ট্রাভেল || পুরীর মন্দির দর্শন
নমস্কার,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি। |
---|
বন্ধুরা, আজকের এই ব্লগটিতে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে তোমাদের সাথে আমার পুরী ভ্রমণ সম্পর্কে কিছু কথা শেয়ার করবো। আসলে কয়েক মাস আগে আমি পুরী ভ্রমণে গেছিলাম। এর আগেও পুরী যাত্রা নিয়ে একটি ব্লগ তোমাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। তবে সেখানে মন্দির দেখা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে আলোচনা করিনি। আজকের এই ব্লগে পুরী ভ্রমণে গিয়ে মন্দির দেখা নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করবো। আসলে আমাদের ধর্মে এই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের গুরুত্ব অপরিসীম। এই মন্দিরটি হিন্দুদের অন্যতম প্রধান তীর্থস্থান হিসেবেও বিবেচিত হয়। হিন্দু ধর্মে এই মন্দিরের গুরুত্ব বেশি হওয়ার কারণ হলো, এখানে ভগবান জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তি প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। এই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের অনেক বড় ইতিহাস রয়েছে। সেই সম্পর্কে আজ তোমাদের সাথে শেয়ার করছি না। তাছাড়া আমার সেই বিষয়ে অনেক জ্ঞানও নেই। এখানে শুধু ভ্রমণ রিলেটেড কথাগুলোই শেয়ার করলাম।
আমি এখানে গেছিলাম আমার পরিবারের সাথে ভ্রমণ করতে। আমরা এখানে যে দিনটাতে গেছিলাম সেদিন পর্যন্ত গরম ছিল। এই গরমের কারণে চারপাশটা ঘুরে দেখতে আমাদের অনেকটাই কষ্ট হচ্ছিলো। তারপরেও ঠাকুরের জায়গায় দর্শন করতে যখন গেছি, কষ্টের কথা চিন্তা করলে তো আর হয় না। আমরা এই পুরীতে গিয়ে যে হোটেলটি নিয়েছিলাম সেটি সমুদ্র সৈকতের অনেকটাই কাছে ছিল। সেই হোটেল থেকে বেশ কিছুটা পথ গিয়ে এখানের মন্দির গুলো দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম। আসলে এইখানে পায়ে হেঁটেও আসা যায়। তবে আমরা টোটো করে এসেছিলাম। আমাদের কাছে টোটো ভাড়া কুড়ি টাকা করে নিয়েছিল। আমি এর আগেও দুইবার হয়তো জীবনে পুরী ভ্রমণ করেছি। আসলে এটি ধর্মীয় জায়গা হওয়ার কারণে আমাদের বাড়ির লোকেরাও এই জায়গাতে বার বার আসতে চায়। আর সেই কারণেই আসা হয়।
তাছাড়া এইখানে গেলে মনটাও ভালো হয়ে যায়। এইখানে দেখার মত অনেক জায়গা রয়েছে। পুরীর মন্দির গুলো দেখতে জাস্ট অসাধারণ লাগে। এখানের মন্দিরের খোদাই করা পাথর এবং ভাস্কর্য যেন ইতিহাসের কথা বলে। মন্দিরের বাহ্যিক অংশে থাকা বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তিগুলি দারুণভাবে খোদাই করা হয়েছে এখানে। এখানকার এই বিষয়গুলো সবাইকেই মুগ্ধ করে তুলবে। এত নিখুঁত হাতের ছোঁয়ায় সবকিছু করা যা কাছে থেকে না দেখলে কেউ অনুধাবন করতে পারবে না। জগন্নাথ মন্দিরের চারদিকে চারটি গেট রয়েছে। প্রত্যেকটি গেটের আলাদা আলাদা নাম রয়েছে এবং প্রত্যেকটারই আলাদা তাৎপর্য রয়েছে।
যাইহোক, এখানে মানুষ প্রত্যেকদিনই পুজো দেওয়ার জন্য আসে। এখানে পুজো দেওয়াও অনেকটা কঠিন কাজ। কারণ অনেক বড় লাইন দেখা যায় পুজো দেওয়ার জন্য। এখানে পুজো দিতে আসলে মন্দিরে প্রবেশের পূর্বেই পুজোর সব সামগ্রী কিনতে পাওয়া যায়। যাইহোক, আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল মন্দিরের বাইরে সব কিছু সুন্দর করে দেখা। তাছাড়া এই মন্দিরের ভিতরে গিয়ে কিন্তু কোন ছবি তোলার সুযোগ নেই। বাইরে থেকে ঘুরে দেখার সময় শুধু ছবি তোলা যায়। যাইহোক, এই মন্দিরের ভিতরে পুজো দিতে আমি যাইনি তবে আমার পরিবারের লোকজন গেছিল ভিতরে পুজো দেওয়ার জন্য। তাদের জন্য আমরা বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলাম আর বাইরের সব কিছু ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম।
তাছাড়া এখানে সহজে পুজো দিতে গেলে আগে থেকে পুরোহিত ঠিক করে নিতে হয়। এই সম্পর্কে আমি সেখানে গিয়েই জানতে পেরেছিলাম। এই পুরীতে গিয়ে সবথেকে অবাক লেগেছিল, কোনার্কের সূর্য মন্দির দেখে। এই সূর্য মন্দির সম্পর্কে অনেক কথাই প্রচলিত আছে। যাইহোক, রথের আকারে তৈরি এই মন্দিরটি। আসলে ফটোগ্রাফি দেখে এর সৌন্দর্য সঠিকভাবে বোঝা যায় না। সামনে থেকে দেখলেই এই সম্পর্কে ভালো বোঝা যায়। যেহেতু দিনটিতে অনেক গরম পড়েছিল তাই একটু ঘোরাঘুরি করতে কষ্ট হচ্ছিলো আমাদের। তবে এরকম জায়গায় গিয়ে ঘোরাঘুরি করলে কষ্টের মধ্যেও একটা আলাদা সুখ পাওয়া যায়। পুরীর মন্দির গুলো ঘুরে দেখার সময় যে ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম, সেগুলো উপরে শেয়ার করেছি আর কি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ট্রাভেল |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | পুরী, ওড়িশা, ভারত । |
আপনি পুরীর মন্দির বেশ ভালো ভাবে পরিদর্শন করেছেন। আসলে ভাইয়া এক জায়গায় গেলে সত্যি অনেক অভিজ্ঞতা হয়।আপনি কোনার্কের সূর্য মন্দির দেখে অবাক হয়েছেন। ভিতরে কোন ফটোগ্রাফি করতে দেয়, আসলে অনেক জায়গায় দেয় না।আপনি বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু, পুরীর মন্দির গুলো বেশ ভালোভাবেই আমি পরিদর্শন করেছিলাম। যাইহোক, আপনার এই সুন্দর মন্তব্যটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব সুন্দর একটি মন্দির ভ্রমণ করেছেন এবং সেই মন্দির ভ্রমণ করে এসে আমাদের দেখানোর সুযোগ করে দিয়েছেন। বেশ ভালো লাগলো ভাইজান আপনার এই আজকের ভ্রমণ পোস্ট। চমৎকার ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে পুরীর মন্দির।
আমার শেয়ার করা ভ্রমন মূলক এই পোস্ট টি যে আপনার কাছে ভালো লেগেছে, সেটা জেনে অনেক খুশি হলাম ভাই আমি।
আপনাদের দেশের পুরী নিয়ে অনেক পোষ্ট পড়েছি। সেখানে সমুদ্র সৈকতের নাম দাম সারা বিশ্বে পরিচিত। আর আজকে দেখলাম সেখানে অন্যতম দর্শনীয় একটি স্থান পুরীর মন্দির। ধন্যবাদ।
মন্দিরই এই জায়গার প্রধান আকর্ষণ ভাই। মানুষ মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য সেখানে যায়। তারপর এখানকার সমুদ্রও দেখে আসে।
🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷
আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র। সবাইকে ধন্যবাদ করছি আপনাদের সময় দেওয়ার জন্য, এটিকে লেখার চেষ্টা করতে হবে।
প্রিয় স্টিমিটার, আমি তোমাদের কাজ থেকে খুবই অনুভবিত। একটা নতুন নতুন চিন্তার উদযাপন আর সময় নেই। তাই অন্য লোকবে এটা শেষ।