ভ্রমণ পোস্ট :লালন শাহের মাজার ভ্রমণ। (পর্ব -২)
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ২৬ শে নভেম্বর ,বৃহস্পতিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি ভ্রমন করতে অনেক পছন্দ করি। সময় এবং বাড়ির লোকের অনুমতির অভাবে খুব একটা ঘোরাঘুরি করা হয় না। তবে সময় পেলে নিজের জেলার জায়গাগুলো ঘুরে দেখার চেষ্টা করি। আজ আমি আপনাদের সাথে লালন ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করবো।কয়েকদিন আগে আপনাদের সাথে প্রথম পর্ব শেয়ার করেছি। চলুন তাহলে দেরি না করে পোস্টটি দেখে আসি।
লালন শাহের মাজারের নাম সবাই শুনেছে। লালন শাহের মাহাত্ম্য কমবেশি সবারি জানা। এর আগের পর্বে লালন শাহ সম্পর্কে অনেক কিছু শেয়ার করেছি তাই আজ আর বেশি কিছু বলব না। লালনের মাজারে আমরা কিভাবে গিয়েছি এবং মাজারের মধ্যে কোথায় কোথায় ঘুরেছি সেসব আপনাদের সাথে আগের পর্বে শেয়ার করেছি। আজ আমি শেয়ার করব লালনের মাজারে গিয়ে আমরা কি কি খাওয়া দাওয়া করলাম এবং কি কিনলাম।
আমরা মাজারের ভেতর থেকে বেরিয়ে গিয়ে প্রবেশ করি মেলা মাঠে। যদিও এখন লালনের মেলার সময় নয় তাও মেলা মাঠে সব সময় অনেক দোকানপাট বসে। অনুষ্ঠানের সময় লালনের মাজারে প্রবেশ করাই কষ্টকর হয়ে পড়ে। সেই সময় দুর দুরান্ত থেকে মানুষ এসে ভিড় জমায়।যদিও লালনের মাজারে দর্শনার্থীদের ভিড় প্রতিদিনই বিদ্যমান থাকে। সেদিনও বেশ কিছু দর্শনার্থীদের আগমন ঘটেছিলো।আমরা মেলা মাঠের দিকে প্রবেশ করে প্রথমেই ঢুকিয়ে একটি দোকানে। দোকানের মধ্যে থাকা জিনিসগুলো দেখি এবং ফটোগ্রাফি করি। সে দোকান থেকে আমি হাতে পড়ার জন্য একটি বেসলেট কিনে নিই।
আমার খুব ইচ্ছে ছিলো লালনে গিয়ে মাটির খালা কেনার। মাটির থালায় ভাত খাওয়া আমার অনেক দিনের ইচ্ছা। তাই আমরা প্রবেশ করলাম মাটির হাড়ি পাতিল এর দোকানে। দোকানে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের মাটির তৈরি জিনিসপত্র দেখতে পেলাম। মাটির তৈরি প্রত্যেকটি জিনিস দেখতে ভারী সুন্দর। আমার সব সময় ছোট থানায় ভাত খেতে বেশি ভালো লাগে। তাই আমি একটি ছোট থালা খুঁজছিলাম। খুঁজতে খুঁজতে ওই দোকানে ছোট থালা পেলাম না। তাই আমরা ওই দোকান থেকে বেরিয়ে আসলাম।
তারপর আমরা প্রবেশ করলাম আরেকটি হাড়ি পাতিল এর দোকানে। সেখানে গিয়ে চমৎকার চমৎকার মাটির হাঁড়ি পাতিল দেখতে পেলাম। সেখানে গিয়ে পছন্দমত একটি মাটির থালা কিনে নিলাম। মাটির থালাটি আমার কাছে তো অনেক ভালো লেগেছিলো।আমার দেখাদেখি আমার বান্ধবীও একটি মাটির থালা কিনে নিলো।কেন জানিনা মাটির থালায় খাবার খেয়ে আমি অনেক প্রশান্তি পাই।
তারপর আমরা হাড়ি পাতিলের দোকান থেকে বেরিয়ে প্রবেশ করলাম অন্য একটি দোকানে। সে দোকানে ঘর সাজানোর মতো অনেক ধরনের শোপিস ছিলো।একটা শোপিস দেখে আমার তো খুব পছন্দ। কেনার আগ্রহ প্রকাশ করলাম। তারপর দাম জিজ্ঞেস করতে অনেক বেশি দাম চেয়ে বসলো। কত দাম দিয়ে শোপিসটা আর কিনলাম না। তারপর আমরা দোকান থেকে বেরিয়ে সোজা চলে গেলাম ফুচকার দোকানে।
ফুচকা খেতে আমি ভীষণ ভালোবাসি। আমার মনে হয় প্রত্যেকটা মেয়ে ফুচকা খেতে বেশ ভালোবাসে। কুষ্টিয়ার মধ্যে সব থেকে ভালো ফুচকা লালনে পাওয়া যায়। কুষ্টিয়ার অনেক জায়গার ফুচকা আমি খেয়েছি তবে লালনের মতো সুস্বাদু ফুচকা আমি আর কোথাও খাইনি। লালনের ফুচকা কথায় অসাধারণ। আমি তো একবার লালনের ফুচকা খাওয়ার পর শুধুমাত্র ফুচকা খাওয়ার জন্য অনেকবার লালনে গিয়েছি। আমরা ফুচকার দোকানে গিয়ে চারজনের জন্য চার পেলেট ফুচকা অর্ডার করে নিই। তারপর আমার চারজন মিলে ফুচকা খাওয়া শেষ করি।
লালনের ফুচকার সাথে সাথে ঝাল মুড়ির প্রশংসা না করলেই নয়। লালনের অনেক জিনিসে আমার খাওয়া হয়েছে তবে ফুসকা এবং ঝাল মুড়ি আমার কাছে বেস্ট লাগে। আমরা দুইজন মুড়ি খাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করি। তারপর আমরা দুজন মিলেই ঝাল মুড়ি খাই। ঝালমুড়ি খাওয়ার পর তো একাকার অবস্থা। আমি বেশি ঝাল খেতে পারি না। ঝালমুড়িতে হয়েছিল প্রচুর ঝাল। ঝাল মুড়ি খেয়ে আমার নাজেহাল অবস্থা।
খাওয়া দাওয়া করার পর আমরা লালনের মাঠের মধ্যে একটু ঘোরাঘুরি করি তারপর সন্ধ্যে হওয়ার ১৫মিনিট আগে সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নি।তারপর আমরা একটা অটোতে উঠে কলেজের সামনে নেমে পড়ি। কলেজের সামনে থেকে যে যার মতো গন্তব্যে চলে আসি। সবকিছু মিলিয়ে দিনটা বেশ ভালোই কেটেছিলো।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০মেগাপিক্সেল
তারিখ: ০২অক্টোবর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


আমি তিনটি ম্যান্ডেটরি টাস্ক কমপ্লিট করার পরে স্ক্রিনশট নিয়েছি।
লালন ফকিরের এই মাজার সব বাঙালির কাছে পবিত্র স্থান। আমারও অনেকদিন ধরে এখানে যাওয়ার ইচ্ছে। দেখি এই জানুয়ারিতে যেতে পারি নাকি। আপনি খুব সুন্দর করে ভ্রমণের ছবিগুলি পোস্ট করলেন। জায়গাটি খুব সুন্দর। ঝাল মুড়ি এবং ফুচকাও খুব ভালো ছিল বুঝতেই পারছি।
এবার বাংলাদেশে আসলে লালন শাহের মাজারে অবশ্যই ঘুরে যাবেন। হ্যাঁ লালনের ফুচকার মত টেস্ট আমি আর অন্য কোন ফুচকাতে পাইনি। ধন্যবাদ দাদা।
লালন শাহের মাজারে অনেকবার যাওয়া হয়েছে ।সেখানে গিয়ে এরকম দৃশ্য ভালই উপভোগ করেছি। যেহেতু নিজের জেলায় উপভোগ করাটাই স্বাভাবিক। আপনি দেখছি ভালই সুন্দর মুহূর্ত পার করেছিলেন। সেই দৃশ্যগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করলেন আবারো পুনরাবৃত্তি হলো।
হ্যাঁ ভাইয়া লালনে গিয়ে ভালো একটা মুহূর্ত পার করেছি। আপনি ভালো নিয়ে এসেছেন এবং উপভোগ করেছেন জেনে ভালো লাগলো। ঠিক বলেছেন নিজের জেলায় লালন উপভোগ করাটাই স্বাভাবিক। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার লালন শাহের মাজার ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন এটা দেখে খুব ভালো লাগলো। সেই সাথে বেশ মজার মজার খাবার খেয়েছেন দেখছি। সব মিলিয়ে আপনার আজকের পোস্ট দারুণ লাগলো আমার কাছে।
পোস্ট আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। হ্যাঁ ভাইয়া ফুচকা বেশ মজার ছিল ঝালমুড়ি টাও কম না।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
লালন শাহের মাজার ভ্রমণে গিয়ে এত সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। এটা দেখেই তো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপু। আজকে আপনি আরেকটা পর্ব শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। যার মধ্যে অনেক সুন্দর কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। সেই সাথে খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত ছিল দেখে ভালো লাগলো। ফুচকা আর ঝালমুড়ি দেখে আমার নিজেরও খেতে ইচ্ছে করছে।
হ্যাঁ আপু আমরা লালন শাহের মাজারে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
লালন শাহের মাজার ভ্রমণ করে আমাদের জন্য চমৎকার পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছেন।
যদিও আমার এখনো এই মাজারে যাওয়া হয়নি তবে আপনার পোস্টের মাধ্যমে বেশ খানিকটা ঘুরে দেখলাম মনে হলো। দারুন দারুন সব মাটির তৈজসপত্র সত্যিই নজর কেড়েছে আর আপনাদের খাবারের ছবিগুলো দারুন ছিল। সবমিলিয়ে দারুন পোস্ট উপহার দিয়েছেন।
যদি কখনো সময় পান অবশ্যই বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজারে এসে ঘুরে যাবেন। এখানে সুন্দর সুন্দর মাটির তৈজসপত্র পাওয়া যায়। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ভ্রমন করতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুবই কম পাওয়া যায়৷ আজকে আপনি ভ্রমণের একটি পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ আজকে আপনি লালন শাহের মাজার ভ্রমণ করার দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো৷ এখানে আপনি সবকিছু খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন৷ ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে৷ পরবর্তী পর্ব দেখার আশায় রইলাম৷
হ্যাঁ ভাই ভ্রমণ করতে সবারই অনেক ভালো লাগে। আমি নিজেও ভ্রমন করতে খুব পছন্দ করি। সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।