ঈদের পর বোটানিক্যাল গার্ডেন ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি। (শেষ পর্ব)
শুভ রাত্রি 🌃
আজ ২২ই মে,
রোজ বৃহস্পতিবার ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ।
আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ , বাংলাদেশ থেকে।
হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম ঈদের পর বোটানিক্যাল গার্ডেন ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি মূলক পোস্ট নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি।
কিছুদিন আগে আমি বোটানিক্যাল গার্ডেনে ভ্রমণের তৃতীয় পর্ব শেয়ার করেছিলাম। সেখানে উল্লেখযোগ্য বেশ কিছু গাছ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। ছবিতে দেখিয়েছি বিভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পরিবেশ এবং ব্রহ্মপুত্র নদীর সৌন্দর্য ও নৌকা। তাছাড়া আমাদের কাটানো বেশ কিছু মুহূর্তের ফটোগ্রাফি আপনারা দেখতে পেয়েছিলেন। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। বোটানিক্যাল গার্ডেন জায়গা অনেক বিস্তৃত এরিয়া নিয়ে। বিশাল বড় উদ্ভিদ মহলে ভ্রমণ করে সবাই আমরা অনেক আনন্দ করেছিলাম। কোথাও একা ভ্রমণ করতে ভালো লাগেনা। তাই বেশ কিছু প্রিয় মানুষের সঙ্গে ঘোরাফেরা এবং বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি করেছিলাম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে ফটোগ্রাফি করতে ভীষণ ভালোবাসি। যেহেতু ঈদের পরের দিন ছিল তাই অনেক মানুষের মাঝে সামান্য সময় নিজেকে আনন্দ দিতে পেরেছি। তাই সেই ভ্রমণের অনুভূতি ও কিছু তথ্য আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
ছবির অবস্থান :- কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।
বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রায় শেষের দিকে আমরা সবাই নিজেদের ইচ্ছেমতো ফটোগ্রাফি করেছিলাম। উদ্ভিদ উদ্যান এর মাঝে বিভিন্ন রকম গাছের ডিজাইন করা আমাদের ফটোগ্রাফি আরো সুন্দর করে তুলেছে। সবাই নিজেদের ইচ্ছামত পোজ নিয়েফটোগ্রাফি করেছি। আমার বন্ধু বিপ্লব এবং সোহাগ ভাই খুব চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। শান্ত পরিবেশ ও গাছপালার মনোরম দৃশ্য আমাদের সবাইকে মুগ্ধ করেছে। যেহেতু সময় সামান্য ছিল একটু পর আমাদেরকে বের হয়ে যেতে হবে তাই কিছুটা সামনে এগিয়ে গিয়েছিলাম। বোটানিক্যাল গার্ডেনে নির্দিষ্ট সময়ের পর সবাইকে বের হয়ে যেতে হয়। তাই আমাদের মত অনেকেই তাদের সমাপ্ত ফটোগ্রাফি করছিল।
ছবির অবস্থান :- কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।
অল্প কিছুক্ষণ পর বের হয়ে যাওয়ার রাস্তা দেখতে পেয়েছিলাম। সবাই আমাদের মতো মনের আনন্দে ঘোরাফেরা করছেন। কিন্তু সময় কম থাকার কারণে দুর্ভাগ্যবশত সবাইকে বের হয়ে যেতে হয়। উদ্ভিদ উদ্যানের ভেতর থেকে ছোট বাচ্চারা তাদের পরিবার নিয়ে বের হয়ে আসছিল। অতিরিক্ত গরমের কারণে উদ্ভিদ উদ্যানের শীতল ছায়া আমাদের তৃপ্তি দিয়েছিল। রাস্তার দু'পাশে সবুজ গাছপালা দেখতে ভীষণ ভালো লাগে তাই ফটোগ্রাফি করেছিলাম। তাছাড়া চারপাশের গাছগুলো খুব সুন্দর করে সাজানো গোছানো ছিল। অনেকে গাছের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি করেছিল। যাইহোক আমরা সামনের দিকে অগ্রসর করলাম।
ছবির অবস্থান :- কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।
বের হওয়ার রাস্তার পেছনে চমৎকার একটি গাছ দেখতে পেলাম। এই গাছের সঙ্গে আমি আগে পরিচিত না। গাছের নাম ছিল তানপুরা। তানপুরা গাছ উদ্ভিদ উদ্যানের বিখ্যাত গাছ। এই গাছে নিয়ে অনেক ইতিহাস লেখা রয়েছে। তবে জাদুঘরের যেতে পারিনি। গেলে হয়তো অনেক কিছু জানতে পারতাম। তানপুরা গাছ কিছুটা ঔষধি গাছের মত দেখতে। গাছে বড় বড় বেশ কিছু ফল দেখতে পেয়েছিলাম। কিন্তু ফোন গেলে ছিল বিশাল বড়। বড় বেলের চাইতে দ্বিগুণ,গাছ উঁচু থাকায় আমি দাঁড়িয়ে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। চেষ্টা করেছি ক্যামেরায় ফ্রেমে বন্দি করার জন্য। তবে নিচে হঠাৎ করে একটি তানপুরা ফল পড়ে থাকতে দেখতে পাই। অনেকেই দেখতে পেলাম সেগুলোর ফটোগ্রাফি করছে তাই আমিও করে নিয়েছিলাম। অবশেষে আমাদের সকলের ভ্রমণের সমাপ্তি ঘটলো। আমরা সবাই একসাথে একটি সেলফি নিয়েছিলাম। বোটানিক্যাল গার্ডেনে ভ্রমণ করে উদ্ভিদ উদ্যান সম্পর্কে এবং বিভিন্ন গাছপালা সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছি। তাছাড়া ভ্রমণ করে মন মানসিকতা ভালো থাকে। আমি চেষ্টা করি মাঝেমধ্যে ভ্রমণ করার জন্য। আশাকরি আপনারা সকলেই ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন। এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।💞
বিভাগ | ভ্রমণ পোস্ট। |
---|---|
ডিভাইস | রিয়েলমি সি-৫৫। |
বিষয় | ঈদের পর বোটানিক্যাল গার্ডেন ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি (শেষ পর্ব)। |
লোকেশন | কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,বাকৃবি, ময়মনসিংহ। |
রাইটার | @nazmul01। |
আমি মোঃ নাজমুল হাসান, আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং ঢাকা বিভাগের ময়মনসিংহ জেলায় থাকি। আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি বাঙালি। বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে আমি গর্ব বোধ করি। আমি একজন শিক্ষার্থী এবং ডিগ্রিতে অধ্যয়নরত। আমি বর্তমানে বাংলাদেশে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছি। ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া কবিতা,আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না করা আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের সাথে ঘুরতে যাওয়া এবং বাহিরে খাবার খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটি একটি পরিবারের মতো। আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য | এখানে ক্লিক করেন |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনি ঈদের পর ঘোরাফেরা করছেন,আপনার সুন্দর এই অনুভূতি পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো।আসলে একাই কোন জায়গায় ভ্রমন করতে গেলে সেটা ভালো লাগে না। এবং বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ঘোরাফেরা করলে সেটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে।যাইহোক আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করছেন। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।