারণ এটি আমার অনেক বেশি পছন্দের। লাচ্ছি দেখেও লোভ সামলাতে পারছি না এই গরমের সময়। আপনারা ঠিক সময়ের মধ্যেই আপনাদের জিনিস পেয়ে গিয়েছেন দেখে ভালো লেগেছে। লোকটা দেখছি নিজের কথা অনুযায়ী সুন্দরভাবে কাজ করেছে।
আমাদের আর সুযোগ কই এভাবে ঘোরাফেরা করার। বাচ্চাদের নিয়ে সবসময় হয় না। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।