ভ্রমণ পোস্ট || দীর্ঘদিন পর জাতীয় চিড়িয়াখানা ভ্রমণ
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। কয়েক মাস আগে ঢাকার মিরপুর চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। আসলে ঘুরাঘুরি করতে আমার বরাবরই খুব ভালো লাগে। কিন্তু সবসময় সুযোগ হয় না বলে,ঘুরতে যাওয়া সম্ভব হয় না। মিরপুর চিড়িয়াখানায় ছোটবেলা থেকেই যাওয়া হতো আমাদের। কারণ আমার ফুপুর বাসা সেখানেই। ফুপুর বাসা থেকে হেঁটেই চিড়িয়াখানায় যাওয়া যায় অল্প সময়ের মধ্যে। তবে ছোটবেলায় নিয়মিত চিড়িয়াখানায় যেতাম। এবার মোটামুটি দীর্ঘদিন পর চিড়িয়াখানায় গেলাম। তাছাড়া এবার চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গিয়েছিলাম আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির কিবরিয়া ভাইয়ের সাথে। কিবরিয়া ভাইয়ের বাবা গাবতলী গরুর হাটে ব্যবসা করে। অর্থাৎ গরু বিক্রি করে সারাবছর। তবে বিশেষ করে কোরবানির ঈদে বেশি ব্যস্ত থাকে। তো কোরবানির ঈদের আগে কিবরিয়া ভাই গাবতলী গিয়েছিল তার বাবাকে সাহায্য করতে।
তো আমি বাসা থেকে বের হয়ে, সরাসরি গাবতলী গরুর হাটের সামনে চলে গেলাম। তারপর কিবরিয়া ভাইকে সাথে নিয়ে, রিকশা তে চড়ে মিরপুর চিড়িয়াখানায় চলে গেলাম। তারপর দু'জনের জন্য প্রবেশ টিকেট কিনলাম এবং ভিতরে প্রবেশ করলাম। ভিতরে প্রবেশ করে দেখলাম মানুষ একেবারেই কম। তো আমরা প্রথমে হরিণ দেখতে গেলাম। বড় জায়গায় অনেক গুলো হরিণ রাখা হয়েছে। আসলে হরিণ দেখতে আমার খুব ভালো লাগে বিধায়,আমি সবসময় চিড়িয়াখানায় গিয়েই প্রথমে হরিণ দেখার চেষ্টা করি। যাইহোক হরিণের কয়েকটি ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করে,আমরা ভাবলাম সামনের দিকে যাওয়া যাক। অল্প একটু সামনে যেতেই ক্ষুধা পেয়ে যায়। তাই আমরা ভাবলাম চিড়িয়াখানার ভিতরে হালকা নাস্তা করে,বাহিরে গিয়ে কাচ্চি বিরিয়ানি খাবো। তো আমরা সেখানে বসে বার্গার খেলাম এবং কোল্ড ড্রিংকস পান করলাম। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা লেকের সামনে চলে গেলাম।
তারপর সেখানে দাঁড়িয়ে চারপাশের সৌন্দর্য অবলোকন করার চেষ্টা করলাম। লেকের পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকতে আমার খুবই ভালো লাগছিলো। আমরা তারপর চলে গেলাম ময়ূরের খাঁচার সামনে। ময়ূরের খাঁচার সামনে কয়েকটি ময়ূর ছিলো। কয়েকটি ময়ূর খুবই সুন্দর ভাবে পেখম তুলে দাঁড়িয়ে আছে। সেই দৃশ্যটা সামনা-সামনি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিলো এবং সেজন্য আমি চেষ্টা করেছি, সেই দৃশ্যটা ক্যামেরা বন্দী করে রাখতে। তারপর আমরা চিড়িয়াখানার আরও কিছু জীবজন্তু দেখার চেষ্টা করলাম। তারপর আমরা চিড়িয়াখানা থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ দুজনের হাতেই সময় কম ছিলো। তাই আমরা বের হয়ে সনি হলের দিকে অর্থাৎ মিরপুর ১নং বাস স্ট্যান্ডের দিকে চলে গেলাম। তারপর একটি রেস্টুরেন্টে ঢুকে কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়ে, আমি বাসার দিকে রওনা দিলাম এবং কিবরিয়া ভাই গাবতলী গরুর হাটের দিকে রওনা দিলো। অনেক দিন পর চিড়িয়াখানায় ঘুরাঘুরি করে বেশ ভালো লেগেছিল।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ১৫.৯.২০২৫ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক স্ক্রিনশট এবং লিংক:
https://x.com/mohin3242127/status/1967606064444301452?t=sjx99HiUPdGIHeQ8Ih_63A&s=19
X-promotion
Absolutely loved your travelogue, @mohinahmed! Your trip to the Dhaka Zoo felt so authentic and relatable. The pictures are fantastic – especially the deer and peacocks! It’s wonderful that you shared a bit about your friend Kibria and his family's business too; it adds a personal touch that makes the post extra special.
It's great you enjoyed kachchi biryani. What was the best part of your trip? I'm sure many of us in the community have fond memories of visiting the zoo as well. Thanks for taking us along on your adventure, and keep sharing your experiences with us! Can't wait to read your next post!
চিড়িয়াখানায় ভ্রমন করার মধ্যে একটি আলাদা ভালো লাগা কাজ করে৷ আমি অনেক দিন আগেই চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম৷ তবে এখনো পর্যন্ত সেখানে নেওয়ার সুযোগ হয়নি৷ আজকে যেভাবে আপনি এত চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো৷ একই সাথে আপনার সাথে কিবরিয়া ভাইকে দেখে আরো অনেক বেশি ভালো লাগলো৷ সবাই মিলে খুব সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন৷
অনেক দিন পর বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানায় গিয়ে বেশ ভালো লেগেছিল। এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।